সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাজলো ক্রাজনাহরকাই
Published: 9th, October 2025 GMT
সাহিত্য জগতে অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাজলো ক্রাজনাহরকাইকে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সুইডিশ একাডেমি তার নাম ঘোষণা করে।
এর আগে ২০২৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান ক্যাং সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ৫৩ বছর বয়সি হান কাং তার ‘গভীর কাব্যিক গদ্য, যা ঐতিহাসিক আঘাতগুলোকে উন্মোচন করে এবং মানবজীবনের নাজুকতাকে সামনে আনে’- এই অনন্য লেখনীশৈলীর জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
আরো পড়ুন:
রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
রসায়নে নোবেলজয়ীর নাম জানা যাবে আজ
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি পদক এবং ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পান।
নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল। তার ইচ্ছা অনুসারে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে যারা অবদান রাখেন তাদেরকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব ল প রস ক র প রস ক র প
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ‘ঢাকা ঘেরাও’
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি কার্যকর করার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে ‘ঢাকা ঘেরাও’ এর মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গণমিছিল ও জনসভা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
আরো পড়ুন:
ডিএমপির অভিযান, মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৪
আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে
‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হাতীবান্ধা হেলিপ্যাড মাঠ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সহুর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় মিলিত হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, তিস্তা নদী তীরবর্তী প্রায় ২ কোটি মানুষ দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার্যকর করা।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি তহবিল ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরিবর্তে তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটিকে আটকে রেখেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের লাখো কৃষক।”
তিনি আরো বলেন, “তিস্তা বাঁচানো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুক। অন্যথায় উত্তরাঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”
এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
এদিকে, দাবি আদায়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি রংপুর বিভাগের উপজেলাগুলোতে গণমিছিলের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আগামী ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলার ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা/নিয়াজ/মেহেদী