দেশে দেশে তরুণদের মধ্যে ট্যাটু করার প্রবণতা বাড়ছে। শরীর সাজানোর অন্যতম উপায় এটি।ট্যাটুপ্রেমীরা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পছন্দসই নকশা করেন। সাধারণত হাত ও পিঠে বেশি ট্যাটু করতে দেখা যায়। এ ছাড়া কেউ কেউ কাঁধে, গলায়ও ট্যাটু করেন।  কিন্তু দাঁতে ট্যাটু করা যায়—বিষয়টি ভেবেছেন কখনও? হ্যাঁ! চিনের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে এই ‘ট্রেন্ড’। তারা দাঁতে ট্যাটু করাচ্ছেন।

যেভাবে দাঁতে ট্যাটু করাচ্ছেন চীনের তরুণরা
যদি ধারণা করে দাঁতে সুচ ফুটিয়ে নকশা করা হচ্ছে? তাহলে কিন্তু আপনি ভুল ভাবছেন।  পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ ক্যাপ। সেটি দাঁতে লাগাচ্ছেন তারা। সেখানে আঁকা থাকছে বিভিন্ন নকশা। পছন্দের মতো ক্যাপ কিনছেন প্রেমীরা। হাসপাতাল ও বিভিন্ন ডেন্টাল ক্লিনিকগুলো তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। একটি প্রাইভেট হাসপাতালের বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের দাঁতের ক্যাপগুলো থ্রিডি প্রিন্ট করা। তবে এগুলি দাঁতের কোনও সমস্যা করবে না।’’

আরো পড়ুন:

যেসব অভ্যাসের কারণে জাপানিরা মোটা হয় না

অল্প সময়ে যেভাবে বানাবেন ‘কলার কেক’

প্রায় ২ হাজার ইউয়ান অর্থাৎ প্রায় ২৮০ মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে। পূর্ব শানডং প্রদেশের জিনানের একজন নারী বলেছেন, ‘‘দাঁতে ট্যাটু করতে ভালোই লেগেছে। আমি ‘শেন’ শব্দটি দিয়ে ট্যাটু করেছি। চিনা ভাষায় যার অর্থ- সাবধান।” 

দাঁতে ট্যাটু আগামী দিনে চিন থেকে করোনোর মতো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে কি না, তা সময় বলবে। তবে এই প্রবণতা আখেরে দাঁতের ক্ষতি করছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

দন্ত চিকিৎসকরা বলছেন, দাঁতে ক্যাপ পরলে কমবেশি ক্ষতি হবেই। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অনলাইনে পোস্টিং জিরো ট্রেন্ডে মেতেছেন তরুণ-তরুণীরা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এখন বিশ্বব্যাপী এক বড় সমস্যা। মানসিক স্বাস্থ্য, উৎপাদনশীলতা ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। আর তাই অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় আগের তুলনায় কমিয়ে দিয়েছেন।

সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি জরিপে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পরিমাণ বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। শুনতে অবাক লাগলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত বাণিজ্যিকীকরণ, বিজ্ঞাপনের আধিক্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি আধেয়ের (কনটেন্ট) কারণে এমনটা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনাকেই ‘পোস্টিং জিরো’ বলা হচ্ছে। এই ট্রেন্ডের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত তথ্য নিয়মিত পোস্ট করা বন্ধ করে দিয়েছেন।

৫০টি দেশের আড়াই লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন অনলাইনে ব্যক্তিগত জীবনের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশের প্রবণতা ক্রমে কমে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। এই পতনের নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।

মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কের সাংবাদিক কাইল চেয়কা তাঁর সাপ্তাহিক কলাম ইনফিনিট স্ক্রলে প্রথম পোস্টিং জিরো শব্দটি ব্যবহার করেন। চেয়কা পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফিডে বন্ধুদের দৈনন্দিন জীবনের তুচ্ছ ঘটনার তথ্য বা ছবি দেখা যেত বেশি। বর্তমানে এই প্রবণতা কমে গেছে বলা যায়।

আরও পড়ুনঅনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কাইল চেয়কা তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘আমরা হয়তো পোস্টিং জিরোর দিকে এগোচ্ছি। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে সাধারণ মানুষ যাঁরা পেশাদার নন, তাঁরা অতিরিক্ত প্রকাশ থেকে বাঁচতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা বন্ধ করে দেন। পোস্টিং জিরো মানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ধারণাগত সমাপ্তি।’

আরও পড়ুনঅনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এমন পতনকে ‘ডেড ইন্টারনেট থিওরি’র মাধ্যমেও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই তত্ত্ব অনুসারে, অনলাইনে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে বেশির ভাগ কনটেন্ট আর প্রকৃত মানুষের তৈরি করছে না। বিভিন্ন বট, এআই মিলে কনটেন্ট তৈরির প্রবণতা বাড়ছে। ফলে অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট

আরও পড়ুনসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা কিছু পোস্ট করেন না, তাঁদের ৭টি বৈশিষ্ট্য২০ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণিত: টিক দাও, ৩০ নম্বর পাও
  • খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন ডা. জাহিদ
  • অনলাইনে পোস্টিং জিরো ট্রেন্ডে মেতেছেন তরুণ-তরুণীরা
  • পরিবেশ ও অভ্যাস দুটোর সমন্বিত প্রভাবেই দেশে ফুসফুস ক্যানসার বাড়ছে
  • মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন: ডা. জাহিদ