ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ, ধেয়ে আসছে বিশাল আকারের একটি টর্নেডো, সেটির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আংটি হাতে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন এক তরুণ। দুহাতে মুখ চেপে ধরে অবিশ্বাসের চোখে সেদিকে তাকিয়ে আছেন প্রেমিকা।

অনলাইনে এমন একটি ছবি ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়েছে; এ যেন ঝড়ের বুকে প্রেম! ছবিটি গত ২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ডাকোটায় তোলা। হাঁটু গেড়ে বসে থাকা তরুণের নাম ব্রাইস শেলটন।

দুর্দান্ত এই ছবি কিন্তু হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। বরং কয়েক মাস ধরে প্রেমিকা পেইজ বার্ডোমাসকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে উপযুক্ত পরিবেশ খুঁজছিলেন শেলটন।

শেলটন ও বার্ডোমাসের পরিচয় বছরখানেক আগে, দুজনই ‘স্টর্ম চেজিং’ করেন। অর্থাৎ, ঝড়ের পেছনে ছোটেন। প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এর চেয়ে ভালো পরিবেশ সম্ভবত শেলটনের কাছে আর কিছু হতে পারত না।

ব্র্যান্ডন কোপিক নামে আরেকজন ‘স্টর্ম চেজার’ ও আলোকচিত্রী ছবিটি তুলেছেন।

ছবিটি এরই মধ্যে এক্সে ১ কোটি ৭০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা আর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অগুনতি মানুষ।

একজন লিখেছেন, ‘সম্ভবত এটাই ইতিহাসের সবচেয়ে মহাকাব্যিক প্রস্তাব’।

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি স্টর্ম চেজার নই, এদের কাউকেই চিনি না, তবু এটা জীবনের সেরা ছবি। এই ছবিতে শক্তি আর আবেগ দুটোই স্পষ্ট।’

শেলটন বলেন, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে তিনি এই মুহূর্তের পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁদের সাহস, সময় নির্বাচন আর নাটকীয়তা—সবকিছু মিলিয়ে এই ছবিটিকে অনেকেই বলছেন ‘ভয়ংকর সুন্দর’।

নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ওই মুহূর্তের ছবি পরে নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন পেইজ বার্ডোমাস।

টর্নেডোর তিনটি এবং অনামিকায় শেলটেনের আংটির একটি ছবি দিয়ে এই তরুণী লেখেন, ‘দিনটাকে আর কীভাবে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব! দক্ষিণ ডাকোটায় ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হলো; আর এখন তিনি আমার বাগদত্তা! জীবনের সবচেয়ে মহাকাব্যিক উপায়ে প্রস্তাব দিল সে। তোমার সঙ্গে পুরো জীবন কাটানোর অপেক্ষায় আছি, @BryceShelton01’।

শেলটনের এই কাজ দেখে বাকিদের উৎসাহিত হওয়ার প্রবণতা নিয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়ার এলাকায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য় র প রস ত ব প রস ত ব দ শ লটন

এছাড়াও পড়ুন:

উইম্বলডনে কেন ‘ভূমিকম্প’

এবার উইম্বলডনের শুরুতেই আলোচনায় ‘ভূকম্পন’। না, খেলার সময় কোর্টের মাটি বা স্থাপনা কেঁপে ওঠেনি। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডে যে ধরনের ফল হয়েছে, তাতে টেনিস–বিশ্বে ভূকম্পনই অনুভূত হয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডের মধ্যেই (একটি ম্যাচ শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত) বাদ পড়ে গেছেন ৩৬ বাছাই খেলোয়াড়। যা টেনিসে নতুন রেকর্ড।

এর আগে তৃতীয় রাউন্ডের আগে সর্বোচ্চ ৩৫ বাছাই বাদ পড়েছিলেন ২০২০ ফ্রেঞ্চ ওপেনে। এবারের উইম্বলডনে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভেতরেই বিদায় নিয়েছেন গত মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন কোকো গফ ও ছেলেদের তৃতীয় বাছাই আলেক্সান্ডার জভেরভ। শুধু প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছেন শীর্ষ ১০ বাছাইয়ের আটজন। যা ১৯৬৮ সালে টেনিসে উন্মুক্ত যুগ শুরুর পর সবচেয়ে বেশি।

অবাক করার মতো তথ্য আছে আরও। মেয়েদের শীর্ষ ৫ বাছাইয়ের মধ্যে তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা করতে পেরেছেন শুধু র‍্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে থাকা আরিয়ানা সাবালেঙ্কা, উন্মুক্ত যুগে এমনটা ঘটল মাত্র দ্বিতীয়বার। প্রশ্ন হচ্ছে, এবারের উইম্বলডনে এত বেশি ‘তারকা-পতন’ কেন?

বিবিসি এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। যেখানে উঠে এসেছে অন্তত পাঁচটি কারণ।

আরও পড়ুনজোকোভিচের সামনে ‘সেঞ্চুরির’ হাতছানি২০ ঘণ্টা আগেঅস্বাভাবিক আবহাওয়া

এবারের উইম্বলডনে খেলোয়াড়দের লড়তে হচ্ছে চরম গরমের সঙ্গেও। উইম্বলডনের ইতিহাসে এবারই প্রথম উদ্বোধনী দিনে সবচেয়ে বেশি গরম রেকর্ড করা হয়েছে—সোমবার ও মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। খেলোয়াড়দের বরফের প্যাক, ঠান্ডা তোয়ালে ও প্রচুর পানি দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি সহনশীল করার জন্য। তবু কেউ কেউ শারীরিক অসুস্থতা ও ক্লান্তির কথা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ ক্যামেরন নরি যেমন বলেছেন, আবহাওয়া ‘শরীরের জন্য একধরনের ধাক্কা ছিল’।

গরমে ভুগছেন খেলোয়াড়েরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ