খুলনায় মাহিন্দ্রাকে ট্যাঙ্কলরির ধাক্কা, ২ মাদরাসা শিক্ষকসহ নিহত ৩
Published: 17th, May 2025 GMT
খুলনায় মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কলরির ধাক্কায় মাহিন্দ্রার যাত্রী দু’জন মাদরাসা শিক্ষকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরো ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এরাও মাহিন্দ্রার যাত্রী ছিলেন।
শনিবার (১৭ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঝামাঝি গোলনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, মাহিন্দ্রাচালক কয়রা উপজেলার ভান্ডারপোল গ্রামের আনসার আলী গাজীর ছেলে রফিকুল ইসলাম গাজী (৫৫), একই উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের মতিউর রহমান সানার ছেলে মহিনুর ইসলাম (৩৫) ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের মৃত নূর আলী সানার ছেলে মাওলানা আব্দুর রশিদ (৫০)।
এছাড়া আহত চারজন হলেন- মইনুল ইসলাম গাজী, ইউনুস, মনিরুজ্জামান ও আব্দুস সাত্তার। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেন খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিমুল মন্ডল। নিহত মহিনুর ইসলাম ও আব্দুর রশিদ কয়রা উপজেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে কয়রা উপজেলা থেকে মাহিন্দ্রাতে ( খুলনা-থ-১১-০১৭৫) কয়েকজন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশে রওনা দেন। অপরদিকে খুলনা থেকে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কলরি (যশোর -ড-৪১-০০০৪) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঝামাঝি গোলনা নামক স্থানে পৌঁছালে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্রাচালকসহ তিনজন নিহত হয়। এছাড়া দুুর্ঘনায় মাহিন্দ্রার আরো ৪ জন যাত্রী আহত হয়।
এ ব্যাপারে খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিমুল মন্ডল বলেন, “জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কলরি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট য ঙ কলর উপজ ল র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় মালবাহী ট্রেনের গার্ড রেক লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি মালবাহী ট্রেনের গার্ড রেক (ট্রেনের শেষের বগি, যেখানে বসে নিরাপত্তাকর্মী ট্রেনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন) লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উপজেলার উথলীতে রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে চলাচলকারী সারা দেশের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত সাড়ে আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে কোনো উদ্ধারকারী ট্রেন পৌঁছায়নি। এতে খুলনা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী এবং ঢাকা ও উত্তরাঞ্চল থেকে খুলনাগামী বিভিন্ন ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনার মোংলা বন্দর থেকে ৩২টি ট্যাংকারভর্তি মোলাসেস (চিটাগুড়) নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিল। ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গার উথলী রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার আগেই গার্ড রেকটি লাইনচ্যুত হয়। এরপর সেখানে ট্রেন থামিয়ে লাইনচ্যুত রেকটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে উথলীতে ট্রেনের গার্ড রেক লাইনচ্যুত হওয়ায় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এবং ঢাকা থেকে খুলনাগামী নকশিকাথা মেইল ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই ট্রেনের যাত্রীরা।
উথলী রেলস্টেশনের মাস্টার মিন্টু কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, উথলীতে ট্রেনের রেক লাইনচ্যুত হওয়ায় স্টেশনের ওপর দিয়ে সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন রওনা দিয়েছে। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ পথে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।