মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় নতুন আইনের চিন্তা
Published: 17th, May 2025 GMT
মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকার নতুন আইন করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৭ মে) ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। প্রধান উপদেষ্টা ভবনটির উদ্বোধন করলেও ফলকে তার নাম ছিল না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএ ভবনের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল। ভবনটি ১৬তলা ভিত্তির ওপর নির্মিত একটি বহুতল অফিস ভবন, যার মধ্যে বাউন্ডারি ওয়াল, গেট, গার্ড রুম, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, সেপটিক ট্যাংক, সোক ওয়েল, সাইনেজ, ম্যুরাল এবং ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ অন্তর্ভুক্ত।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ নিহত ৩
যশোর শহরের সার্কিট হাউস–সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার বারান্দা ভেঙে পড়ে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান (৩৫), দিনাজপুরের বাসিন্দা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান (৩৫) এবং নির্মাণশ্রমিক মো. নুরু (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের বরাতে জানা যায়, একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ভবনটি নির্মাণ করছে। সাততলা ভবনের ছয়তলায় দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন প্রকৌশলী ও শ্রমিকেরা। এ সময় হঠাৎ বারান্দাটি ভেঙে তাঁরা নিচে পড়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ছয়তলার বারান্দা ভেঙে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভার কোনো অনুমোদন ছাড়াই ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে নির্মাণকাজ চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হাসান বলেন, ভবনটির অনুমোদন ছিল কি না বা নির্মাণে কোনো শর্ত ভাঙা হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার আগে কেন এমন তদারক করা হয়নি—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের জনবল সীমিত। শহরের বহু ভবনে একসঙ্গে কাজ চলছে, সব নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং ফর ফিউচারের বিপণন ব্যবস্থাপক সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘এটা টেকনিক্যাল বিষয়। প্রকৌশলীরা ভালো বলতে পারবেন। তবে বারান্দা ভেঙে তিনজন মারা গেছেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’