যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে তিন দিনের ইনমা ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব নিউজ মিডিয়া-২০২৫। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (ইনমা) আয়োজিত সংবাদমাধ্যমের এই বিশ্ব সম্মেলন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশের ৬০০-এর বেশি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নির্বাহীরা অংশগ্রহণ করছেন।

‘ভবিষ্যতের সংবাদমাধ্যম কীভাবে এগোবে—বিশ্বরাজনীতি, সার্চ ইঞ্জিনের পতন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের প্রভাব, অর্থনৈতিক সংকট—এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের জবাব খুঁজবে এই কংগ্রেস।’আর্ল জে উইলকিনসন, নির্বাহী পরিচালক, ইনমা

২১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত চলা এই বিশ্ব সম্মেলনে মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা ও বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের থিম ‘হাউ টু টার্ন ইকোসিস্টেম কেওস ইনটু মিডিয়া অপরচ্যুনিটি’ বা ইকোসিস্টেমের বিশৃঙ্খলাকে কীভাবে গণমাধ্যমের সুযোগে রূপান্তর করা যায়।
ইনমার নির্বাহী পরিচালক আর্ল জে উইলকিনসন সম্মেলন প্রসঙ্গ বলেছেন, ‘ভবিষ্যতের সংবাদমাধ্যম কীভাবে এগোবে—বিশ্বরাজনীতি, সার্চ ইঞ্জিনের পতন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের প্রভাব, অর্থনৈতিক সংকট—এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের জবাব খুঁজবে এই কংগ্রেস।’
এবারের ওয়ার্ল্ড কংগ্রসের প্রধান ইভেন্টগুলোর মধ্যে শুরুতেই ছিল শিক্ষাসফর বা স্টাডি ট্যুর। এর অংশ হিসেবে গত সোম ও মঙ্গলবার নিউইয়র্কের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম, যেমন নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, বিবিসি, গার্ডিয়ান ও রয়টার্স কার্যালয় পরিদর্শন করেন ৮৩ জন মিডিয়া প্রতিনিধি। এরপরই রয়েছে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন। নিউইয়র্কের টাইমস সেন্টারে ২১ ও ২২ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মূল সম্মেলন।

মূল সম্মেলনের শেষ দিন রাতে দেওয়া হবে বিশ্ব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫। এ জন্য নিউইয়র্কের এডিসন হোটেলের বলরুমে আয়োজিত হবে গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ডিনার। এ বছর ৪৯টি দেশের ২৮৬টি মিডিয়া ব্র্যান্ড থেকে ৮৩৯টি অংশগ্রহণপত্র জমা পড়ে।

কাল ২৩ মে লিঙ্কন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে গভীর কৌশলভিত্তিক অধিবেশন। এ ছাড়া সম্মেলনে থাকবে নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট, আস্ক মি এনিথিং সেশন এবং গ্লোবাল মিডিয়া নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিদের জন্য এই সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ, যেখানে গ্লোবাল ট্রেন্ডস, উদ্ভাবনী ধারণা ও সফল রূপান্তরের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ থেকে এবারের এই বিশ্ব সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধিরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন উইয়র ক

এছাড়াও পড়ুন:

জুনে ঢাকায় বিপিও সম্মেলন

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্ট্র্যাটেজিক অংশীজনে রাজধানীর সেনাপ্রাঙ্গণ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে দেশের বিপিও শিল্পের বহুল আলোচিত সম্মেলন বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫।

সামিটের এবারের প্রতিপাদ্য বিপিও ২.০: রেভ্যুলেশন টু ইনোভেশন, যা নতুন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ রূপান্তরের প্রতিচ্ছবি। বৃহস্পতিবার (২২ মে) উদ্যোক্তারা সম্মেলনের সার্বিক দিক উপস্থাপন করেন।

আগামী ২১ ও ২২ জুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল আয়োজনের অংশীজন হয়ে কাজ হয়ে কাজ করবে।

বাক্কো কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুসনাদ-ই-আহমদ বিগত বিপিও সামিটের কার্যক্রম ও প্রাপ্তীর বিষয়ে অবহিত করেন। সামিটের সম্ভাব্য কার্যক্রম ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, সামিটে ৩০টি দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি/বিপিও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও পরিষেবা প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করবেন। এবারের সামিট হবে গ্রাহকসেবা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক আন্তর্জাতিক মিলনমেলা।

উদ্যোক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ৯টি সেমিনার ও কর্মশালার পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে আইটিইএস ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিদেশি খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, যা সামিটকে বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাত আমাদের অর্থনীতির জন্য অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। বিপিও খাত আমাদের তরুণ সমাজের জন্য সুবিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে, যেখানে দক্ষতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার অপার সুযোগ রয়েছে।

সরকার ইতোমধ্যে আইটিইএস খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির টেকসই উন্নয়নের জন্য নীতিমালা, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছে। বিপিও সামিটে দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে। সামিটের মাধ্যমে আমরা শুধু নতুন প্রযুক্তি ও ধারণার সঙ্গে পরিচিত হব না, বরং দেশের তরুণরা কীভাবে বিপিও খাতে যুক্ত হতে পারবে সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা জানানো হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন বলেন, দেশের তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাতে কয়েক ধরনের কাজের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। কারিগরি ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। বিপিও সামিট এমন প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে তরুণরা অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে জানতে পারে। এ শিল্পে ক্যারিয়ার গঠনে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন পাবে। তরুণরা প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও উদ্যমের মাধ্যমে যে সাফল্য অর্জন করছে, যা দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করছে।

বাক্কোর সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, চার শতাধিক সদস্য নিয়ে বাক্কো ইতোমধ্যে ৮৫ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। প্রতি বছর ৮৫ কোটি মার্কিন ডলারের আয় অর্জন করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাক্কো এক লাখ টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির সঙ্গে শতকোটি মার্কিন ডলার বার্ষিক আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। তাই এবারের বিপিও সামিট বাক্কোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয়কে ত্বরান্বিত করতে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান অপরিসীম। সামিটে আয়োজিত সেমিনারের মাধ্যমে আমরা ফ্রিল্যান্সারদের সব ধরনের সমস্যা শুনবো এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করবে বাক্কো। আউটসোর্সিং শিল্পের একক সংগঠন হিসেবে বাক্কো ফ্রিল্যান্সার ফোরাম এখন থেকে ফ্রিল্যান্সার উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিকেরা ক্ষমতাবানদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারছে: ইনমা সিইও
  • জুনে ঢাকায় বিপিও সম্মেলন
  • সংশোধন করা হচ্ছে সরকারি চাকরি আইন, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
  • উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সিদ্ধান্ত
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২১ মে ২০২৫)
  • সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
  • সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
  • হিমাদ্রির ৯ মাসে মুনাফা কমেছে ৮.৮৩ শতাংশ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২০ মে ২০২৫)