অভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে চাই বৈষম্যের বিলোপ: সাইফুল হক
Published: 9th, July 2025 GMT
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান বার্তা হচ্ছে রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্যের বিলোপ ঘটানো। তাই গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে সব ধরনের বৈষম্যের বিলোপ ঘটাতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাঙামাটির বড়ুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, যেখানে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের ধর্ম ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের জন্য অধিকারের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মানেই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র।
তিন পার্বত্য জেলায় আঞ্চলিক পরিষদসহ জেলা-উপজেলা স্তরে স্থানীয় সরকারে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। বড়ুয়া সম্প্রদায়ের আট দফা দাবির প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি।
মিলন বডুয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য আকবর খান, ভদন্ত অদিতানন্দ মহাথেরো, ত্রিদিব বড়ুয়া টিপু, প্রকাশ কুসুম বড়ুয়া, ধীমান বড়ুয়া, জিনপদ বড়ুয়া, শ্যামল চৌধুরী, জুয়েল বড়ুয়া, শম্ভু বড়ুয়া, অপু বড়ুয়া, দেবাশীষ বড়ুয়া, জনি বডুয়া প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আশুরায় উজ্জীবিত হয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে
আশুরার চেতনায় উজ্জিবিত হয়ে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
শুক্রবার (৬ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, “আশুরা ইসলাম শুধু না বরং বিশ্বের ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক দিন। অনেক জালিমের পতন হয়েছে এই দিনে। ইসলামের ইতিহাসেও অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক অবিনশ্বর ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত এই আশুরা দিবস। আশুরার এই দিনে হজরত হোসাইনের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের ‘কারবালা’ জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।”
আরো পড়ুন:
শিশুদের নিয়ে ইবি সিআরসি স্কুলের ফল উৎসব
সমকামীকে দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রিভিউ দাবি
আশুরার রাজনৈতিক দিকের সাথে সাথে ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে দলটির আমির বলেন, “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার দিনে এবং তার আগের বা পরের দিন রোজা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা মান্য করে ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে এইদিন অতিবাহিত করা উচিৎ।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ