বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান বার্তা হচ্ছে রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্যের বিলোপ ঘটানো। তাই গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে সব ধরনের বৈষম্যের বিলোপ ঘটাতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  রাঙামাটির বড়ুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, যেখানে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের ধর্ম ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের জন্য অধিকারের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মানেই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। 

তিন পার্বত্য জেলায় আঞ্চলিক পরিষদসহ জেলা-উপজেলা স্তরে স্থানীয় সরকারে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। বড়ুয়া সম্প্রদায়ের আট দফা দাবির প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি। 

মিলন বডুয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য আকবর খান, ভদন্ত অদিতানন্দ মহাথেরো, ত্রিদিব বড়ুয়া টিপু, প্রকাশ কুসুম বড়ুয়া, ধীমান বড়ুয়া, জিনপদ বড়ুয়া, শ্যামল চৌধুরী, জুয়েল বড়ুয়া, শম্ভু বড়ুয়া, অপু বড়ুয়া, দেবাশীষ বড়ুয়া, জনি বডুয়া প্রমুখ।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ১৫টি কেন্দ্রে ৬০টি নির্বাচনি কক্ষে ভোট শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের শুরুতেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।  

আরো পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় ২২ বার যাতায়াত করবে শাটল ট্রেন

চাকসু জাতীয় নির্বাচনের জন্য রিহার্সেল: চবি উপাচার্য

চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে মোট ভোটারের ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েচে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করছেন।

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন ৯০৮ প্রার্থী। এর মধ্যে শুধু চাকসুর ২৬টি পদে লড়বেন ৪১৫ জন প্রার্থী। চাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী পাঁচটি নির্বাহী সদস্য পদে ৮৫ জন।

৬০টি নির্বাচনি কক্ষের প্রত্যেকটি কক্ষে রয়েছে পাঁচটি ব্যালট বাক্স। একটি কক্ষে ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ভোটার পাচ্ছেন ১০ মিনিট সময়। একজন ভোটার চাকসুতে ২৬টি ও হল সংসদে ১৪টিসহ মোট ৪০টি ভোট দিচ্ছেন। 

চাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন শিক্ষার্থী। ছাত্র ভোটার শতকরা ৫৮.৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রী ভোটার ৪১.১৭ শতাংশ। মোট ভোটারের ৭০ শতাংশই অনাবাসিক, বাকি ৩০ শতাংশ ভোটার থাকেন হল, হোস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কটেজে।

ঢাকা/রেজাউল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ