মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ ফয়সালের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জ আমলী আদালত-১–এর বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.

মহিউদ্দিনের ছেলে।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এতে গুলিতে সজল মোল্লা, রিয়াজুল ফরাজী ও নূর মোহাম্মদ নামের তিনজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক মানুষ। ঘটনার পর মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় তিনটি হত্যা ও একাধিক হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ‘হুকুমের আসামি’ হিসেবে মোহাম্মদ ফয়সালের নাম উল্লেখ করা হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদ ফয়সালের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা ও তিনটি হত্যাচেষ্টাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। সজল হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গত ২২ জুন রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মোহাম্মদ ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁকে ঢাকা কারাগার থেকে মুন্সিগঞ্জ কারাগারে আনা হয়।

আজ সকালে মোহাম্মদ ফয়সালকে আদালতে তোলার আগে থেকেই বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। তাঁরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১০ মোটরসাইকেলে বেপরোয়া গতিতে কিশোরদল, দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়ায় বেপরোয়া গতিতে চলা মোটরসাইকেলের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি ধাক্কা লাগায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের নিপলু বিশ্বাসের ছেলে মো. নাহিন (১৬) ও একই উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে মো. সিয়াম (১৫)।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার কুষ্টিয়া-পাবনা আঞ্চলিক মহাসড়কের যাত্রী ছাউনি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০টি মোটরসাইকেলে করে উঠতি বয়সী কয়েকজন কিশোর লালন শাহ সেতু থেকে ভেড়ামারা অভিমুখে বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিলো। সেসময় পাবনা অভিমুখে যাওয়া একটি পিকআপের সাথেএকটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী নাহিন ও সিয়াম মারাত্মকভাবে আহত হন। 

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে নাহিন নামের কিশোরের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়াম নামের অপর কিশোরও মারা যান।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল রব তালুকদার দুই কিশোরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের পরিবারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া পিকআপটিকেও খোঁজা হচ্ছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ