ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে নিষেধ করায় যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আমরা অন্যের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছি না। কেউ এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিল কিনা, তা পরোয়া করি না। গতকাল মঙ্গলবার এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেহের নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনা শেষ পর্যন্ত ফল বয়ে আনবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান তেহরান।

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চার দফা আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে ওমান। আলোচনার লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে, বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করবে। তেহরানের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানকে দাবি মেনে নিতে চাপ সৃষ্টি করছে। 

এ পরিস্থিতিতে পঞ্চম দফা আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ইতালির রোমে এই আলোচনা চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর তেহরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে করা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। গত জানুয়ারিতে আবারও ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প নতুন চুক্তিতে যেতে চান। এর পরই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
ইরান বর্তমানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, যা ২০১৫ সালের চুক্তিতে নির্ধারিত ৩.

৬৭ শতাংশ সীমার অনেক বেশি। তবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য এই পরিমাণ ইউরেনিয়াম কোনো কাজে আসবে না। 

মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান স্টিভ উইটকফ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখাকে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আর ১ শতাংশ সমৃদ্ধকরণও ওয়াশিংটন মেনে নেবে না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইউর ন য় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের ১ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণও মেনে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: উইটকফ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যেকোনো চুক্তিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ না করার বিষয়টি থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। গতকাল রোববার তিনি এ কথা বলেন। তাঁর এ মন্তব্যের সমালোচনা করেছে ইরান।

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন উইটকফ। তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে দুই পক্ষের এখনো অনেক পথ বাকি।

এবিসির ‘দিস উইক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করা এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, ‘আমাদের একেবার স্পষ্ট একটি সীমারেখা (রেডলাইন) আছে, আর তা হলো সমৃদ্ধকরণ। এমনকি আমরা ১ শতাংশ সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতাও মেনে নিতে পারি না।’

তেহরান তাৎক্ষণিকভাবে উইটকফের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল বলেছেন, ‘অবাস্তব প্রত্যাশাই আলোচনা থামিয়ে দেয়। ইরানে সমৃদ্ধকরণ থামানো সম্ভব নয়। আমি মনে করি, তিনি (উইটকফ) আলোচনার বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ দূরে।’ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চলবে বলেও উল্লেখ করেন এই মন্ত্রী।

উইটকফ বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদী এবং মনে করেন, চলতি সপ্তাহে ইউরোপে আবারও আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এটি সত্যিকার অর্থে কিছু ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।’

আরাগচি জানান, পরবর্তী আলোচনার তারিখ ও স্থান শিগগিরই জানানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে শুক্রবার তিনি বলেন, ইরানের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুননিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে পারমাণবিক চুক্তি সম্ভব: ইরান১৫ মে ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্প একই সঙ্গে শান্তির কথা বলছেন, হুমকিও দিচ্ছেন: ইরানের প্রেসিডেন্ট১৭ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের দাবিকে অতিরঞ্জিত বললেন খামেনি
  • ইরানের ১ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণও মেনে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: উইটকফ