নেতানিয়াহুর ঘুম সত্যিই যেভাবে কেড়ে নেওয়া যেত...
Published: 1st, July 2025 GMT
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে; কিন্তু এসব পদক্ষেপ মূলত প্রতীকী। আর এখানে ক্ষোভটাও যে লোক দেখানো সেটা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভালো করেই জানেন।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ যখন গাজায় অনাহারে থাকা বেসামরিক মানুষদের কাছে খাদ্যসহায়তা পৌঁছানো হলে নেতানিয়াহুর সরকারকে ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন, তখন ইউরোপের নেতারা কিন্তু ক্ষোভে ফেটে পড়েননি; বরং তাঁরা খুব নিচু স্বরে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার কথা বলেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাম্প্রতিক এক পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত দিয়েছেন ১৭ জন। আর বিরোধিতা করেছেন ১০ জন। ফলাফল কী হলো? ব্যবস্থা হলো খুবই লঘু। কেউ ভিসা বাতিল করলেন, কেউ আবার অ্যাকাউন্ট জব্দ করলেন। আর এর মধে৵ই নিরীহ মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ চলতেই থাকল।
এসব আসলে ইসরায়েলকে বাধা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নয়। এটা কেবল কূটনৈতিক নাটক। আর নেতানিয়াহু? তিনি কাঁপছেন না, হাসছেন। এটা একটা খুবই পুরোনো আর পরিচিত অনুশীলন। ইসরায়েল হামলা বাড়ায়। গাজা রক্তাক্ত হয়। পশ্চিমারা অসহায়ভাবে হাত মলে আর নেতানিয়াহু হাসেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন যতই মানবাধিকার আর নিয়মভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার কথা বলুক না কেন বাস্তবে তারা এর ধারেকাছে দিয়ে হাঁটে না। ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ এখন পর্যন্ত প্রায় লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, প্রায় গোটা গাজার বাসিন্দাদের উৎখাত করেছে এবং গাজাকে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। এ সবকিছুর প্রতিক্রিয়ায় ব্রাসেলস যা করছে, সেটা প্রায় ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের পর্যায়ে পড়ে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাণিজ্য স্থগিত বা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে বরং ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ’ নিয়েছে। তাদের ভিসা না দেওয়া এবং তাদের সম্ভাব্য ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পদক্ষে নেওয়া হয়েছে। যেন এই দুই ব্যক্তি—যাঁরা স্পষ্টভাবে সেটলারদের সহিংসতা ও জাতিগত নিধনের পক্ষে সাফাই গান, তাঁরা প্যারিসে ছুটি কাটানোর জন্য অস্থির হয়ে উঠেছেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য নির্বিঘ্নেই চলছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাক্ষরিত সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তির ২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষকে মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। এখন সেই অনুচ্ছেদ নীতিতে নয়, শুধু প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেঁচে আছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বহুবার প্রমাণ করেছেন যে প্রয়োজনে তাঁরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের বিরুদ্ধে তাঁরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের ক্ষেত্রে সেই রাজনৈতিক সদিচ্ছা রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। এর পরিবর্তে তাঁরা ‘পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছেন বলে ফাঁপা বিবৃতি দেন।
বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন–গভির কোনো প্রান্তিক চরিত্র নন। নেতানিয়াহুর বর্তমান জোটের তাঁরা কেন্দ্রীয় স্তম্ভ। স্মোট্রিচ কেবল ইসরায়েলের অর্থনীতি দেখেন না, পশ্চিম তীরে দখলদার নীতি বাস্তবায়নের বড় অংশের দায়িত্বেও তিনি রয়েছেন। বেন–গভির ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং সেটলার আন্দোলনের প্রধান মুখও তিনি।
স্মোট্রিচ সম্প্রতি হুমকি দিয়েছেন, যদি গাজায় মানবিক সাহায্য ঢুকতে দেওয়া হয়, তবে তিনি সরকার ভেঙে দেবেন। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়াব্যবস্থা হলো ভিসা না দেওয়ার আলাপ। অথচ তিনি একসময় গাজাকে ‘মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার’ ডাক দিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি শিশুদের ‘ছোট সাপ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
বেন–গভির চরমপন্থী রাব্বি মেইর কাহানের অনুসারী। উসকানি ও প্ররোচনাকে বেন–গভির তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের অংশ করে তুলেছেন। তিনি সেটলারদের হাতে অস্ত্র দেওয়ার পক্ষপাতী এবং তাদের আইনি জবাবদিহি থেকে রক্ষা করার পক্ষে যুক্তি দেন। তাঁর উত্থান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি ইসরায়েলি রাজনীতিতে যে কট্টর ডানপন্থী ঢেউ চলছে, তারই উপসর্গ।
স্মোট্রিচ ও বেন–গভিরের বিরুদ্ধে প্রতীকী শাস্তির পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বোঝাতে চায়, নেতানিয়াহু একজন যুক্তিসংগত নেতা। কিন্তু তিনি কট্টরপন্থীদের হাতে জিম্মি। কিন্তু এটি পুরোপুরি একটি কল্পকাহিনি। স্মোট্রিচ ও বেন–গভির নেতানিয়াহুর বোঝা নন; বরং তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল সাগরেদ। এই কট্টরপন্থী মতাদর্শই তাঁর জোটকে আঠার মতো আটকে রেখেছে। শুধু দু-একজনকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মানে হচ্ছে, বুলেটের ক্ষতে শুধু ব্যান্ডেজ লাগিয়ে সেটিকে অস্ত্রোপচার বলে চালিয়ে দেওয়ার মতো একটি লোকদেখানো আয়োজন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউরোপের জনসাধারণকে শান্ত রাখা। ইসরায়েলের যুদ্ধযন্ত্রকে থামানো নয়।
ইসরায়েল কোনো ‘উচ্ছেদে যাওয়া অংশীদার’ নয়; বরং ইসরায়েল পশ্চিমা কাঠামোর সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। ইসরায়েল একদিকে যেমন সামরিক ঘাঁটি, আবার অন্যদিকে প্রযুক্তি রপ্তানিকারক ও নজরদারি প্রযুক্তির উদ্ভাবক। ইসরায়েল হচ্ছে এমন একটি ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’যেটি নানা রকম সুবিধা ভোগ করে। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দেয়। ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করছে।
দখলদারত্ব বজায় থাকার অভিজ্ঞতা থেকে ইসরায়েল যে সব নজরদারি ও দমন-পীড়ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, সেটি তারা বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে।
কূটনৈতিকভাবে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা বিশ্বের প্রক্সির ভূমিকা পালন করে। ইসলামবিরোধী বয়ানের মিশেলে ইসরায়েল ইরানবিরোধী প্রচারণা বাড়িয়ে চলেছে বহু পুরোনো ঔপনিবেশিক কাঠামোকেই শক্তিশালী করে।
এ কারণেই ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধগুলোকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলা হয়; কিন্তু এর জন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ রাশিয়া যখন ইউক্রেনে বোমা ফেলে, পশ্চিমা বিশ্ব তখন যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি তোলে; কিন্তু যখন ইসরায়েল গাজায় বোমা ফেলে, তখন তারা ‘সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানায়।
এটা শুধু দ্বৈতনীতি নয়, এটাই আসল নীতি। আর ইসরায়েল জানে কীভাবে সেই নীতিকে কাজে লাগাতে হয়।
বাণিজ্য স্থগিত, অস্ত্র বিক্রি বন্ধ এবং ইসরায়েলি নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো হলেই প্রকৃত চাপটা আসতে পারে। এর পরিবর্তে পশ্চিমা বিশ্ব শুধু বিবৃতি দেওয়ায় এবং কার্যকর পদক্ষেপের জায়গায় দূর থেকে দেখার পথ বেছে নিয়েছে।
জাসিম আল-আজজাওয়ি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
মিডলইস্ট মনিটর থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদক ষ প ইউন য ন ইউর প য ব যবস থ ইসর য় ল মন ত র ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত ‘আমা দাবলাম’ জয় করছেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। গত ৪ নভেম্বর নেপাল সময় দুপর ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার এই পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
পর্বতারোহণ বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসাবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আরো পড়ুন:
রঙ হারাচ্ছে অদম্য মেধাবীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন
উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ
আমা দাবলাম খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।
চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, “আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সব তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।”
তিনি বলেন, “আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সব প্রাণী শক্তিশালী। আসুন, ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরো বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।”
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছাড়েন তৌকির। এরপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় তার মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তৌকির শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা এক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষার পাত। এই তুষার পাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১ এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফিট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরো খারাপ হলে তাদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাবার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম পর্বত
তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচদিন। তরপর সুখবর আসে রুট ওপেন হবার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এইদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌছান তিনি।
তৌকির বিশ্বাস করেন, “স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।”
তরুণ এই পর্বতারোহী এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৌকির ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারো উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক ও ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
তারও আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৌকির খুম্বু রিজিওনের ৫০৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন এবং ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন।
তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল-ই তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন
ঢাকা/মাসুদ