রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য গ‌ঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের ম‌ধ্যে যেসব কমিশন প্রধান এবং সদস্যরা অবৈতনিক ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

তা‌দের ম‌ধ্যে ৫টি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ৬জন সদস্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি। গত ১৮ মে তা‌দের তা‌লিকা প্রকাশ ক‌রে প্রজ্ঞাপন জা‌রি ক‌রে‌ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং এ কমিশনের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ কা ফিরোজ আহমেদ কোনো পারিশ্রমিক নেননি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন ৯ জুন 

সরকারের তিন ক্রয় প্রস্তাবে ব্যয় ৮৮৯ কোটি টাকা  

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড.

বদিউল আলম মজুমদার, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অবৈতনিক ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেন।

এছাড়া পারিশ্রমিক নেননি-শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য বার-এট-ল ইমরান সিদ্দিকী ও এম মঈন আলম ফিরোজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ।

সরকার তাদের এই সেবার ঘটনাটি ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণ করবে ব‌লেও জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে।

অন্তর্বর্তী সরকার দা‌য়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। সংস্কার কমিশনের প্রধানদের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি দেয় সরকার।

কমিশনগুলোর সদস্যদের মধ্যে যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত নন তাদের কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজার টাকা সম্মানি নির্ধারণ করা হয়েছিল। যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার টাকা সম্মানি পেয়েছেন।

তবে কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন বলে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সদস য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটিতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব জসীম, স্থলাভিষিক্ত হবেন নজরুল

ছুটিতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। তার ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। জসীম উদ্দিনের ছুটিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কয়েক মাস ছুটিতে থাকবেন পররাষ্ট্রসচিব। এরই মধ্যে পররাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে জসীম উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছুটি শেষে তিনি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের কোনো একটি দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে যোগ দিতে পারেন।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পররাষ্ট্রসচিব পদে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব পদে যোগ দেন  বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে তার অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ