তিন ভূমিকায় শিরোপা, মোহামেডানে আলফাজ-কাব্য
Published: 17th, May 2025 GMT
মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি ক্লাবে ছিলেন না। ঘাড়ে ব্যথার জন্য থেরাপি নিতে একটু আগেই মতিঝিল ক্লাব ভবন ছেড়েছেন আলফাজ আহমেদ। কিন্তু তাঁর বুকেও তখন চলছে অদৃশ্য ধুকধুকানি। সমীকরণ ছিল পরিষ্কার—ফর্টিসের কাছে আবাহনী হারলেই ২৩ বছর পর দেশের শীর্ষ লিগ জিতবে মোহামেডান। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া পেশাদার লিগে এটাই হবে সাদা–কালোদের প্রথম শিরোপা।
সব জল্পনার শেষে, আবাহনী-ফর্টিস ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ঘোষণা হয়ে গেল—তিন ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। আর এর নেপথ্য নায়ক আলফাজ।
এই শিরোপা তাঁর জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তিনটি ভিন্ন ভূমিকায় মোহামেডানের হয়ে লিগ জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি—১৯৯৬ সালে খেলোয়াড় হিসেবে, ১৯৯৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে, ২০০৫ সালে জাতীয় লিগ জেতেন অধিনায়ক হয়ে। আর এবার, ২০২৫ সালে কোচ হিসেবে এনে দিলেন পেশাদার যুগের প্রথম লিগ শিরোপা।
আলফাজ যখন মোহামেডানের অধিনায়ক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলফ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী