পোশাক নিয়ে তনুশ্রীকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য
Published: 21st, May 2025 GMT
বডি শেমিং বা পোশাক নিয়ে প্রায়ই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হন শোবিজ অঙ্গনের তারকারা। এ তালিকায় অভিনেতাদের চেয়ে অভিনেত্রীর সংখ্যা অত্যাধিক। এমনই ঘটনার মুখোমুখি হলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী তনুশ্রী গোস্বামী।
গতকাল ছিল ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকের ‘ত্রিশা ভৌমিক’ অর্থাৎ শ্রীতমা রায়চৌধুরীর জন্মদিন। সহকর্মীদের বিশেষ দিনে সেজেগুজে হাজির হয়েছিলেন তনুশ্রীসহ পুরো টিম। সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন তনুশ্রী। তারপরই তনুশ্রীকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন নেটিজেনদের কেউ কেউ।
টিভি পর্দায় মা-কাকির চরিত্রে অভিনয় করলেও তনুশ্রীর বয়স ৪৫ পার হয়নি। গতকাল অনুষ্ঠানে কালো নুডলস স্ট্র্যাপের ওয়ান পিস পরেছিলেন তনুশ্রী। তাতে ফ্লাওয়ার প্রিন্ট রয়েছে। তনুশ্রীকে এমন লুকে দেখে শুক্লা মৈত্র নামে একজন লেখেন—“বুড়ি কি পরেছে, আয়নার সামনে দেখে না।” এ মন্তব্য তনুশ্রীর চোখে পড়েছে। জবাবে এই অভিনেত্রী লেখেন, “দেখি দিদি, আমি আয়না দেখে খুশি হেই। আর আপনি অন্যদের দেখে কষ্ট পান।”
আরো পড়ুন:
বিয়ে করতে যাচ্ছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম
অনেক প্রস্তাব পেয়েছি, তবু রাজি হইনি: হানিফ সংকেত
অন্য একজন তনুশ্রীর পোস্টে লেখেন, “বুড়ো বয়সে কী ড্রেস আপ!” এ মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন তনুশ্রী। এ অভিনেত্রী লেখেন, “আপনি কচি বয়সে বোরখা পরে থাকুন না! আর আপনার বাড়ির লোকেদেরও পরান। কেউ তো বারণ করেনি। আমি আমার টাকায় ড্রেস কিনে পরেছি। এত হিংসে করবেন না প্লিজ। আপনারও হবে।”
নেটিজেনেদের কেউ কেউ তনুশ্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলেও অনেকেই তার ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয়ের হাতেখড়ি তনুশ্রীর। তার আগে দীর্ঘসময় সংবাদ পাঠিকা হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১০ সাল থেকে টলিউডে কাজ করছেন। মূলত, টিভি সিরিয়ালেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। ‘নিম ফুলের মধু’, ‘ফেলনা’, ‘হৃদ মাঝারে’, ‘এক্কা দোক্কা’, ‘আলো ছায়া’, ‘সোনা রোদের গান’, ‘রানি রাশমনি’, ‘কপাল কুণ্ডলা’-এর মতো ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তনুশ্রীকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চোখের জলে, উষ্ণ অভ্যর্থনায় ম্যানসিটি ছাড়লেন ডি ব্রুইন
ম্যানচেস্টার শহরের আকাশে আজ অন্যরকম রঙ। উচ্ছ্বাস আর বিষাদের এক অদ্ভুত মিশ্রণ। প্রায় এক দশকের সম্পর্কের শেষ অধ্যায় লিখলেন বেলজিয়ান মিডফিল্ড জাদুকর কেভিন ডি ব্রুইন। মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে বোর্নমাউথের বিপক্ষে মাঠে নামা ম্যাচটি ছিল তার ম্যানচেস্টার সিটি অধ্যায়ের শেষ। আর সেই মঞ্চে আবেগ যেন ছাপিয়ে গেল ফুটবলকে।
৭০ মিনিট মাঠ মাতিয়ে, সমর্থকদের করতালির ভেতর দিয়ে বিদায় নিলেন এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা প্লেমেকার। তার চোখের কোণে ছিল জল। ঠোঁটে ছিল স্মৃতিমাখা হাসি। গ্যালারির ৫০ হাজার দর্শক যেন একযোগে জানালেন ভালোবাসা, আর ডি ব্রুইনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল স্মৃতির সুর।
২০১৫ সালে জার্মান ক্লাব উলফসবার্গ থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন ডি ব্রুইন। তারপরের ইতিহাস শুধুই সাফল্যের। ৬ বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতা, ২০২৩ সালের ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়, দু’বারের পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়— এই সবই রয়েছে তার ঝুলিতে।
আরো পড়ুন:
ম্যাচ জিতিয়ে মর্মাহত ডি ব্রুইনে জানালেন, চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব পাননি
গার্দিওয়ালার ভয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা হারালে বড় ট্রান্সফার করতে পারবেন না
তবে শুধু ট্রফি নয়, ডি ব্রুইনে হয়ে উঠেছিলেন মাঠে সিটির ছন্দের যোগানদাতা। তার পাসিং, ভিশন এবং নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গোলের মুহূর্ত। যা ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।
ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইনে যখন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কথা বলেন, তখন গ্যালারির আবেগ আর ধরে রাখা যাচ্ছিল না, ‘‘এই শহরেই আমার সন্তান বড় হয়েছে। এখানেই আমার বন্ধুরা, আমার হৃদয়। ১০ বছর যে এভাবে কেটে যাবে, কখনো ভাবিনি। এখন আমি যাচ্ছি। কিন্তু ফিরে আসব—একজন বন্ধু হয়ে, একজন পরিবারের সদস্য হয়ে।’’
এসময় আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। একজন প্রিয় শিষ্যের বিদায় তার চোকে জল এনে দেয়।
সিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডি ব্রুইনের সম্মানে ক্লাব ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হবে একটি মূর্তি। এটি শুধুই তার কীর্তির স্বীকৃতি নয়, বরং প্রতীক হয়ে থাকবে কীভাবে একজন খেলোয়াড় একটি ক্লাবের ইতিহাস হয়ে উঠতে পারেন।
ডি ব্রুইনের পরবর্তী ঠিকানা নিয়ে জল্পনা চলছে। কেউ বলছেন, হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস লিগে পাড়ি দেবেন তিনি। আবার কেউ বলছেন, ইউরোপেই থাকতে চান এই বেলজিয়ান তারকা। তবে এখনো তিনি নিজেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি।
ফুটবল শুধু গোল, পয়েন্ট আর ট্রফির খেলা নয়; এটি আবেগ, সম্পর্ক আর ভালোবাসার গল্পও বটে। কেভিন ডি ব্রুইনের বিদায় সেই কথাই আরও একবার প্রমাণ করে দিল। ম্যানচেস্টার সিটি হয়তো এবার অন্য কাউকে খুঁজে নেবে মাঝমাঠে। কিন্তু ‘কেভিন’ নামটা থেকে যাবে চিরকাল।
ঢাকা/আমিনুল