জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী যোদ্ধা শহীদ মো. হাসানের মরদেহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তারা মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শহীদ হাসানের পরিবারের সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বিচি গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু

মাত্র ২৫ বছর বয়সী মো. হাসান গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১টা ১০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শহীদ হাসানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তার শেষ ইচ্ছা ছিল নিজ জন্মভূমি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দাফন হওয়া। মায়ের অনুরোধেও সেখানে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত গণঅভ য ত থ ন জ ল ই গণঅভ য ত থ ন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পাননি সরকারি সহায়তা 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হাসিবুর রহমান (১৭) ‘শহীদ’ হিসেবে গেজেটভুক্ত হলেও সরকারী সহায়তা পায়নি পরিবার। 

৬ জুলাই দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে হাসিবের পরিবার থেকে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাসিবের বড় চাচা তোতা মিয়া ঢালী। 

তিনি জানান, শহীদ হাসিবের বাবা দেলোয়ার হোসেন ঢালী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। তার দেখভাল করেন হাসিবের বৃদ্ধ দাদি, যিনি নিজেও শারীরিকভাবে অক্ষম। পরিবারটি বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। 

তোতা মিয়া ঢালী বলেন, “ শহীদ হাসিব গেজেটভুক্ত হলেও আমরা অধিকাংশ সরকারি সাহায্য পাইনি। আমাদের পরিবারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যদিও হাসিব দেশের ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে।”

‘‘ভাতার জন্য বিভিন্ন স্থানে আমরা ঘুরেছি। শিঘ্রই হয়ে যাবে এমন আশ্বাস পেলেও জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।’’ অভিযোগ তোতা মিয়া ঢালীর। 

শহীদ হাসিবুর রহমানের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার উত্তর কানাইপুর গ্রামে। অভাব অনটনের সংসারে বড় হয়েছিলেন হাসিব। প্রতিবন্ধী পিতা আর নিজের ভরণপোষণের জন্য রং মিস্ত্রির কাজ শুরু করেন ঢাকার সাভারে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তিনি ৫ আগস্ট সাভারে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট হাসিব মারা যান। পরে তাকে দাফন করা হয় পৈত্রিক ভিটায়। তার সরকারি গেজেট নং ৭৭৭। 

দাদীর কাছে বড়ো হতে থাকেন মা-হারা হাসিব। নাতির মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না দাদী সিরাতুননেছা। তিনি বলেন, ‘‘আমার নাতি অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছিল। ওর বাবা প্রতিবন্ধী। আমি তাকে মুখে তুলে খাওয়াই। আমার নিজেরই বয়সের কারণে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়; তবু করি। এ অবস্থায় নাতিটা মারা গেলো। শহীদ পরিবারের সবাই ভাতা পেলেও আমার ছেলে দেলোয়ার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত।’’ 

এ বিষয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন আক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, হাসিবের পরিবারের প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা ও ভাতা প্রাপ্তির জন্য তিনি উদ্যোগ নিবেন।

বেলাল//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সানেমের জরিপে নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে পুরোনো বার্তা
  • শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ‘ট্রেলারমাত্র’: তাজুল ইসলাম
  • গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ‘ট্রেলারমাত্র’: তাজুল ইসলাম
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে’ গুলি করে পুলিশ: সপ্রানের গবেষণা
  • গণঅভ্যুত্থানে গুলি চালানোর নির্দেশ হাসিনা নিজেই দিয়েছিলেন: নাহিদ
  • সিরাজগঞ্জে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
  • অভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে চাই বৈষম্যের বিলোপ: সাইফুল হক
  • জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা করাবেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী
  • দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পাননি সরকারি সহায়তা