দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের এক স্বর্ণখনি ধসে ২৮৯ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

আজ শুক্রবার দেশটির মাইনিং এবং ধাতু প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিবানইয়ে স্টিলওয়াটার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের

সিবানিইয়ে স্টিলওয়াটার থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, জোহানেসবার্গের ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে ক্লুফ স্বর্ণখনিতে বৃহস্পতিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। আটকা পড়া ব্যক্তিরা নিরাপদ আছেন এবং ভূগর্ভস্থ একটি নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় খনিশ্রমিক ইউনিয়ন জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাইনের সাত নং শ্যাফটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সব কর্মী নিরাপদ আছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আটক শ্রমিকদের আপাতত খাবার সরবরাহ করেছে কর্তৃপক্ষ।

শ্যাফটের দুর্ঘটনাপরবর্তী অবস্থা যাচাই করে নিয়ম অনুযায়ী, উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র। আজ দুপুর নাগাদ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং গভীরতম স্বর্ণখনি রয়েছে। দেশটিতে প্রায়শই খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি স্বর্ণখনি থেকে অন্তত ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় আর অল্প কিছু প্রতিষ্ঠানই রয়েছে, স্বর্ণখনি থেকে যাদের মুনাফা অর্জন অব্যাহত রয়েছে। তাদের একটি হলো সিবানইয়ে স্টিলওয়াটার। প্রতিষ্ঠানটির মোট স্বর্ণ উত্তোলনের অন্তত ১৪ শতাংশ আসে এই ক্লুফ খনি থেকে। দুর্ঘটনার শিকার সাত নং শ্যাফটে তারা প্রায় দুই মাইল গভীরে খননকাজ পরিচালনা করছে। একই সময় অন্য দুটি শ্যাফটে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় বিস্ফোরণ ও গুলিতে ইসরায়েলি ৫ সেনা নিহত

ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলে গতকাল সোমবার রাতভর অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের নিহত হওয়ার এ খবর এল।

আরও পড়ুনগাজায় ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ারে’ ৩১ ইসরায়েলি সেনা নিহত০৫ জুলাই ২০২৫

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামেনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল দিবাগত রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত গাজার দুটি স্থানে ইসরায়েলের হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজার উত্তরের বেইত হানুন এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই এ এলাকা ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানের প্রধান লক্ষ্যবস্তুগুলোর একটি ছিল। সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পুনর্গঠিত হওয়া ঠেকাতে ইসরায়েল বারবার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের ৭ সেনাসদস্য নিহত২৫ জুন ২০২৫

হামলায় দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজায় ইসরায়েল তাণ্ডব শুরু করার পর এ নিয়ে এ উপত্যকায় ইসরায়েলি ৮৮৮ সেনা নিহত হলেন।

গাজায় দুই সপ্তাহ আগেই সাঁজোয়া যানে বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সাত সেনা নিহত হয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের একটি সাঁজোয়া যানে আগে থেকে বোমা পেতে রেখে ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন।

সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, সেনারা হামাসকে পরাজিত করা ও সব জিম্মিকে মুক্ত করার অভিযানে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনগাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত০৬ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ