বিশ্বের ১৮০ কোটি পিছিয়ে পড়া তরুণ–তরুণীকে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে ইউনিসেফের জেনারেশন আনলিমিটেড (জেনইউ) প্রোগ্রাম। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে কাজ শুরু করা জেনইউ বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১ কোটি ৭০ লাখ তরুণ–তরুণীকে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হওয়ার মতো যোগ্য করে গড়ে তোলা। এবার এই প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল বুধবার সংস্থাটির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনের সম্মেলনকক্ষে ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ টু স্ট্রেংদেন লার্নিং টু আর্নিং’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনারেশন আনলিমিটেড–ওয়াইপিএ সেক্রেটারিয়েটের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার উর্মিলা সরকার।

সভায় এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দেশজুড়ে রয়েছে। এটি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। যাঁদের বেশির ভাগই অনগ্রসর গোষ্ঠীর। তাই তাঁদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে। অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের বাজারে প্রতিযোগিতায় ‘টিকে থাকা’ ও ‘উদ্যোক্তা হওয়ার মতো যোগ্য করে’ গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পুরোনো শিক্ষাক্রম সংস্কারের পাশাপাশি স্নাতকে (সম্মান) আইসিটি ও ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম ও ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক রোবট প্রচলনে গবেষণা করছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সাইফুল ৮ ঘণ্টা আগে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জানিয়ে জেনারেশন আনলিমিটেড–ওয়াইপিএ সেক্রেটারিয়েটের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার উর্মিলা সরকার বলেন, জাতিসংঘ ও ইউনিসেফ, বিশেষ করে ওয়াইপিএ থেকে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরিতে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মো.

লুৎফর রহমান ও অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম, ইউনিসেফের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ম্যামি কিউয়ো ও ফাহমিদা শবনম, এডুকেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন ও এডুকেশন অফিসার মোস্তফা কামাল।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে দেশের লাখো তরুণ–তরুণীকে আধুনিক দক্ষতা ও কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার পথ উন্মুক্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে শিক্ষার্থী মূল্যায়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন স ফ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফখরুলের সঙ্গে জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত।

আরো পড়ুন:

দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 

নিউইয়র্কে ডিমকাণ্ড: হার্ড লাইনে এনসিপি, ‘প্রভাব পড়বে রাজনীতিতে’

এই সাক্ষাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নতুন রাষ্ট্রদূত কল অন করতে এসেছেন। বাংলাদেশ-জার্মানির আগামী দিনের সম্পর্ক, তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

আমীর খসরু বলেন, “বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা আছে। আপনারা জানেন যে বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে বড় কর্মসূচি হচ্ছে এক কোটি লোকের চাকরির সংস্থান ১৮ মাসের মধ্যে। সেই কর্মসূচি সফল করতে হলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আমরা জোর দিচ্ছি স্কিল ডেভেলপমেন্টে। বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করতে হলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।”

“প্রযুক্তি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে জার্মানির সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি, কীভাবে আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারি আগামী দিনে।”

জার্মান বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি। জার্মানরা চীনে বিনিয়োগ করেছে, ভারতেও কিছু বিনিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে তারা মনে করেছে বাংলাদেশে আগামী দিনে বিনিয়োগের জন্য ভালো ডেস্টিনেশন।”

বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগে তাদের ইন্টারেস্ট আছে ও উদ্যোগ আছে। বাংলাদেশেরও প্রস্তাব আছে বলে জানান আমীর খসরু।

বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা এর মধ্যে প্রতিটি দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে বলেন তিনি।

সব দেশই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় এবং সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে; তার শেষ কথা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়ে নির্বাচিত সরকার আসবে যেখান শর্ট টার্ম, মিড টার্ম, লং টার্ম সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারে। সে জন্য তারা অপেক্ষায় আছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত সরকার হবে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ