গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণ আর কতদিন অপেক্ষা করবে– এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা হচ্ছে। এই যে সংস্কার এবং নির্বাচনকে সামনাসামনি করে দেওয়া– এটা আরেকটা অপরাধ। এটা ভুল। বিচার হতে হবে; সংস্কার ও  নির্বাচনও হতে হবে। সবই যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাংলাদেশের গর্বিত জনগণ, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি। এখনও আমরা গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় বসে আছি। সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলছি, স্লোগান দিচ্ছি, সভা-সমাবেশ করছি। কত দিন আমাদের এই কাজ করতে হবে?

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর, যারা নেতৃত্ব দিয়েছে; যারা তাদের সঙ্গে ছিল, তাদের সবার বিচার অবশ্যই করতে হবে। কারণ তারা দেশবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। কিন্তু সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না– এই প্রশ্ন যারা তোলে, তারা আসলে এই কথা বলে জনপ্রিয় কথার আড়ালে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়।

জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র ব চনক গণতন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান সারজিস, বর্ণনা করলেন ‘উপকারিতা’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কিছু ‘উপকারিতা’ বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, ‘আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।’

সোমবার রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সারজিস আলম এ কথাগুলো বলেছেন। সারজিস এমন এক সময়ে এই পোস্ট দিলেন, যখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে টানা বিক্ষোভ হচ্ছে।

সারজিস আলম লিখেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সব স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের (বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন) মতো যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। তা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে।’

পোস্টে আগে স্থানীয় নির্বাচনের তিনটি উপকারিতা তুলে ধরেন সারজিস আলম। তিনি লিখেছেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে। দ্বিতীয়ত, জাতীয় নির্বাচনের আগে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের ‘লিটমাস টেস্ট’ হতে পারে। যেমন নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, সেই ‘লিটমাস টেস্ট’ হতে পারে। অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয়, তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

তৃতীয় উপকারিতা হিসেবে সারজিস বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন (বাছাই) প্রক্রিয়ায় নমিনেশন (মনোনয়ন) দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ‘মাই ম্যানকে’ (নিজস্ব লোক) বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে ‘মাই ম্যান’ নয়, বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।

এরপর পোস্টে এনসিপি নেতা সারজিস আলম লিখেছেন, ‘বিএনপি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে, সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশা করি, এ বিষয়ে তাঁদের দ্বিমত থাকবে না।’

পোস্টের শেষে ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য’ দিয়ে সারজিস আরও লেখেন, ‘আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।’

সারজিস আলমের এই পোস্টের ঘণ্টাখানেক পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি সংক্ষিপ্ত পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি শুধু চারটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় ১ টন চালসহ ডিলার আটক
  • স্থানীয় নির্বাচন চাওয়া মানে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা: নজরুল ইসলাম
  • ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের
  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই পরিচালক
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান সারজিস, বর্ণনা করলেন ‘উপকারিতা’
  • ধারাবাহিক অস্থিরতা ও জনসাধারণের মতামত
  • বিএনপির কি আকাল পড়েছে আ.লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে
  • দাবি আদায় করব, না হয় মাটির নিচে শায়িত হব: ইশরাক
  • যারা একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত‍্যাগ করতে হবে: ইশরাক