ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সংহতির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসে কর্মবিরতি পালন করা হবে এবং আগামী মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন।

পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৩ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১৬ দিন ছুটি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গাজায় হামলার প্রতিবাদে ওইদিন ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করায় বুধবার থেকে যথারীতি কার্যক্রম শুরু হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে’, ব্যাখ্যা দিলেন নেতা

‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়ার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 
 
আজ মঙ্গলবার এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। কৌশলে মূল বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। স্থানীয় ইউএনও-ওসি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো দাবি-দাওয়া ও অভিযোগ শোনেন না। তারা শোনেন জামায়াতের কথা। এবং বিএনপির পরিবর্তে জামায়াতের ইশারায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তারা।

ইদ্রিস মিয়া আরও বলেন, ‘ওই দিন আমি নেতাকর্মীদের বলেছিলাম, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ রাখা যাবে না, দলের স্বার্থে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্থানীয় প্রশাসন অবশ্যই আমাদের অভিযোগগুলো গুরুত্ব দেবে। মূলত আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী ও কুচক্রী মহল মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। অপপ্রচার ও গুজব রটানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইদ্রিচ মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি লেখা রয়েছে ব্যানারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া। 

জানতে চাইলে ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ইউএনও-ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। তাঁকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো. ইদ্রিস মিয়াকে। পরে গত ৬ মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ