আইপিএলের প্লে-অফে জায়গা বাকি একটি, মোস্তাফিজের দিল্লির সম্ভাবনা কেমন
Published: 19th, May 2025 GMT
যেকোনো টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এমনটা প্রায়ই হয়। একটা ম্যাচই অনেক কিছু বদলে দেয়। এই যেমন গতকাল রাতের দিল্লি ক্যাপিটালস–গুজরাট টাইটানস ম্যাচ।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজুর রহমানদের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জিতেছে গুজরাট। এই জয়ে গুজরাট তো বটেই, প্লে–অফ পর্বে জায়গা নিশ্চিত হয়েছে পাঞ্জাব কিংস আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুরও।
প্লে–অফে এখন আর একটি জায়গা খালি। সেই জায়গা পূরণে লড়াইয়ে তিন দল—মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। আইপিএলে দলের সংখ্যা মোট ১০টি হলেও এরই মধ্যে লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।
যে তিনটি দল প্লে–অফের বাকি জায়গাটির লড়াইয়ে আছে, তাদের মধ্যে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের ম্যাচ বাকি দুটি করে। লক্ষ্ণৌর হাতে আছে তিন ম্যাচ। এবার দেখে নেওয়া যাক, শেষ দল হিসেবে প্লে–অফে জায়গা করে নিতে হলে মুম্বাই, দিল্লি ও লক্ষ্ণৌকে কী করতে হবে—
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে যা করতে হবে১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট, নেট রান রেট +১.
১৫৬।
মুম্বাইয়ের বাকি দুই ম্যাচ ২১ মে দিল্লির বিপক্ষে ও ২৬ মে পাঞ্জাবের বিপক্ষে। হার্দিক পান্ডিয়া–রোহিত শর্মা–যশপ্রীত বুমরাদের দল যদি দুই ম্যাচই জেতে, তাহলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি প্লে–অফ নিশ্চিত হবে। অন্য কোনো সমীকরণ মেলাতে হবে না। যদি দিল্লিকে হারাতে পারে, তাহলেও প্লে–অফ অনেকটাই নিশ্চিত।
আর দিল্লির কাছে হারের পর যদি পাঞ্জাবের বিপক্ষে জেতে, তাহলে শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে দিল্লির হারের প্রত্যাশায় থাকতে হবে। আর মুম্বাই যদি দুটি ম্যাচেই হারে, তাহলে বাদ পড়বে।
আরও পড়ুনআইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা ৫ পারফরম্যান্স২০ ঘণ্টা আগেদিল্লি ক্যাপিটালসকে যা করতে হবে১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট, নেট রান রেট +০.২৬০।
মোস্তাফিজদের বাকি দুই ম্যাচ ২১ মে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ও ২৪ মে পাঞ্জাবের বিপক্ষে। যদি দুই ম্যাচেই জেতে, তাহলে মুম্বাইকে টপকে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্লে–অফ নিশ্চিত। আর যদি একটিতে জেতে, তাহলে ‘যদি–কিন্তু’ আছে।
সেই জয়টি হতে হবে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। দিল্লি যদি মুম্বাইয়ের কাছে হারে, তাহলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত। আর যদি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয়ের পর পাঞ্জাবের কাছে হারে, তাহলে অন্য দলের ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
প্রথমত, মুম্বাই যেন পাঞ্জাবের কাছে হারে এবং লক্ষ্ণৌ যেন তাদের তিন ম্যাচের অন্তত একটিতে হলেও হারে। তখন পয়েন্ট তালিকার যে ছবি দাঁড়াবে—দিল্লি ১৫, মুম্বাই ১৪, লক্ষ্ণৌ ১৪–এর বেশি নয়। আর বাকি দুটি ম্যাচ হারলে? দুটি দরকার নেই। প্রথমে মুম্বাইয়ের কাছে হারলেই বাদ।
আরও পড়ুনবাবরের পেশোয়ারকে উড়িয়ে প্লে–অফে সাকিবের লাহোর৮ ঘণ্টা আগেলক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে যা করতে হবে১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট, নেট রান রেট –০.৪৬৯।
লক্ষ্ণৌর বাকি তিন ম্যাচ ১৯ মে (আজ রাতে) হায়দরাবাদের বিপক্ষে, ২২ মে গুজরাটের বিপক্ষে ও ২৭ মে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। প্লে–অফের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে তিনটি ম্যাচেই জিততে হবে লক্ষ্ণৌকে। তখন মোট পয়েন্ট হবে ১৬। এতেও সেরা চারে থাকা নিশ্চিত হবে না। মিলতে হবে আরও কিছু সমীকরণ।
দিল্লি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জিতলেও যেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে হারে। মুম্বাই যেন দিল্লি, পাঞ্জাব দুই দলের কাছেই হারে। তখন লক্ষ্ণৌর পয়েন্ট হবে ১৬, দিল্লির ১৫, মুম্বাইয়ের ১৪।
অবশ্য মুম্বাই এক ম্যাচ জিতে পয়েন্ট ১৬ করলে সমান পয়েন্টে পৌঁছে এগিয়ে থাকার সুযোগ থাকবে লক্ষ্ণৌরও। সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের নেট রান রেট +১.১৫৬, লক্ষ্ণৌর –০.৪৬৯। রান রেটে বেশ পেছনে থাকলেও লক্ষ্ণৌর সুবিধা অন্যদের তুলনায় তাদের শেষ ম্যাচ পরে। কী করতে হবে, সেই হিসাব সামনে থাকবে।
আরও পড়ুন‘কসম খেয়ে বলছি, আমি কাঁদিনি’, রিশাদের দাবি অস্বীকার কারেনের১১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: লক ষ ণ র
এছাড়াও পড়ুন:
আইফোন থেকে স্যাটেলাইটে জরুরি বিপদবার্তা পাঠিয়ে জীবন বাঁচালেন এক পর্বতারোহী
বিপদে পড়লে প্রযুক্তি যে জীবন রক্ষা করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তার উদাহরণ। সম্প্রতি দুর্গম এক পর্বত থেকে নামার সময় ১০ হাজার ফুট উঁচুতে আহত হন এক পর্বতারোহী। সে সময় ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এরপর আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা কাজে লাগিয়ে জরুরি বিপদবার্তা পাঠান তিনি। আইফোন থেকে পাঠানো জরুরি বিপদবার্তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর অবস্থানের তথ্য যুক্ত থাকায় উদ্ধারকারীরা সহজে তাঁকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। ফলে প্রাণে বেঁচে যান সেই পর্বতারোহী।
৫৩ বছর বয়সী ওই পর্বতারোহী স্নোমাস পর্বতশৃঙ্গে অভিযান চালাচ্ছিলেন। সফলভাবে শৃঙ্গে পৌঁছানোর পর তিনি নিচে নামার জন্য ‘গ্লাইডিং’ নামের একধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। এ পদ্ধতিতে সাধারণত পর্বতারোহীরা নিয়ন্ত্রিতভাবে ও দ্রুত নিচে নামেন। কিন্তু নামার সময় একটি দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। গুরুতর আঘাতের কারণে তিনি আর চলাফেরা করতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। এমন এক পরিস্থিতিতে আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধার মাধ্যমে তিনি স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবহার করে পরিবারের একজন সদস্যকে বার্তা পাঠান। বার্তা পাওয়ার পরপরই দ্রুত উদ্ধারকারী দল সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী শহরে নিয়ে আসে।
অ্যাপল ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৪ সিরিজের মাধ্যমে স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা চালু করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চল বা নেটওয়ার্কবিহীন স্থান থেকেও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পাঠানো সম্ভব। গ্লোবাল স্টার নামের একটি স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান এই সেবা পরিচালনা করে থাকে।
সূত্র: নিউজ১৮