প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও প্রাত্যহিক সমাবেশে শপথবাক্য পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।

নতুন শপথবাক্য হলো, ‘আমি শপথ করিতেছি যে মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’

আরও পড়ুনপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশের শপথবাক্যে পরিবর্তন২০ আগস্ট ২০২৪

এর আগে গত বছরের আগস্টে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (পিটিআই) প্রাত্যহিক সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর আগে ২০২২ সালে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশকালে নতুন শপথ পাঠের নির্দেশনা দিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। সেই শপথবাক্য ছিল, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

টানা বৃষ্টিতে কলকাতায় জনজীবন বিপর্যস্ত

কলকাতায় টানা বৃষ্টির কারণে শহর ও শহরতলির স্বাভাবিক জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতে বড় বাধা তৈরি হয়েছে।

পুলিশ এবং পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।

সকাল থেকে এখন পর্যন্ত আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৪৫ মিলিমিটার, কাঁকুড়গাছিতে ৮০ মিলিমিটার, সল্টলেকে ৮৮ মিলিমিটার, ব্যারাকপুরে ৯৩ মিলিমিটার এবং উত্তর কলকাতা, শ্যামবাজারে ৭৭ মিলিমিটার। সেইসঙ্গে সকাল থেকে সামনে আসতে শুরু করেছে ভোগান্তির ছবি। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তা যদি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে না কমে, তাহলে শহরের পানিমগ্ন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পৌরসভার পাম্পিং স্টেশনগুলোর তথ্যানুসারে, কলকাতার কোথাও কোথাও হাঁটু সমান পানি জমেছে।

আরো পড়ুন:

রাতের অন্ধকারে ভারতে আওয়ামী লীগ নেতা, সীমান্ত পেরিয়েই গ্রেপ্তার

পশ্চিমবঙ্গের নাগরিককে এনআরসির নোটিশ ধরালো আসাম সরকার!

উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া, সুকিয়া স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সহ বিস্তীর্ণ অংশে জলাবদ্ধতার সেই পুরোনো চিত্র দেখা গেছে। পানি জমেছে ঢাকুরিয়া, যাদবপুরসহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যোধপুর পার্ক নিকাশি পাম্পিং স্টেশন এলাকায়। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ২০০ মিলিমিটৈর বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে অফিসপাড়া মিন্টোপার্ক ও সংলগ্ন এলাকাও পানিমগ্ন। ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গা পানিমগ্ন। কাঁকুড়গাছি, পাতিপুকুর এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও গোড়ালি অবধি, তো কোথাও হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত পানি জমতে শুরু করেছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই কমবেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন শহরবাসী। বিভিন্ন গলিপথও পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকা থেকে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ