প্রথমবারের মতো অ্যান্টিম্যাটার পরিবহনের পাত্র তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 25th, May 2025 GMT
অ্যান্টিম্যাটার মূলত মৌলিক কণা দ্বারা গঠিত পদার্থ যা স্বাভাবিক পদার্থ তৈরির প্রতিকণা। মহাবিশ্বে পদার্থের বিভিন্ন কণার জন্য একটি অ্যান্টিম্যাটার সংস্করণ রয়েছে যা ঠিক একই রকম হলেও তা বিপরীত বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত। প্রোটনের ধনাত্মক চার্জ থাকলে অ্যান্টিপ্রোটনের ঋণাত্মক চার্জ থাকে। পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল এই পদার্থ বহনের জন্য প্রথমবারের মতো দুই মিটার লম্বা বিশেষ ধরনের পাত্র তৈরি করেছেন সার্নের একদল বিজ্ঞানী।
নতুন এই পাত্র তৈরির ফলে ইউরোপের বিভিন্ন গবেষণাগারে অ্যান্টিম্যাটার পরিবহন পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। শুরুতে এই পাত্র ব্যবহার করে অ্যান্টিম্যাটার জার্মানিতে অবস্থিত হাইনরিখ হাইন ইউনিভার্সিটি ডাসেলডর্ফে পাঠানো হবে। সার্নের গবেষণাগার থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, অ্যান্টিম্যাটার ধূলিকণার সংস্পর্শে অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই এ পদার্থ পরিবহনের জন্য বিশেষ ধরনের পাত্র প্রয়োজন। নতুন তৈরি করা বিশেষায়িত পাত্রটিতে অ্যান্টিম্যাটারকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য চৌম্বকীয় ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। এই পাত্রের মাধ্যমে অ্যান্টিম্যাটার নিয়ে আরও বেশিসংখ্যক বিজ্ঞানী গবেষণা করতে পারবেন।
পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল পদার্থ হচ্ছে অ্যান্টিম্যাটার। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানী জিআর শ্মিট, হ্যারল্ড গেরিশ ও জেজে মার্টিন অ্যান্টিম্যাটারের দাম অনুমান করেছিলেন। তখনকার হিসাবে প্রতি আউন্স অ্যান্টিম্যাটারের দাম ধরা হয়েছিল ৬২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। পুরোনো সেই হিসাব অনুযায়ী নতুন পাত্রটিতে সাড়ে ৬২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি দামের অ্যান্টিম্যাটার বহন করা যাবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এনডিটিভি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য পদ র থ র বহন
এছাড়াও পড়ুন:
উইম্বলডনে ছেলেদের ট্রফিতে কেন আনারস
ট্রফিটি দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। রূপায় মোড়ানো ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার ট্রফি। উইম্বলডনের সবুজ গালিচায় ছেলেদের এককে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোনো পুরুষ প্রতিযোগী যখন এ ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরেন, তখন সেই সাফল্যের গর্বই অন্য রকম।
তবে উইম্বলডনে ছেলেদের এককে এই ট্রফিটি ভালোভাবে খেয়াল করলে একটি বিষয় চোখে পড়তে পারে। ট্রফিটির মাথায় যে ছোট্ট একটি আনারস! মানে দেখতে আনারসের মতোই লাগে। দুনিয়ায় এত কিছু থাকতে উইম্বলডনের ট্রফির মাথায় কেন আনারস বসানো, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠতেই পারে।
উত্তর দিয়েছে বিবিসি। আনারস খুব বেশি পাওয়া যায় না, এমন ভেবে ফলটিকে মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ধরে ট্রফির মাথায় তার ভাস্কর্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো, আনরস ফল হিসেবে তো অপ্রতুল হওয়ার কথা নয়? বিবিসি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়ে গেছে অনেক বছর আগে।
আরও পড়ুনপ্রতিবেশীদের কটূক্তি সইতে না পেরে টেনিস খেলোয়াড় মেয়েকে গুলি করে মারলেন বাবা৩ ঘণ্টা আগেবছরে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম টেনিসের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয় ১৮৭৭ সালে। উনিশ শতকে শেষার্ধে ব্রিটেনে আনারস বেশ অপ্রতুল, দামি এবং অভিজাত ফল ছিল। যদিও নাবিক ও অনুসন্ধানকারী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ৪০০ বছর আগেই এই ফলটি ইউরোপে প্রথমবারের মতো ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিংশ শতকের শুরুর দশকে পশ্চিম ইউরোপে রপ্তানির জন্য হাওয়াই আনারস প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। এ কারণে আনারস বেশ মর্যাদাপূর্ণ ফল ছিল তখন।
উইম্বলডনে গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হন কার্লোস আলকারাজ