শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু
Published: 1st, July 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হন। শহীদের কবর জিয়ারতে অংশ নেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
কবর জিয়ারত শেষে এনসিপি নেতারা শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেন এবং শ্রদ্ধা জানান।
পরে নেতারা জানান, কবর জিয়ারতের পর তারা গাইবান্ধার পথে রওনা হন, যেখানে পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৩টায় রংপুরের পার্কের মোড়, লালবাগ, শাপলা চত্বর এবং জাহাজ কোম্পানির মোড় অতিক্রম করে টাউন হলে এক পথসভা করার কথা রয়েছে।
এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি চলবে ১ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে গণসমাবেশ, পথসভা, মিছিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
এনসিপি নেতাদের ভাষ্য, এই পদযাত্রার লক্ষ্য হলো—জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাসকে স্মরণ করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানানো এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণজাগরণ তৈরি করা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প ই পদয ত র স ঈদ র এনস প সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের মতো নির্বাচন হলে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে: গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সর্বশেষ তিনটি (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) বছরের মতো হলে জাতির ভাগ্যে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে। আজ শনিবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ করুন। প্রত্যেক প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পেয়ে নির্বাচনী কাজ করতে পারেন। অতীতে যারা কোনো বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করেছেন, সেসব ওসি ও এসপি পালিয়ে গেছেন। তাঁরা এখন ট্রাইব্যুনালে হাজির। প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের খতিব, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনারও পালিয়ে গেছেন। ওসিরা চাকরি ছেড়ে বর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়া চলে গেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধেও যদি সেই অভিযোগ আসে, আপনারা কিন্তু পালানোর পথ পাবেন না।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫৪ বছরে অনেক দল ও মার্কা দেখেছি। নৌকা, লাঙ্গল, ধানের শীষ দেখেছি। প্রতিটি শাসনে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে; ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অন্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। সুতরাং মানবরচিত বিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হলে দেশে শান্তি আসতে পারে না, এটি প্রমাণিত। তাই আসুন ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের রাষ্ট্র গড়ি।’
জামায়াতে সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ইতিমধ্যে নতুন প্রজন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন এনেছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতি আগামী নির্বাচনেও দেশে একটি পরিবর্তন আনবে ইনশা আল্লাহ।
খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে ওই পথসভার পর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, খর্ণিয়া, চুকনগর, আঠারোমাইল, রুদাঘরা, রঘুনাথপুর, শাহপুর, ধামালিয়া, জামিরা, ফুলতলা, দামোদর হয়ে শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
খুলনার জিরো পয়েন্টের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানার আমির জি এম আবদুল গফুর। সেখানে বক্তৃতা দেন খুলনা-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির ও সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসাইন, ডুমুরিয়া উপজেলার আমির মোক্তার হোসেন, ফুলতলা উপজেলার আমির আবদুল আলিম, খানজাহান আলী থানার আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ, হরিণটানা থানার সেক্রেটারি ব ম মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।