টানা তিন ম্যাচ হেরেও পাকিস্তান যেভাবে সেমিফাইনালে উঠতে পারে
Published: 9th, October 2025 GMT
আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে গতকাল পাকিস্তান নারী দল হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ২২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান ১১৪ রানে গুটিয়ে যায়, হেরেছে ১০৭ রানে।
এটা চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের টানা তৃতীয় হার। ফলে সেমিফাইনালে ওঠার পথ এখন বেশ কঠিন হয়ে গেছে পাকিস্তানের। কঠিন হয়েছে বটে, কিন্তু সেমিফাইনালে ওঠা কি পাকিস্তানের জন্য একেবারেই অসম্ভব? অন্তত খাতা–কলমে!
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে পাকিস্তানের ম্যাচ বাকি আরও চারটি। আট দলের এ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে শেষ চারে উঠতে হলে বাকি চারটি ম্যাচেই জিততে হবে। সেই সঙ্গে শর্ত হলো লিগ পর্বে চার ম্যাচের বেশি যেন তিনটির বেশি দল না জেতে। এখন পর্যন্ত ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দুটি করে ম্যাচে জয় পেয়েছে।
পাকিস্তান কাল শুরুটা ভালো করেছিল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ‘ঢাকা ঘেরাও’
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি কার্যকর করার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে ‘ঢাকা ঘেরাও’ এর মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গণমিছিল ও জনসভা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
আরো পড়ুন:
ডিএমপির অভিযান, মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৪
আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে
‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হাতীবান্ধা হেলিপ্যাড মাঠ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সহুর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় মিলিত হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, তিস্তা নদী তীরবর্তী প্রায় ২ কোটি মানুষ দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার্যকর করা।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি তহবিল ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরিবর্তে তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটিকে আটকে রেখেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের লাখো কৃষক।”
তিনি আরো বলেন, “তিস্তা বাঁচানো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুক। অন্যথায় উত্তরাঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”
এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
এদিকে, দাবি আদায়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি রংপুর বিভাগের উপজেলাগুলোতে গণমিছিলের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আগামী ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলার ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা/নিয়াজ/মেহেদী