টাঙ্গাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তার বদলি চান ১২ ইউপি সদস্য
Published: 1st, July 2025 GMT
টাঙ্গাইলে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবিরকে অন্যত্র বদলির জন্য জেলা প্রশাসক কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ১২ জন ইউপি সদস্য।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক বরাবর এই লিখিত আবেদন করেন তারা।
আবেদনকারী ইউপি সদস্যরা হলেন- মোছা.
আরো পড়ুন:
দৌলতপুরে পরীক্ষা দিতে এসে হামলার শিকার ২ শিক্ষার্থী
কুমিল্লায় বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ
লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলাধীন ৮ নং বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবির যোগদানের পর থেকে ইউপি সদস্যদের অবমূল্যায়নের পাশাপাশি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। ইউপি সদস্যদের পরামর্শ না করে সামাউন কবির তার মতো স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতাত করে পরিষদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
ইউনিয়নের জনসাধারণের জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধনসহ যে কোনো কাজে আসলে আইনের ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে সরকারি ফি’র বাহিরে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করেন। এতে জনসাধারণ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
আবেদনে থেকে আরো জানা যায়, সামাউন কবির বাঘিল ইউনিয়নে আসার আগে যেসব ইউনিয়নে চাকরি করেছেন প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একই ধরনের আচারণ করেছেন। তিনি কয়েকবার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এই ধরনের লোকের জন্য আমাদের পরিষদের কাজ চালানো সম্ভব নয়। তাকে অন্যত্র বদলির জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবিরের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. মেহেদী হাসান বলেন, “পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে লিখিত আবেদনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. শিহাব রায়হানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে