সিনেটে ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ নিয়ে বিতর্ক শুরু
Published: 1st, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৯৪০ পৃষ্ঠার ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিলে করছাড় এবং স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁটের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে এই অধিবেশন চলে। নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) জানায়, বিলটি এক দশকে মার্কিন ঋণ ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার বাড়িয়ে দেবে।
সিবিও আরও জানিয়েছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০৩৪ সালের মধ্যে আরও ১ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন নাগরিক স্বাস্থ্যবীমার আওতার বাইরে চলে যাবে। তবে রিপাবলিকান নেতারা সিবিওর অনুমান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা আগামী শুক্রবারের (স্বাধীনতা দিবস) মধ্যে এই বিল পাস করাতে চান। সে পর্যন্ত যেতে বিলটিকে আরও কয়েকটি ধাপ পাড়ি দিতে হবে। দুই কক্ষ বিলের একই সংস্করণে একমত না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট সই করতে পারবেন না।
শনিবার রাতে পদ্ধতিগত ভোটে বিলটি পাস করার জন্য তারা প্রায় পর্যাপ্ত সমর্থন পেয়েছিলেন। কিছু রিপাবলিকান বিরোধিতা করেছিলেন। ট্রাম্পের ফোনকল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সফর এই আইনটি এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল।
নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস শনিবার বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, মেডিকেইড-এ (স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সহায়তা) ব্যাপক কাটছাঁটের কারণে বিলটির পক্ষে ভোট দেননি। তবে পুনঃভোট হলে আর না ভোটে অংশ নেবেন না। কারণ, না ভোটের প্রতিশোধ হিসেবে প্রাইমারিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘দারুণ খবর! সিনেটর থম টিলিস পুনর্নির্বাচনের জন্য লড়বেন না।’
অন্যান্য সিনেট রিপাবলিকানরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রক্ষণশীলদের সঙ্গে আরও বেশি কাটছাঁটের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মনে রাখবেন, আপনাদের আবার নির্বাচিত হতে হবে। খুব বেশি পাগল হয়ে যাবেন না!’
সিনেটররা চাইলে বিলে সংশোধনী আনতে পারেন। বিলটি আইনে পরিণত হলে ফেডারেল কর কমবে, সামরিক ও সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যয় বাড়বে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব তর ক য ক তর ষ ট র র প বল ক ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মধ্যরাতে বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি
রাতের আকাশ মানেই বিস্ময়। সেই বিস্ময় বাড়াতে আজ বাংলাদেশে রাতের আকাশে চোখ রাখলে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। আকাশপ্রেমীরা আজ মধ্যরাতে এক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবেন। টাইম অ্যান্ড ডেট ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, আজ ঢাকার আকাশে রাত ১১.৩৬ মিনিট থেকে রাত ১টা ০২ মিনিট পর্যন্ত এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে।
আমেরিকান মেটিওর সোসাইটির ফায়ারবল রিপোর্ট সমন্বয়কারী রবার্ট লান্সফোর্ড বলেন, অন্যান্য উল্কাবৃষ্টির তুলনায় লিওনিড ভালোভাবে দেখা যাবে। ভালোভাবে দেখার সময় এখনই। লিওনিড উল্কাবৃষ্টির মূল ধূমকেতুর নাম ৫৫পি/টেমপেল-টাটল। এই ধূমকেতুর জন্যই উল্কাবৃষ্টির সময়কাল হয় খুব সংক্ষিপ্ত। ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের পথটি আকারে ছোট হওয়ায় পৃথিবী খুব অল্প সময়ের জন্য তার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে।
আমেরিকান মেটিওর সোসাইটির রবার্ট লান্সফোর্ড জানান, আজ যে উল্কা দেখা যাবে, তাকে আর্থ গ্রেজার বলা হয়। এর অর্থ হলো, উল্কাবৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে। আকাশের একটি বড় অংশজুড়ে এটি দৃশ্যমান হবে। যদিও খুব বেশি সময় দেখা যাবে না। লিওনিড উল্কাবৃষ্টির সব কার্যকলাপ বেশির ভাগই দিগন্তের নিচে থাকে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে, প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫টি উল্কা দেখার আশা করা যেতে পারে।
লিওনিড উল্কাবৃষ্টি কখনো কখনো বিশাল উল্কাঝড় তৈরি করার জন্য সুপরিচিত। উল্কাঝড়ের সময় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত এক হাজার উল্কা দেখা যায়। সর্বশেষ লিওনিড উল্কাঝড় হয়েছিল ২০০২ সালে। সবচেয়ে স্মরণীয় ঝড় দেখা যায় ১৯৬৬ সালে। সে সময় পৃথিবী লিওনিড স্রোতের ঠিক কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করেছিল। তখন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪০টি উল্কাপাত হয়। সেই ঝড়ের সময় আকাশে এত বেশি উল্কার কার্যকলাপ দেখা যায়, তখন মনে হচ্ছিল যেন আকাশ থেকে বৃষ্টি নামছে।
রবার্ট লান্সফোর্ড জানান, পরবর্তী উল্কাবৃষ্টি ধূমকেতুর কক্ষপথের চক্রের সঙ্গে মিলে যাবে। সেটা ঘটবে ২০৩৩ সালে। ধূমকেতু ৫৫পি যখন কক্ষপথে সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে বা পেরিহিলিয়নে পৌঁছায়, তখন উল্কার কার্যকলাপ অনেক বেড়ে যায়। ধূমকেতু একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৩৩ বছর সময় নেয়। এ কারণে বড় লিওনিড উল্কাবৃষ্টি বা উল্কাঝড় প্রায় ৩৩ বছর অন্তর ঘটে। ঝড় হওয়ার জন্য পৃথিবীকে পেরিহিলিয়নের সময় ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের ঘন অংশের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
সূত্র: সিএনএন