খুলনায় মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কলরির ধাক্কায় মাহিন্দ্রার যাত্রী দু’জন মাদরাসা শিক্ষকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরো ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এরাও মাহিন্দ্রার যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১৭ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঝামাঝি গোলনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিহতরা হলেন, মাহিন্দ্রাচালক কয়রা উপজেলার ভান্ডারপোল গ্রামের আনসার আলী গাজীর ছেলে রফিকুল ইসলাম গাজী (৫৫), একই উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের মতিউর রহমান সানার ছেলে মহিনুর ইসলাম (৩৫) ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের মৃত নূর আলী সানার ছেলে মাওলানা আব্দুর রশিদ (৫০)। 

এছাড়া আহত চারজন হলেন- মইনুল ইসলাম গাজী, ইউনুস, মনিরুজ্জামান ও আব্দুস সাত্তার। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেন খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিমুল মন্ডল। নিহত মহিনুর ইসলাম ও আব্দুর রশিদ কয়রা উপজেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে কয়রা উপজেলা থেকে মাহিন্দ্রাতে ( খুলনা-থ-১১-০১৭৫) কয়েকজন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশে রওনা দেন। অপরদিকে খুলনা থেকে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কলরি (যশোর -ড-৪১-০০০৪) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঝামাঝি গোলনা নামক স্থানে পৌঁছালে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্রাচালকসহ তিনজন নিহত হয়। এছাড়া দুুর্ঘনায় মাহিন্দ্রার আরো ৪ জন যাত্রী আহত হয়।

এ ব্যাপারে খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার  উপপরিদর্শক (এসআই) শিমুল মন্ডল বলেন, “জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কলরি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট য ঙ কলর উপজ ল র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটি এই নোটিশ দেয়। তাঁদের কাছে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্যদের সমন্বয়ে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি, একাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি ও বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার তথ্য যাচাই-বাছাইসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান, জাকির হোসেন খান ও অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার। এসব কমিটির পক্ষ থেকে ১৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিন্ডিকেট গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটি বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং প্রাথমিকভাবে তথ্য–প্রমাণ মিলেছে, তাঁদের শোকজ করা হয়েছে। তাঁদের জবাব নেওয়ার পর এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এখন তদন্ত কমিটিতেই বিষয়গুলো আছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নোটিশ পাওয়া শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘এগুলো আমার হাতে আসেনি। তদন্ত কমিটি সরাসরি সংশ্লিষ্টদের দিয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে শোকজ
  • নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ