৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
Published: 25th, May 2025 GMT
৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক ও পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার পুনর্নির্ধারিত তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৪ জুলাই শুরু হয়ে চলবে ৩ আগস্ট পর্যন্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া ৪৬তম বিসিএসের পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ১০ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। পরীক্ষার হলভিত্তিক আসনব্যবস্থা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত বছরের ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে আবারও ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ফলাফল আবার নতুন করে প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ২১ হাজার ৩৯৭ জন। আগের ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীর সঙ্গে নতুন করে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৯ জন।
এই বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ল খ ত পর ক ষ ল খ ত পর ক ষ র প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে: চরমোনাই পীর
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব। তবে তারও আগে প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।
রোববার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা জিতলে একসঙ্গে জিতব। ঠকলে একসঙ্গে ঠকব। কিন্তু মাঝপথে আপনি রণেভঙ্গ দেবেন, মাঝসমুদ্রে আমাদের ফেলে চলে যাবেন, এটা হতে পারে না।’
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, মুহাম্মাদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে মৌলিক সংস্কার শেষ করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সীমার ওপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আস্থা রাখে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারপ্রধানকে কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। বিষয়গুলো হলো প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ফ্যাসিবাদী শক্তি, যারা ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে তাদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে। বিতর্ক তৈরি করে এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও আলাপ–আলোচনা করে নিলে অহেতুক ভুল–বোঝাবুঝি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশের কোনো অনিষ্ট হবে না।
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁরা বলেছেন, ধৈর্য, সাহসিকতা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশবিরোধী সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে মৌলিক সংস্কারগুলো শেষ করবেন এবং জাতিকে কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা দেবেন।