আধুনিক ও বৃহৎ পরিসরে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে পূবালী ব্যাংক পিএলসির বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কর্পোরেট শাখা নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়ে ইসলামী ব্যাংকিং কর্পোরেট শাখা, পল্টন, ঢাকা নামে কার্যক্রম শুরু করেছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

শাহনেওয়াজ খান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ব্যাংকিং উইং প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক দেওয়ান জামিল মাসুদ এবং নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক এম শাহনেওয়াজ চৌধুরী। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপস থ ত ছ ল ন ব যবস থ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধস

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমার নদের পাশে ৫০০ মিটার বাঁধের ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ব্লকগুলো ধসে যায়। বন্যার আগে বাঁধের এ অবস্থায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ব্লক ধসে গেছে বলে অভিযোগ তাদের।

বাঁধের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম। তাঁর দাবি, প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এ ক্ষতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ইউড্রেন না থাকায় বৃষ্টির পানি সুড়ঙ্গ হয়ে প্রবেশ করে বাঁধের কিছু অংশে ধস দেখা দিয়েছে। নদীর পানি কমলে তা মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ১০ আগস্ট একনেকের বৈঠকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা; যা বিভিন্ন প্যাকেজে বর্তমানে কুড়িগ্রাম পাউবোর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর একটি হলো দুধকুমার নদের ডান তীর রক্ষা বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে এ কাজে ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩৩ টাকা বরাদ্দ হয়। চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ৫০০ মিটার বাঁধটি নির্মাণে কাজ পায় ঢাকার মগবাজারের টিআই-পিভিএল-জেডআই জেভি নামের প্রতিষ্ঠান।

গত বুধবার দুপুরে চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর মৌজার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে বাঁধের কিছু অংশ ধসে গেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, নদীভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কাজ শেষ না হতেই বাঁধ ধসে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে যদি বাঁধ ধসে যায় ভারী বৃষ্টি হলে কী হবে। তাদের দাবি, যাতে আগামীতে ব্লক বসানোর কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরদারিতে রেখে যেন কাজ শেষ করে।

একই এলাকার এনামুল ও রাসেদের অভিযোগ, কাজের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় যথাযথ ডাম্পিং না করে সিসি ব্লক বসানো হয়েছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাফিয়া আখতার জানান, বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় দায়িত্ব তাদের। বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ