মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল ৭ দিনের রিমান্ডে
Published: 1st, July 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ ফয়সালের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জ আমলী আদালত-১–এর বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এতে গুলিতে সজল মোল্লা, রিয়াজুল ফরাজী ও নূর মোহাম্মদ নামের তিনজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক মানুষ। ঘটনার পর মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় তিনটি হত্যা ও একাধিক হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ‘হুকুমের আসামি’ হিসেবে মোহাম্মদ ফয়সালের নাম উল্লেখ করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদ ফয়সালের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা ও তিনটি হত্যাচেষ্টাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। সজল হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ২২ জুন রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মোহাম্মদ ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁকে ঢাকা কারাগার থেকে মুন্সিগঞ্জ কারাগারে আনা হয়।
আজ সকালে মোহাম্মদ ফয়সালকে আদালতে তোলার আগে থেকেই বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। তাঁরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে আসাদুজ্জামান ধ্রুব (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।
ধ্রুবর চাচা সাদিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মেরুল বাড্ডার ভাড়া বাসায় থাকতেন ধ্রুব। তার মা–বাবা গ্রামে থাকেন। ধ্রুবর গ্রামের বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া থানায়। তার বাবা শামসুজ্জামান বাবুল মোটর পার্টস ও লেদ ব্যবসায়ী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে ধ্রুব ছিলেন ছোট। তিনি জানান, সোমবার বিকেলে ধ্রুবর মা ছেলেকে কল করে না পেয়ে, তাকে (সাদিকুর) জানান। তিনিও একাধিকবার কল দেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি ওই বাসায় যান। সেখানে গিয়ে ধ্রুবর ঘর ভেতর থেকে বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাননি। পরে বাড়িওয়ালার সহায়তায় বাড্ডা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ধ্রুবর অচেতন দেহ উদ্ধার করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।