আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, তাঁর দল মতাদর্শ কিংবা ক্ষমতাকেন্দ্রিক কোনো জোটের পক্ষে নয়, বরং বৈষম‍্যবিরোধী ও সংস্কারের পক্ষের সব গণতান্ত্রিক শক্তির জোট গঠনে আগ্রহী।

গত জুলাইয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রশ্নে সবাই এক হয়েছিল। তাহলে আজ সংস্কার নিয়ে এত দ্বিধা কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু।

আজ মঙ্গলবার ৩৬ দিনব্যাপী এবি পার্টির জুলাই উদ্‌যাপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান ছিল।

এবি পার্টির ৩৬ দিনব্যাপী জুলাই উদ্‌যাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জুলাই শহীদ নাজমুল কাজীর স্ত্রী মারিয়া সুলতানা ও সন্তান আরিয়ানা কাজী নুজাইরাহ।

অনুষ্ঠানে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের মনে রাখতে হবে, রাজনীতিতে দিল্লির মতো কোনো বিদেশি শক্তি যেন আর বাংলাদেশের মাথায় ছড়ি ঘোরাতে না পারে। জুলাই শহীদদের ভুলে গেলে আমাদের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে পড়বে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘আবারও বিভেদ–বিভাজনের রাজনীতি আমরা চাই না। কিন্তু কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে আবারও আমরা সে লক্ষণ দেখছি।’

শহীদ নাজমুল কাজীর স্ত্রী মারিয়া সুলতানা রাখি বলেন, ‘হাজারো মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছে। এত মানুষ জীবন দিল, তার বিনিময়ে আমরা আর নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ এই বাংলায় দেখতে চাই না।’

চব্বিশের জুলাইয়ের কথা স্মরণ করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘গত জুলাইয়ে একটি রাজনৈতিক দল বলেছিল, আমরা এই ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে নেই। সেই দলগুলোই এখন সংস্কারের বিষয়ে বলছে, তাদের বাদ দিয়ে কোনো সংস্কার হবে না। আমরা কিন্তু সেই দিনগুলোর কথা ভুলিনি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, বি এম নাজমুল হক, হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: সাভারে বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করার পর ঢাকার ধামরাইয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মিছিল করেন তারা। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ 

শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘আমরা মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এ বিচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সেই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যে ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর অপেক্ষা করেছি। আমরা শুধু এ রায়েই ক্ষান্ত হবো না।’’  অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি। 

পরে তারা সাধারণ জনগণের কাছে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাসুদ আল শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমান আলী, ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ