বগুড়ার গাবতলীতে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ শুক্রবার বিকেলে গাবতলী উপজেলার চকবোচাই বাজারের পশ্চিম পাশে শাহ সুলতান ফিড মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা সিএনজির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নামে একজন নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়।

আহতরা হলেন, নিহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রুবিয়া ইসলাম বিউটি (৫৫), টিপু সুলতান (৪৫), আলমগীর হোসেন আলম (৪২)। সাইফুল ইসলাম গাবতলী সদরের পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

গাবতলী মডেল থানার ওসি সেরাজুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ল ইসল ম গ বতল

এছাড়াও পড়ুন:

কুমারখালীর ঐতিহ্যবাহী মেলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপির সংঘাত, আহত ১১

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে ঐতিহ্যবাহী গাজি-কালু-চম্পাবতী মেলা ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো এই মেলা প্রতি বছর বসে। তবে এবার মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়া সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে জামায়াত মেলা বন্ধের দাবি তোলে। অপরদিকে, প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি-সমর্থিত মেলা কমিটি মেলার আয়োজন করে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকে উত্তেজনার শুরু হলেও সন্ধ্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

আহতদের মধ্যে জামায়াতের পক্ষে রয়েছেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ আরও ৫ জন। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতদের মধ্যে রয়েছেন খোকসা কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতানসহ ৫ জন, যাদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অন্তত ৩০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এক ব্যবসায়ী আরজ আলী জানান, তার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে দেখা যায়, টুপি পরা শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র হাতে হুমকির ভঙ্গিতে ঘোরাফেরা করছে।

জামায়াত নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মেলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গেলে প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। বিএনপির নেতারাও পাল্টা অভিযোগ করে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, মেলায় অনুমতির অভাবে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব শহীদ ও আহতদের পুরো দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: রিজভী
  • শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী
  • আড়াইহাজারে গ্যাস বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিক দগ্ধ
  • পদত্যাগ করবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও ডা. মাহমুদুল, দুর্নীতির অভি
  • কুমারখালীর ঐতিহ্যবাহী মেলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপির সংঘাত, আহত ১১