2025-05-12@06:23:45 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6
«লবণচ ষ»:
তীব্র তাপপ্রবাহে আক্রান্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চল। আবহাওয়া বিভাগের হিসাবে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। এমন তাপপ্রবাহে জনজীবন অনেকটাই স্থবির। সবাই যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছেন, তখন কক্সবাজার অঞ্চলের লবণচাষিরা এমন আবহাওয়াকে মনে করছেন আশীর্বাদ। তাপপ্রবাহ সুদিন এনেছে কক্সবাজারের লবণচাষিদের জন্য। তাপপ্রবাহ বেশ কয়েক দিন অব্যাহত থাকায় এই অঞ্চলে লবণের উৎপাদন বেড়ে গেছে। এমন আবহাওয়ায় দৈনিক ২৬ হাজার মেট্রিক টন করে লবণ উৎপাদন হচ্ছে কক্সবাজার জেলায়। বেড়েছে লবণের দামও। সব মিলিয়ে খুশি লবণচাষিরা। বৃষ্টি যত দিন না হয়, তত দিন লবণের এমন বাড়তি উৎপাদন হবে সেখানে। কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ বি হান্নান বলেন, গতকাল শনিবার কক্সবাজারে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। আজ রোববারও তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। আর এ কারণে মাঠগুলোতে খুব...
লবণের দাম নিয়ে এমনিতেই হতাশ কক্সবাজার জেলার লবণচাষিরা। তার ওপর বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে মাঠের লবণ। এতে লবণচাষিদের লোকসানের বোঝা আরও বাড়ল।লবণচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কিন্তু এ পরিমাণ লবণ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হচ্ছে ২৮০ টাকার বেশি। এতে কেজিপ্রতি তিন টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে চাষিদের।চাষিদের অভিযোগ, লবণ মিলমালিক ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত পরিশোধিত লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এর ফলে এই শিল্পের লাভ পুরোটাই যাচ্ছে মিলমালিক ও ব্যবসায়ীদের পকেটে।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়...
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে শফিউল আলম (২৯) নামের এক লবণচাষি নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিরপাড়ার পশ্চিমে লবণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিউল আলম কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিপাড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে।মহেশখালী থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করলে লবণচাষি শফিউল আলম গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।বেলা একটার দিকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই...
লবণ আমদানির প্রতিবাদে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুটাখালী হাইস্কুলের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন হাজারো লবণচাষি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলে। এ সময় চাষিরা মহাসড়কে লবণ ছিটিয়ে রাখেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। চাষিরা অভিযোগ করেন, লবণ মৌসুমের শুরুতেই মিল মালিকরা পরিকল্পিতভাবে দাম কমিয়ে বিদেশ থেকে শিল্প লবণ আমদানির পাঁয়তারা করছেন। এ কারণে চলতি মৌসুমে প্রতি মণ লবণের দাম দাঁড়িয়েছে ২৪০ টাকা। লবণচাষিরা এতে পুঁজি হারিয়ে পথে বসছেন। বক্তারা বলেন, একদিকে লবণের দর পতনের কারণে চাষিরা পুঁজি হারিয়েছেন, অপরদিকে বড় বড় কোম্পানি প্রতি কেজি লবণ ৪০ টাকায় বিক্রি করছে। আমদানি বন্ধ ও লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে...
কক্সবাজারের ৬৮ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে; কিন্তু ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না ৪৪ হাজারের বেশি প্রান্তিক লবণচাষি। প্রতিমণ লবণ উৎপাদনে ৩৫০ টাকার বেশি খরচ হলেও বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়। এ অবস্থায় লবণের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে কয়েক শ প্রান্তিক চাষি কাফনের কাপড় পরে, রাস্তায় লবণ ছিটিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। টানা এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধ কর্মসূচির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী এবং কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকামুখী কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় নারী ও শিশু-কিশোর যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।লবণচাষিরা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে খুটাখালী বাজারে চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, বদরখালী, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার কয়েক শ লবণচাষি ও ব্যবসায়ী...
দেশের লবণের চাহিদার বড় একটি জোগান আসে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ও কক্সবাজার জেলা থেকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লবণের উৎপাদন বেশ ভালো বলতে হবে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ নেই লবণচাষিদের। মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের কারণে লবণ উৎপাদন করে মাথায় হাত তাঁদের। আগেও অনেকবার এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে লবণচাষিদের। এ দুর্গতি থেকে কি তাঁদের মুক্তি নেই?প্রথম আলোর একটি সরেজমিন প্রতিবেদনে কক্সবাজারের লবণচাষিদের কাছ থেকে জানা যায়, জানুয়ারি মাসে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হয় ২৪০ টাকায়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম ১৮০-১৮৫ টাকায় নেমে এসেছে। এতে প্রতি মণ লবণে চাষিদের ১৭০ টাকার মতো লোকসান হচ্ছে। কারণ, প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হয় প্রায় ৩৫০ টাকা।দফায় দফায় লবণের দাম কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে চাষিরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগী ও কার্গো বোটের মালিকেরা সিন্ডিকেট করে...