Risingbd:
2025-07-08@15:13:35 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (২৪-৩০ মে)

Published: 24th, May 2025 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (২৪-৩০ মে)

সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রলজার্স সোসাইটির (বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.

চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।

মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিন। প্রণয়ঘটিত বিষয় আপনার জন্য শুভ। দূর ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। শত্রু সম্পর্কে সচেতন হোন। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সফলতা আসবে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হতে পারেন।

আরো পড়ুন:

এ সপ্তাহের রাশিফল (১৭-২৩ মে)

এ সপ্তাহের রাশিফল (১০-১৬ মে)

বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): দৃঢ় মানসিকতার জন্য সফলতা পাবেন। মুক্ত ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পারিবারিক শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। ব্যবসা-বাণিজ্য যুক্তদের  ভালো সময়। আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থবাদী লোকদের থেকে সাবধান থাকুন। শারীরিক বিষয়ে যত্নশীল হোন।

মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত উত্তেজিত অবস্থায় নেওয়া ঠিক হবে না। চিন্তা-ভাবনা করে ভ্রমণের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। প্রেমের ক্ষেত্রে মান অভিমান চলতে পারে। অর্থ অপচয় হওয়ার যোগ আছে।

কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): নতুন ও অভিনবত্বের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। কর্মস্থলে মানসিক চাপে থাকতে পারেন। আর্থিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেকে দেশের বাইরে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। পেশাগত কাজে যথেষ্ট ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): আত্মকেন্দ্রিক লোকদের দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত  হবেন না। ব্যবসায়িক লেনদেনে সতর্ক হোন। নতুন প্রেমে জড়িয়ে পড়তে পারেন। আয়-ব্যয়ের  ভারসাম্য রাখা কঠিন হবে।

কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): অতিরিক্ত রাগ, জেদ পারিবারিক বিষয়ে সমস্যা বাড়াবে। ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বেশ ভালো সময়। শারীরিক বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): আকস্মিক প্রতিকূলতা আপনার সফলতাকে বিঘ্নিত করবে। আর্থিক দিক ভালো যাবে। স্বাস্থ্য সচেতন হোন। আবেগতাড়িত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। অর্থ বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না।

বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): রাগ, জেদ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নতুন কোনো কাজের পরিকল্পনায় সাফল্য লাভ করবেন। কর্মক্ষেত্রে নানামুখী চাপের সম্মুখীন হতে পারেন। পারিবারিক ও বিবাহিত জীবনে ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব দূর হতে পারে।

ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): পেশায় সাফল্য পাবেন। রাগ-জেদ পারিবারিক বিষয়ে সমস্যা বাড়াবে। ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বেশ ভালো সময়। শারীরিক বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অর্থ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন। পেশাগত উৎকর্ষতা বাড়বে। আপনার ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন। প্রেম ও রোমাঞ্চ শুভ। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করুন। ব্যবসা বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে।

কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): নিঃস্বার্থ মানসিকতার জন্য প্রশংসিত হবেন। নানামুখী চাপে থাকতে পারেন। দাম্পত্য ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। বিদেশ সংক্রান্ত যোগাযোগ শুভ। সন্তানের কোনো বিষয় দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। পুরোনো কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): প্রিয়জনের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। অফিসে কর্তৃপক্ষের আনুকূল্য পাবেন। সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। দাম্পত্য জীবনে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল ত র জন য ব যবস সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মব (সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) নিয়ে উদ্বিগ্ন তরুণেরা। তাঁরা চান সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। সংস্কারের ক্ষেত্রেও তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শ্রমবাজারকে অগ্রাধিকারে দেখতে চান।

তরুণদের এই মনোভাব উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশনএইডের একটি জরিপে। জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা–সম্পর্কিত এই জরিপ গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়।

জরিপে তরুণদের কাছে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ‘নিচের আর্থসামাজিক অবস্থা জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে—আপনি কি একমত?’ জবাবে বারবার অগ্নিসংযোগ, দস্যুতা (ছিনতাই) ও চুরি নিয়ে উদ্বেগের ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছেন ৮০ শতাংশ তরুণ উত্তরদাতা। দ্বিমত পোষণ করেছেন ৮ শতাংশের কম। বাকিদের মতামত ছিল না।

‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রায় ৭২ শতাংশ উত্তরদাতা। জনপরিসর নিরাপত্তাহীন (বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে)—এ বিষয়ে একমত ৬১ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা। বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন ১৬ শতাংশ। অন্যায্য ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট গ্রেপ্তার ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন ৫৬ শতাংশ তরুণ। এ প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছেন ১৫ শতাংশ।

জরিপে তরুণদের কাছে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ‘নিচের আর্থসামাজিক অবস্থা জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে—আপনি কি একমত?’ জবাবে বারবার অগ্নিসংযোগ, দস্যুতা (ছিনতাই) ও চুরি নিয়ে উদ্বেগের ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছেন ৮০ শতাংশ তরুণ উত্তরদাতা। দ্বিমত পোষণ করেছেন ৮ শতাংশের কম। বাকিদের মতামত ছিল না।

জরিপে উঠে এসেছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর ৭৮ শতাংশ তরুণের ব্যক্তিগতভাবে সুনির্দিষ্ট প্রত্যাশা ছিল। সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রত্যাশা ছিল প্রায় ৭৩ শতাংশ তরুণের। ৬৭ শতাংশ তরুণের প্রত্যাশা সাধ্যের মধ্যে উন্নত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা। এরপর রয়েছে রাজনৈতিক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দূর করা। এই প্রত্যাশার কথা বলেছেন ৬৫ শতাংশের বেশি তরুণ। তরুণদের প্রত্যাশার মধ্যে শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা, জনপরিসর ও অনলাইনে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ইত্যাদিও রয়েছে।

দেশের আট বিভাগের ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) ওপর জরিপটি করা হয়েছে। গত ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে গ্রাম ও শহরাঞ্চল থেকে উত্তরদাতা নেওয়া হয়েছে।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরিপে আমরা দেখেছি, তরুণেরা আইনশৃঙ্খলা ও মব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার খুব একটা সফলতা দেখাতে পারেনি।’

তরুণেরা কোন সংস্কার চান

জরিপে কর্মসংস্থান, অভিবাসন, রাজনীতি, নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের পারদর্শিতা, সংস্কার ইত্যাদি নানা বিষয়ে তরুণদের প্রশ্ন করা হয়।

জরিপে প্রশ্নের জবাবে ৫৬ শতাংশ তরুণ সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন মাত্রায় অবহিত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের এ বিষয়ে মোটেও ধারণা নেই। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ নিয়ে সংস্কারের কথা জানার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ৫০ শতাংশ বা তার বেশি তরুণ। বাকি ক্ষেত্রে হার ৫০ শতাংশের কম। শ্বেতপত্র কমিটি সম্পর্কে শুনেছেন সবচেয়ে কম, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ।

সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হবে কি না, এ প্রশ্নে অর্ধেকের কম তরুণ কমবেশি আশাবাদ দেখিয়েছেন। বাকিরা তেমন আশাবাদী নন অথবা নিশ্চিত নন। তরুণেরা কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার চান, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল। উত্তরে সবচেয়ে বেশি জোর এসেছে শিক্ষা (৯৪ শতাংশ), স্বাস্থ্য (৯২ শতাংশ), শ্রমবাজার (৯০ শতাংশ), মানবাধিকার, অর্থাৎ নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা (৮৯ শতাংশ), প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার (৮৫ শতাংশ) ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

অনুষ্ঠানে সেলিম রায়হান বলেন, সংস্কারের একটি সুযোগ এখন এসেছে। এটা কাজে লাগাতে না পারলে বড় পরিবর্তন আনা যাবে না। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হবে না।

জরিপে আমরা দেখেছি, তরুণেরা আইনশৃঙ্খলা ও মব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার খুব একটা সফলতা দেখাতে পারেনি।সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হানসরকার কেমন করছে

জরিপে ১৩টি বিষয় উল্লেখ করে সে ক্ষেত্রে সরকার কেমন করছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। দেখা গেছে, তিনটি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি তরুণ সরকারকে সফল উল্লেখ করেছেন—মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষা (৫৬ শতাংশ), সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা (৫৩ শতাংশ) ও অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা (৫১ শতাংশ)।

বেশি সংখ্যক তরুণ সরকারকে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ (৪০ শতাংশ), নারীর নিরাপত্তা (৩৯ শতাংশ), কর্মসংস্থান সৃষ্টি (৩৮ শতাংশ), স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ (৩৮ শতাংশ) এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় (৩৫ শতাংশ)। উল্লেখ্য, সফলতা ও ব্যর্থতার প্রশ্নে বড় অংশের উত্তরদাতা কোনো মতামত দেননি।

৪০ শতাংশের কম উত্তরদাতা সরকারকে সফল বলেছেন, এমন খাতের মধ্যে আরও রয়েছে বিনিয়োগ পরিবেশ, আমলাতন্ত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

জরিপে প্রশ্নের জবাবে ৭৭ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কি না, সেই প্রশ্নে আশাবাদের মাত্রায় ভিন্নতা রয়েছে। ৪১ শতাংশ মোটামুটি, ২৮ শতাংশ অত্যন্ত ও ১২ শতাংশ পুরোপুরি আশাবাদী। ১৩ শতাংশ আংশিক আশাবাদী। ৬ শতাংশ মোটেও আশাবাদী নয়।

জরিপের তথ্যমতে, তরুণদের ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রাজনীতির তথ্য পান। এরপর রয়েছে টেলিভিশন (৪৮ শতাংশ), বন্ধুবান্ধব (৩৭ শতাংশ), সংবাদপত্র (১৩ শতাংশ) এবং বাকিরা অন্যান্য মাধ্যম থেকে তথ্য পান।

কোন দল কত শতাংশ ভোট পাবে, সে সম্পর্কে ধারণা জানতে চাওয়া হয়েছিল তরুণদের কাছে। উত্তরদাতাদের মতে, আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি—৩৮ দশমিক ৭৬ ভোট বিএনপি পাবে। এরপর জামায়াতে ইসলামী ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে। এ ছাড়া বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায় তাহলে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে বলে ওই তরুণেরা মনে করেন। তাঁদের মতে, জামায়াতের বাইরে অন্য ইসলামিক দলগুলো ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। জাতীয় পার্টি পাবে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোট।

সেলিম রায়হান বলেন, এখানে যে মতামত এসেছে, তা শুধু বাছাই করা ওই তরুণদের মতামত। এটাকে দেশের পুরো জনগোষ্ঠীর বা অন্যান্য বয়সের মানুষের মতামত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। বিশেষ করে রাজনীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে তা কখনোই করা সংগত হবে না।

জরিপের তথ্যমতে, তরুণদের ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রাজনীতির তথ্য পান। এরপর রয়েছে টেলিভিশন (৪৮ শতাংশ), বন্ধুবান্ধব (৩৭ শতাংশ), সংবাদপত্র (১৩ শতাংশ) এবং বাকিরা অন্যান্য মাধ্যম থেকে তথ্য পান।

রাজনীতিতে যেসব তরুণ আসেন, তাঁরা সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায় নাকি সত্যিকারের পরিবর্তন বা আদর্শ নিয়ে আসেন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিররাজনীতিতে আগ্রহ নেই

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের গবেষণা সহযোগী সাফা তাসনীম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

জরিপে ৮৩ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তাঁরা রাজনীতিতে যোগ দিতে আগ্রহী নন। এর বড় তিনটি কারণ হলো রাজনৈতিক সহিংসতা, রাজনীতিতে দুর্নীতি ও নৈতিকতার ঘাটতি এবং পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিরুৎসাহিত করা। পেশাজীবনে তরুণেরা সরকারি চাকরিতে বেশি আগ্রহী।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, রাজনীতিতে যেসব তরুণ আসেন, তাঁরা সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায় নাকি সত্যিকারের পরিবর্তন বা আদর্শ নিয়ে আসেন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব সব সময় তরুণেরাই দিয়েছেন, কিন্তু নীতিনির্ধারণে গিয়ে আর এই তরুণেরা থাকেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ
  • গণ–অভ্যুত্থান সফল না হলে হয়তো আমাদের অনেককে পরে শহীদ হতে হতো: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
  • ব্যাংক খাত সংস্কার: সফলতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর
  • ৭৩ বছরে রাবি: গবেষণা-উচ্চশিক্ষাসহ চাকরি ক্ষেত্রে গৌরবময় যাত্রা
  • চিচিঙ্গা চাষে সফল কৃষক নুরুল