৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেলকে সাগর-হিমেলের চ্যালেঞ্জ
Published: 20th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তারা সফল হলে বাংলাদেশি সাঁতারু হিসেবে ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমের কীর্তি গড়বেন।
এর আগে ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি সাঁতারু মোশাররফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক চ্যালেঞ্জ জয় করেন। তাদের আগে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ পর্যন্ত তিন বছরে ছয়বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন সাঁতারু ব্রজেন দাস। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি।
এবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে আগামী ৭ জুলাই যুক্তরাজ্যে যাবেন সাগর ও হিমেল। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করা আটলান্টিক মহাসাগরে এই চ্যানেল অতিক্রম করার লড়াইয়ে তাদের সঙ্গে ভারতের দুই সাঁতারু থাকবেন। তারা চারজন যুক্তরাজ্যের ডোভারে শেক্সপিয়ার বিচ থেকে সাঁতার শুরু করে ৩৭ কিলোমিটার দূরে ফ্রান্সের কাপ গ্রিস নিজ বিচে যাত্রা শেষ করবেন।
ইংলিশ চ্যানেলের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাঁতারু হিমেল বলেন, ব্রজেন দাস স্যার এবং মোশাররফ হোসেন স্যারের পর আমরা দু’জন বাংলাদেশি যাচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটা একটা ব্রেক-থ্রু। এটা গর্বের বিষয়। আশা করি এখন যে প্রজন্ম আছে তারাও আমাদের থেকে অনুপ্রেরণা পাবে।’
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার মূল চ্যালেঞ্জ ঠান্ডা পানি। জাহাজ চলাচলের রাস্তা হওয়ায় বড় ঢেউয়ের মুখে পড়তে হয়। আবার জেলিফিশও আক্রমণ করতে পারে। হিমেল বলেন, ‘ওখানে জেলি ফিশ আছে। পানির তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমি চীনে ১৯ ডিগ্রিতে সাঁতার কেটেছি। তবে ১৫ ডিগ্রি হলে চ্যালেঞ্জিং হবে।’
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে একজন সাঁতারুর ১০ লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে গিয়ে ১০ দিন প্রস্তুতি নেবেন তারা। ১৭ থেকে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে সাগরে নামবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আইফোন থেকে স্যাটেলাইটে জরুরি বিপদবার্তা পাঠিয়ে জীবন বাঁচালেন এক পর্বতারোহী
বিপদে পড়লে প্রযুক্তি যে জীবন রক্ষা করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তার উদাহরণ। সম্প্রতি দুর্গম এক পর্বত থেকে নামার সময় ১০ হাজার ফুট উঁচুতে আহত হন এক পর্বতারোহী। সে সময় ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এরপর আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা কাজে লাগিয়ে জরুরি বিপদবার্তা পাঠান তিনি। আইফোন থেকে পাঠানো জরুরি বিপদবার্তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর অবস্থানের তথ্য যুক্ত থাকায় উদ্ধারকারীরা সহজে তাঁকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। ফলে প্রাণে বেঁচে যান সেই পর্বতারোহী।
৫৩ বছর বয়সী ওই পর্বতারোহী স্নোমাস পর্বতশৃঙ্গে অভিযান চালাচ্ছিলেন। সফলভাবে শৃঙ্গে পৌঁছানোর পর তিনি নিচে নামার জন্য ‘গ্লাইডিং’ নামের একধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। এ পদ্ধতিতে সাধারণত পর্বতারোহীরা নিয়ন্ত্রিতভাবে ও দ্রুত নিচে নামেন। কিন্তু নামার সময় একটি দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। গুরুতর আঘাতের কারণে তিনি আর চলাফেরা করতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। এমন এক পরিস্থিতিতে আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধার মাধ্যমে তিনি স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবহার করে পরিবারের একজন সদস্যকে বার্তা পাঠান। বার্তা পাওয়ার পরপরই দ্রুত উদ্ধারকারী দল সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী শহরে নিয়ে আসে।
অ্যাপল ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৪ সিরিজের মাধ্যমে স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা চালু করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চল বা নেটওয়ার্কবিহীন স্থান থেকেও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পাঠানো সম্ভব। গ্লোবাল স্টার নামের একটি স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান এই সেবা পরিচালনা করে থাকে।
সূত্র: নিউজ১৮