খুলনায় ট্যাংকলরি-মাহিন্দ্র সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
Published: 17th, May 2025 GMT
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গোলনা এলাকায় ট্যাংকলরি ও মাহিন্দ্র’র মধ্যে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহত ৪ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- খুলনার কয়রা উপজেলার ভান্ডারপোল গ্রামের মাহিন্দ্র চালক রফিকুল ইসলাম গাজী, ওই উপজেলার কুশারডাঙ্গা গ্রামের মাইনুল ইসলাম সানা ও একই গ্রামের আব্দুর রশীদ।
খর্ণিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শিমুল মন্ডল সমকালকে জানান, গোলনা এলাকায় খুলনাগামী মাহিন্দ্রর সঙ্গে সাতক্ষীরাগামী ট্যাংকলরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে প্রথমে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে উৎসুক লোকজন এবং আহত-নিহতদের স্বজনরা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে ছুটে যান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এক বর্ষায় ভেঙেছে ৩৮৮ সড়ক, মেরামতে লাগবে ৪২০ কোটি টাকা
চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম মোড়গুলোর একটি ২ নম্বর গেট। সেখানে ছোট-বড় অনেক গর্ত। এ রকম একটি গর্তে পড়ে প্রায় উল্টে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল রিকশাচালক মোহাম্মদ হোসেনের। কোনোরকমে সামলে নেন তিনি। এরপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মোহাম্মদ হোসেন বলেন, রাস্তায় খালি গর্ত আর গর্ত। গর্তের যন্ত্রণায় গাড়ি চালাতে পারেন না। ইট দিয়ে কোনোরকমে ভরাট করলেও তা টেকে না। বৃষ্টি হলেই গাড়ির চাপে আবার ভাঙে। বছরের পর বছর ধরে এটাই দেখে আসছেন। গত বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় কথা হয় রিকশাচালক মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে।
শুধু এবার নয়, বর্ষার সময় বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সব ভাঙে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভাঙা রাস্তার তালিকা করে। এবারও তালিকা করেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে ৩৮৮টি সড়ক ভেঙেছে। বিধ্বস্ত রাস্তার পরিমাণ ১৪২ কিলোমিটার। পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সড়ক সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া রাস্তা ঠিক করতে করপোরেশনের লাগবে ৪২০ কোটি টাকা।
ভাঙা সড়কে গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে যানজটের সমস্যায় ভুগছেন চালক ও যাত্রীরা। আবার ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বারবার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য দুটি কারণকে দায়ী করছেন সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা। তাঁদের মতে, ভারী বর্ষণ হলে সড়কে পানি জমে যায়। তখন বিটুমিনের রাস্তায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। আর নগরের রাস্তাঘাটগুলো করা হয় ১০ থেকে ২০ টন ওজনের বহনক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু বন্দর থাকায় এখানে ৫০ থেকে ৬০ টনের গাড়িও চলে। ভারী ওজনের গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তা নষ্ট হয়। তবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দুটি কারণের পাশাপাশি সড়ক সংস্কারকাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
৫ বছরের মধ্যে বেশি ক্ষতিপাঁচ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি রাস্তাঘাট ভেঙে বেহাল হয়েছে। ৩৮৮টি সড়কের ১৪২ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর ভেঙেছিল ১০০ কিলোমিটার। ২০২৩ সালে ৫০ কিলোমিটার, ২০২২ সালে ১০০ কিলোমিটার ও ২০২১ সালে ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়েছিল।
পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করায় নগরের আগ্রাবাদে সিডিএ আবাসিক এলাকার প্রায় সব সড়ক এখন ভাঙাচোরা। নগরের দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে এ এলাকার অবস্থান। নগরের সবচেয়ে বেশি ৫৫টি সড়ক ভেঙেছে এই ওয়ার্ডে।গত বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী অংশে খানাখন্দ ভরাট ও পিচঢালাই (কার্পেটিং) করার কাজ চলছে। তবে অক্সিজেন থেকে ২ নম্বর গেটমুখী অংশে রয়েছে গর্ত। বিশেষ করে উড়ালসড়কের র্যাম্পের নিচে বেবি সুপারমার্কেট এলাকার অবস্থা বেশি নাজুক।
নগরের সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের ২ নম্বর গেট মোড়ের আশপাশেও পিচঢালাই উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সিআরবির সড়কগুলোরও একই অবস্থা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থা দেখা গেছে স্ট্র্যান্ড রোডের। সেখানে বড় বড় গর্তে জমে আছে পানি, যা দিয়ে গাড়ি চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবদুল হালিম নামের এক সিএনজি অটোরিকশাচালক সড়কের অবস্থা দেখে বলেন, এটা সড়ক নয়, যেন পুকুর। এত বড় গর্তে পড়লে গাড়ি তো এমনিতেই উল্টে যাবে। তখন চালক বা যাত্রীর কেউ বাঁচবেন না।
ক্ষতবিক্ষত আগ্রাবাদ এলাকার সড়ক। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়