দ. আফ্রিকায় স্বর্ণখনিতে আটকা ২৮৯ শ্রমিক
Published: 23rd, May 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের এক স্বর্ণখনি ধসে ২৮৯ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
আজ শুক্রবার দেশটির মাইনিং এবং ধাতু প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিবানইয়ে স্টিলওয়াটার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
সিবানিইয়ে স্টিলওয়াটার থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, জোহানেসবার্গের ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে ক্লুফ স্বর্ণখনিতে বৃহস্পতিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। আটকা পড়া ব্যক্তিরা নিরাপদ আছেন এবং ভূগর্ভস্থ একটি নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় খনিশ্রমিক ইউনিয়ন জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাইনের সাত নং শ্যাফটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সব কর্মী নিরাপদ আছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আটক শ্রমিকদের আপাতত খাবার সরবরাহ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শ্যাফটের দুর্ঘটনাপরবর্তী অবস্থা যাচাই করে নিয়ম অনুযায়ী, উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র। আজ দুপুর নাগাদ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং গভীরতম স্বর্ণখনি রয়েছে। দেশটিতে প্রায়শই খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি স্বর্ণখনি থেকে অন্তত ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আর অল্প কিছু প্রতিষ্ঠানই রয়েছে, স্বর্ণখনি থেকে যাদের মুনাফা অর্জন অব্যাহত রয়েছে। তাদের একটি হলো সিবানইয়ে স্টিলওয়াটার। প্রতিষ্ঠানটির মোট স্বর্ণ উত্তোলনের অন্তত ১৪ শতাংশ আসে এই ক্লুফ খনি থেকে। দুর্ঘটনার শিকার সাত নং শ্যাফটে তারা প্রায় দুই মাইল গভীরে খননকাজ পরিচালনা করছে। একই সময় অন্য দুটি শ্যাফটে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী