আবার ইউরোপের পণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি, সম্মানজনক চুক্তি চায় ইইউ
Published: 25th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে সেই চুক্তি হতে হবে ‘সম্মানের ভিত্তিতে’, ‘হুমকি’ দিয়ে চুক্তি করা যাবে না, ইইউর বাণিজ্য কমিশনার মারোশ সেফকোভিচ এ কথা বলেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন, ইউরোপ থেকে আমদানি হওয়া সব পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইইউর বাণিজ্য কমিশনার মারোশ সেফকোভিচ বলেন, ইইউ এখনো আলোচনায় আছে, উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক, এমন চুক্তি করতে চায় ইইউ।
মারোশ আরও বলেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কের সঙ্গে তুলনীয় কিছু নেই এবং তা পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতেই পরিচালিত হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে ইইউ নিজের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রস্তুত, এ কথাও বলেন তিনি। গত শুক্রবার এক ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার ও বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিকের সঙ্গে কথা বলেন সেফকোভিচ।
এর আগে শুক্রবার সকালে ট্রাম্প বলেন, ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা এগোচ্ছে না, এ বিষয়ে তিনি অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। ফলে আগামী ১ জুন থেকেই বাড়তি শুল্ক কার্যকর হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো চুক্তির খোঁজে নেই, চুক্তি আমরা ঠিক করে ফেলেছি।’ পরে তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউরোপীয় কোনো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে বড় বিনিয়োগ করলে তিনি কিছুটা ছাড় দিতে পারেন, অর্থাৎ বিলম্ব করতে পারেন। আগে যে কথা তিনি বারবার বলেছেন আবারও সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য তৈরি বা উৎপাদন করা হলে শুল্ক দিতে হবে না।
মার্কিন সরকারি তথ্যানুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার। গত বছর তারা যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন বা ৬০ হাজার কোটি ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করেছে; সেখান থেকে আমদানি করেছে ৩৭০ বিলিয়ন বা ৩৭ হাজার কোটি ডলারের পণ্য।
ট্রাম্পের হুমকির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। তারা বলেছে, উচ্চ শুল্ক উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেন, ‘এই পথে আমাদের হাঁটার দরকার নেই, আলোচনাই সবচেয়ে টেকসই উপায়।’ ফ্রান্সের বাণিজ্যমন্ত্রী লরাঁ স্যাঁ-মার্টিন বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা প্রশমনে আগ্রহী, তবে প্রয়োজন হলে জবাব দিতেও প্রস্তুত।’ জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্যাথরিনা রাইখে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমাধানে পৌঁছাতে “আমাদের সবকিছু করা উচিত”।’ ডাচ প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কোফ বলেন, ‘আমরা আগেও দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় শুল্ক কখনো বাড়ে, কখনো কমে। আমরা ইইউর কৌশলের সঙ্গেই আছি।’
এদিকে ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা ও রক্ষণশীল গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের স্টিফেন মুর বিবিসিকে বলেন, হতে পারে ইউরোপের কিছু দেশকে আলাদা করে আলোচনায় বসতে চাওয়া হবে, যদিও তারা ব্লক হিসেবে আলোচনা করছে। তাঁর মতে, ট্রাম্প আসলে কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো বিশ্বকে চীনের প্রভাব থেকে আলাদা করতে চাচ্ছেন।
এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, যার মধ্যে ইইউ থেকে আসা অধিকাংশ পণ্যে ২০ শতাংশ কর বসানো হয়। পরে সেই শুল্ক আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হলেও ১০ শতাংশের একটি ভিত্তিগত কর বহাল রাখা হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে বাড়তি শুল্ক অনেকটা কমিয়েছে, যদিও তা এখন পর্যন্ত অনেক বেশি। কিন্তু ইউরোপের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ২৫ শতাংশ কর বহাল রাখা হয়। জবাবে ইইউও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়—২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে ২৫ শতাংশ কর বসানোর হুমকি দিলেও আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন আরও ৯৫ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে ইইউ।
ট্রাম্পের মূল অভিযোগ, ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রে বেশি পণ্য রপ্তানি করে, কিন্তু সেখান থেকে আমদানি করে কম। এতে বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। তাঁর ভাষ্যে, এই বাণিজ্যঘাটতি মার্কিন কোম্পানির জন্য ‘অন্যায্য’।
এদিকে আইফোন নির্মাণকারী কোম্পানি অ্যাপলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি না হলে আইফোনের ওপর অন্তত ২৫ শতাংশ করারোপ করা হবে। পরবর্তীকালে তিনি আরও বলেন, যেকোনো স্মার্টফোনেই সেই শুল্ক কার্যকর হতে পারে।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারে ইউরোপের বাজার হোঁচট খেয়েছে। ট্রাম্পের নতুন হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়। জার্মানির ড্যাক্স ও ফ্রান্সের কাক ৪০ সূচকেরও ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প ইউর প য় ইউর প র বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ এশিয়ার সেরা প্রথম আলো
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাহসী সাংবাদিকতা, তরুণ পাঠকদের যুক্ততা ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল প্রথম আলো।
সংবাদমাধ্যমের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’-এ প্রথম আলো পেয়েছে ‘দক্ষিণ এশিয়ার সেরা’র পুরস্কার। এতে বিশ্বের ছয়টি অঞ্চল থেকে ছয়টি উদ্যোগকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত করা হয় প্রথম আলোকে।
বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমগুলোতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও শ্রেষ্ঠ চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয় গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। এটি গণমাধ্যমের জন্য সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ দুটি শ্রেণিতে আরও দুটি পুরস্কার পেয়েছে প্রথম আলো। ‘বেস্ট আইডিয়া টু এনকারেজ রিডার এনগেজমেন্ট’ শ্রেণিতে (ক্যাটাগরি) প্রথম আলো প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এই শ্রেণিতে পেরুর এল কমার্সিও গ্রুপ দ্বিতীয় এবং নরওয়ের শিবস্ট্যাড মিডিয়া তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
‘বেস্ট ইউজ অব অ্যান ইভেন্ট টু বিল্ড এ নিউজ ব্র্যান্ড’ শ্রেণিতে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড’ উদ্যোগের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে প্রথম আলো। এই শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডো জোন্স এবং দ্বিতীয় হয়েছে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের এডিসন হোটেলের বলরুমে বৃহস্পতিবার স্থানীয় নিউইয়র্ক সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টা) গণমাধ্যমের বিশ্ব কংগ্রেসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম আলোর খবর ছিল সাহসী সাংবাদিকতার প্রতিচ্ছবি। পরবর্তী সময়ে গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত প্রথম আলোর নানামুখী উদ্যোগ ছিল অনন্য। যার ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রথম আলো এই সর্বোচ্চ পুরস্কার পেল।
বিশ্বের ৯৩টি দেশের ১ হাজারের বেশি সংবাদমাধ্যমের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (ইনমা)। তারা ১৯৩৭ সাল থেকে সংবাদমাধ্যমের নানা ধরনের অনন্য উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়ে আসছে।
বিভিন্ন দেশের পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, টেলিভিশন ও রেডিওর জন্য অন্যতম সম্মানজনক এই প্রতিযোগিতায় এবার ৪৯টি দেশের ২৮৬টি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান থেকে জমা পড়ে ৮৩৯টি উদ্যোগ। এর মধ্য থেকে ১৯৮টি উদ্যোগকে ‘ফাইনালিস্ট’ (প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে স্থান পাওয়া) নির্বাচিত করে বিশ্বের ২৬টি দেশের ৬০ জন সংবাদমাধ্যম নির্বাহীর সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ড (বিচারক প্যানেল)। সেখান থেকে ৭টি বিভাগে ২০টি শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রথম আলো ছাড়াও এ বছরের পুরস্কারপ্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য বোস্টন গ্লোব, যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, কানাডার টরন্টো স্টার, নরওয়ের অ্যামেডিয়া, নিউজিল্যান্ডের দ্য ওয়াইকাতো টাইমস, স্পেনের প্রিসা মিডিয়া ও দ্য ভসেন্তো, সুইডেনের এনটিএম, ফিনল্যান্ডের আলমা মিডিয়া, ব্রাজিলের আরবিএস গ্রুপ, ভারতের দ্য হিন্দু, জাগরণ প্রকাশন ও এপিবি, অস্ট্রেলিয়ার নিউজ করপোরেশন, হংকংয়ের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমের মালিক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর ই-শিক্ষা উদ্যোগ কিরণ ‘বেস্ট কমার্স প্রোডাক্ট অর সার্ভিস’ শ্রেণিতে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
প্রথম আলো বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায় আগেও সাফল্য পেয়েছে। এর আগে ইনমায় বাংলাদেশ থেকে প্রথম আলো ২০২১ সালে একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি, ২০২২ সালে একটি প্রথম স্থান ও একটি দ্বিতীয় স্থান, ২০২৩ সালে একটি দ্বিতীয় স্থান ও একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি এবং ২০২৪ সালে একটি দ্বিতীয় স্থান, একটি তৃতীয় স্থান ও একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করে।
দক্ষিণ এশিয়ার সেরার পুরস্কার২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রথম আলো ধারাবাহিকভাবে সব খবর বস্তুনিষ্ঠভাবে ছাপা পত্রিকা, ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠকদের জন্য প্রকাশ করেছে। এ সত্য ও সাহসী খবরের কারণে সাধারণ পাঠকদের সত্য খবর জানার প্রধান উৎস হয়ে ওঠে প্রথম আলো।
আন্দোলনের ৩৬ দিনে (১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট) প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ প্রথম আলো ডটকমে পেজ ভিউ (পাঠক কতবার পড়েছেন) হয়েছে ৩১ কোটি। শুধু আগস্ট মাসে প্রথম আলো ডটকম ৩৫ কোটি পেজ ভিউ পেয়েছে, যা বাংলাদেশের যেকোনো গণমাধ্যমের জন্য একটি মাইলফলক।
৩৬ দিনে ৩১ কোটি পেজ ভিউর ৪৩ শতাংশ এসেছে জেন-জি (জেনারেশন-জেড) পাঠকদের মধ্য থেকে। অর্থাৎ, পাঠকের বড় অংশই ছিল তরুণ, বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছর। তাঁরা সাধারণ সময়ের চেয়ে ৭৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি ‘এনগেজমেন্ট’ করেছে প্রথম আলোতে। ওই সময় পত্রিকার প্রচারসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল ২ লাখ কপি।
ডিজিটাল আর্কাইভজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার, স্লোগান, মতামত, গ্রাফিতি, ছবি ও ভিডিও নিয়ে প্রথম আলো একটি ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করে। সাইটটিতে ৩৬ দিনের আন্দোলনের দিনপঞ্জি ও মৃত্যুঞ্জয়ীদের বাছাই করা ২৪টি গল্প রয়েছে। আবু সাঈদ থেকে শুরু করে মুগ্ধ, ফারহানদের কথা আছে সেখানে।
আর্কাইভে একনজরে পাওয়া যাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতের তথ্য-উপাত্ত এবং জুলাই জাগরণ নিয়ে প্রথম আলোর বিশেষ প্রদর্শনী ও নানা স্মৃতিস্মারকের ছবি।
শুরু থেকেই প্রথম আলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিষ্ঠার সঙ্গে তুলে ধরেছে। রেখেছে মৃত্যুর হিসাব, করেছে মানবিক ও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন। গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিদ্রোহ-বেদনা ও বীরত্বের কথা উঠে এসেছে সেসব প্রতিবেদনে। দমন-পীড়নের সাহসী ছবি প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন ও পত্রিকায়। এসব নিয়ে প্রথম আলোর বিশেষ এই আর্কাইভ সাইটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪’। সাইটটির ঠিকানা: https://services.prothomalo.com/bidrohe-biplobe/
ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (ইনমা) ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’–এ বিশ্বের ছয়টি অঞ্চল থেকে ছয়টি উদ্যোগকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়া থেকে সেরা নির্বাচিত হয় প্রথম আলো। পুরস্কারজয়ী অন্য পাঁচটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ও আয়োজকদের সঙ্গে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে