চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গত শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় ফুটবলের অভিনব এক প্রতিযোগিতা। অন্যান্য ফুটবল ম্যাচের মতো সে রাতেও গ্যালারিভর্তি দর্শক চিৎকার করে, হাততালি দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়ে গেছেন। খেলোয়াড়েরাও সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেছেন। তবে এই ফুটবল খেলোয়াড়েরা কোনো সাধারণ খেলোয়াড় ছিল না, তারা সবাই ছিল রোবট।
চীনের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক রোবট দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। খেলা হয় তিন বনাম তিনে। অর্থাৎ প্রতি দলে তিনজন করে মোট ছয়জন রোবট খেলোয়াড় ম্যাচে অংশ নিয়েছে। চীনে এ ধরনের আয়োজন এটাই প্রথম।
রোবট খেলোয়াড়েরা মানুষের কোনো রকম সাহায্য ছাড়া ম্যাচ খেলেছে, কীভাবে প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে বল নিয়ে গোলের দিকে ছুটে যাবে, সেসব সিদ্ধান্ত রোবটগুলো নিজেরাই নিয়েছে। আর এ সবই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) খেল।
প্রতিটি রোবট এআই অ্যালগরিদম দ্বারা চালিত হয়েছে, যার মধ্যে ছিল বল শনাক্ত করার ক্ষমতা, মাঠে অন্যান্য খেলোয়াড়ের অবস্থান দেখে নেওয়ার দক্ষতা এবং পড়ে গেলে নিজে নিজে উঠে দাঁড়ানোর সক্ষমতা।
ম্যাচে একাধিক রোবটকে খেলতে খেলতে মাটিতে পড়ে যেতেও দেখা গেছে, সেগুলোকে মাঠ থেকে স্ট্রেচারে তুলে বের করে আনা হয়েছে। এ যেন একেবারে সত্যিকারের ফুটবল ম্যাচের স্বাদ।
প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করা সব কটি রোবট সরবরাহ করেছে ‘বুস্টার রোবোটিকস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে রোবটগুলোর বল চিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া, দল বিন্যাস ও বল পাস করার কৌশল নির্ধারণের জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব অ্যালগরিদম তৈরি করেছে।
ফাইনালে সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিএইচইউ রোবোটিকস’ দল ৫-৩ গোলে চায়না অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ‘মাউন্টেন সি’ দলকে হারিয়ে দিয়েছে। উভয় দলের জন্যই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দর্শকেরা। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় দলের সমর্থকদের একজন বলেন, ‘ওরা দুর্দান্ত খেলেছে। মাউন্টেন সিও অনেক চমক দেখিয়েছে।’
আয়োজনটি ছিল বেইজিংয়ে আসন্ন ওয়ার্ল্ড হিউম্যানয়েড রোবট গেমসের প্রাক-প্রদর্শনী। আয়োজকেরা বলেন, ভবিষ্যতে মানুষের সঙ্গে রোবটের খেলা দেখা যাবে, তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
বুস্টার রোবোটিকসের সিইও চেং হাও বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে খেলার আগে রোবটগুলো শতভাগ নিরাপদ কি না, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদোর উপদেশ: শর্টকাট কোনো পথ নেই, কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই
শামসুল হক