হাটহাজারীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ, পিটুনিতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু
Published: 20th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মানিক (৩৫) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১২টায় উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শার আহমদীয়া পাড়ার মুকুম তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মানিক ঐ এলাকার মৃত জামালের পুত্র। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আহমদীয়া পাড়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মানিককে প্রতিপক্ষের লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে, কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, রবিবার মানিকের সঙ্গে স্থানীয় যুবদল নেতা তৌহিদের সংঘর্ষ হয়। এতে তৌহিদ আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার রেশ ধরে রাতে মানিককে অজ্ঞাত কিছু লোক মারধর করে। নিহত মানিক ও তৌহিদ সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান বাদশা বলেন, “শুনেছি দুই পক্ষের সংঘর্ষে মানিক মারা গেছে এবং এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।”
মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহম্মেদ আশরাফ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী এবং ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন মঙ্গলবার সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিবারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, তিন চালক গ্রেপ্তার
সিলেটের কানাইঘাটে রাস্তা থেকে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে তুলে নিয়ে বালুর মাঠে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা হলো– কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের উমাগড় গ্রামের নিখিল দাসের ছেলে শুভঙ্কর দাস, বীরদল কচুপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমদের ছেলে বাবুল আহমদ ও চটি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ফাহাদ মিয়া।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল সমকালকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় যান ওই তরুণী। পরদিন উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের বালুর মাঠে স্থানীয়রা জামা-কাপড় ছেঁড়া অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান। তাঁকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তিনজনের কথা জানান। তারা তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জড়িতদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।