সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা আরেকটা অপরাধ: নজরুল ইসলাম
Published: 21st, May 2025 GMT
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণ আর কতদিন অপেক্ষা করবে– এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা হচ্ছে। এই যে সংস্কার এবং নির্বাচনকে সামনাসামনি করে দেওয়া– এটা আরেকটা অপরাধ। এটা ভুল। বিচার হতে হবে; সংস্কার ও নির্বাচনও হতে হবে। সবই যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাংলাদেশের গর্বিত জনগণ, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি। এখনও আমরা গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় বসে আছি। সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলছি, স্লোগান দিচ্ছি, সভা-সমাবেশ করছি। কত দিন আমাদের এই কাজ করতে হবে?
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর, যারা নেতৃত্ব দিয়েছে; যারা তাদের সঙ্গে ছিল, তাদের সবার বিচার অবশ্যই করতে হবে। কারণ তারা দেশবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। কিন্তু সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না– এই প্রশ্ন যারা তোলে, তারা আসলে এই কথা বলে জনপ্রিয় কথার আড়ালে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়।
জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র ব চনক গণতন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে যাদের ভরাডুবি হবে, তারাই পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স
কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করে নিত্যনতুন ইস্যু নিয়ে এসে জটিলতা করে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। ভোটের সংখ্যানুপাতে সংসদের আসন তথা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের ধুয়া তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানো হচ্ছে। পিআর পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে যেমন জনগণের অধিকার হরণ হয়, তেমনি দেশে আবার দলীয় কর্তৃত্ববাদ, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ কায়েমের পথ প্রশস্ত হবে। নির্বাচনে যাদের ভরাডুবি হবে, তারাই পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়।
আজ রোববার সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন কলেজ ছাত্রদলের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ। এ ছাড়া এমরান সালেহ প্রিন্স দুপুরে উপজেলা ও ইউনিয়ন মহিলা দল এবং বিকেলে উপজেলা ও ইউনিয়ন ওলামা দলের নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা করেন।
ছাত্রদলের মতবিনিময় সভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, যারা বলে বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন করছে, তারা জনগণ ও নির্বাচনকে ভয় পায়। সে জন্য তারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে কূটকৌশল করছে। বিএনপি নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায় না। বিএনপি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তি, নিরাপত্তা এবং জন–আকাঙ্ক্ষা ও গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের স্বার্থে দ্রুত নির্বাচন চায়।
বিএনপি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ত্বরান্বিত করতে চায়।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে বিএনপি প্রশ্নাতীতভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ দ্বারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মোকাবিলা করে বিএনপি টিকে আছে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের আর পুনরুত্থান যাতে না ঘটে, সে জন্য আন্তরিকভাবেই বিএনপি সংস্কার চায়। কিন্তু সংস্কারের নামে অযৌক্তিক ও জনসম্পৃক্ততাহীন নিত্যনতুন ইস্যু নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি নির্বাচন বিলম্বিত করার যড়যন্ত্র।
নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে প্রিন্স আরও বলেন, আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত থাকতে হবে। শত শহীদের রক্তে, গুম, খুনের শিকার সহকর্মীদের আত্মত্যাগে আর লাখো নেতা-কর্মীর অবর্ণনীয় দুঃখে ফ্যাসিবাদের অবসান হলেও পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন হয়নি। দ্রুত নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তবেই পরিপূর্ণ বিজয় ও গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হবে।
ধোবাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের মতবিনিময় সভায় ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিসুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।