Samakal:
2025-12-05@07:38:18 GMT

ইন্টারনেটে যখন ফাইভজি সেবা

Published: 26th, January 2025 GMT

ইন্টারনেটে যখন ফাইভজি সেবা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সল্যুশনের মাধ্যমে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এরিকসন বাংলাদেশে কাজ করছে। অংশীজন হয়েছে দেশের অপারেটর গ্রামীণফোন। কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বমানের পরিষেবা নিশ্চিত করাই অংশীজনের লক্ষ্য, যা গ্রাহকের নিত্যনৈমিত্তিক পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
আগামী ছয় বছর এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও দ্রুতগতিতে উদ্ভাবনী পরিষেবা চালু, পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি, সেবার মান সমৃদ্ধ করা ও দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে গতিশীল করতে কাজ করবে অপারেটরটি, 
যা গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও চাহিদাকে পূর্ণতা দেবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান এবং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার হেড অব এরিকসন ডেভিড হেগারব্রো সম্মিলিত উদ্যোগের কথা জানান।
সারাবিশ্বে ক্যাটালগভিত্তিক চার্জিং ও মিডিয়েশন সিস্টেম বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করবে উদ্যোক্তারা। এরিকসনের সফল মিডিয়েশনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ব্যবস্থা, যা ডিজিটাল অপারেটরের প্রতিদিনের ৬০০ কোটির বেশি ডেটা প্রসেসে সক্ষম। উল্লিখিত ব্যবস্থার মাধ্যমে অপারেটর নিজেদের ব্যবসা ও অপারেশন সাপোর্ট সিস্টেমের (ওএসএস/বিএসএস) সক্ষমতা বাড়াতে পারবে। নতুনভাবে যুক্ত হবে অর্ডার কেয়ার ও ক্যাটালগ ম্যানেজারের মতো সল্যুশন, যা গ্রাহকসেবার মানকে আধুনিকীকরণ ও ফাইভজি সেবার বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। অপারেটরের নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে আইটি ম্যানেজড পরিষেবা নিশ্চিত হবে। অর্থাৎ এআই পরিচালিত কার্যক্রম সমৃদ্ধ করতে অপারেটরের কাজের দক্ষতা আগের তুলনায় সমৃদ্ধ হবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি সার্বিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এরিকসন, যা ত্বরান্বিত করবে ডিজিটাল রূপান্তর প্রক্রিয়াকে। বিশ্বমানের সেবাদানে গ্রাহকের কাছে ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান করবে। সংযুক্তির ভবিষ্যৎ ও ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে, যা টেলিযোগাযোগ খাতে বৈশ্বিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার হেড অব এরিকসন ডেভিড হেগারব্রো বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় চলমান সহযোগিতার অনন্য উদাহরণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত উন্নত ওএসএস/বিএসএস প্রযুক্তি ও ম্যানেজড পরিষেবার মাধ্যমে অপারেটরের চাহিদা ও গ্রাহককে আগামী ছয় বছর প্রত্যাশিত পরিষেবা নিশ্চিত করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ষ ব ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

‘আগামী নিবার্চন হবে জালেম ও ইসলামী শক্তির মধ্যে’

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ‘‘আগামী নিবার্চন হবে দুটি শক্তির মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে সকল জালেম শক্তি আরেক পক্ষে ইসলামী ও দেশপ্রেমিক শক্তি।’’

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার কার্যকর এবং নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘‘শিয়ালের মতো একশ বছর বাচার চেয়ে সিংহের মতো একদিন বেঁচে থাকা উত্তম। যে বিভাগের নামের অংশে সিংহ রয়েছে সেই বিভাগের মানুষ আগামী নিবার্চনে সিংহের মতো লড়াই করবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা নিজেরা স্বাধীন হতে পারি নাই। এখনো বৈষম্য হচ্ছে, জুলুম হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে। এই বৈষম্য জুলুমমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করার জন্য গঠিত হয়েছে আট দল।’’

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আপনি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিয়ে নিজেই বৈষম্য তৈরি করছেন। শেখ হাসিনা বৈষম্য সৃষ্টি করে পালিয়ে যাওয়ার পথ পেলেও আপনি পাবেন না। তাই সাবধান হয়ে যান।’’

সমাবেশে ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘‘মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে সচিবায়লসহ সকল প্রতিষ্ঠান কেবলমাত্র আল্লাহর আইন ধারা পরিচালিত হবে। ইসলামবিরোধী কোন আইন চলবে না।’’

বাংলাদেশের সকল দল ইসলামের পতাকাতলে আসবে এই আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘২০১৪, ১৮ এবং ২৪ স্টাইলের নিবার্চন আমরা চাই না।’’ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্ঠাকে তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ হাদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হাক্কানী প্রমুখ। 
 
 

ঢাকা/মিলন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ