পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীণ একটি ভবনের ১০ তলা থেকে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।

পুলিশের জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে ছাত্রহলের একটি ভবনের ১০ তলায় লাশটি পড়ে ছিল। নির্মাণশ্রমিকেরা কাজে গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে লাশটি দেখতে পান। তাঁরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি থানায় জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তদন্ত হলে বিস্তারিত জানা যাবে।

পাবনার পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, নিহতের গলায় দড়ি ছিল। তবে লাশটি পচে নিচে পড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশের ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম গতকাল রাত ১২টার দিকে বলেন, লাশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরাপত্তাকর্মীর (আনসার সদস্য) বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে কিছুই এখনো নিশ্চিত নয়। নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়িপেটা, আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মামলা তুলে না নেওয়ায় এবং দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে আল-আমিন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করা হলে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা গেছেন। শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে গত ২৮ জুলাই তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। 

নিহত আল-আমিন শাজাহানপুর উপজেলার ভাদাইকান্দি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া সদরে নিউ মার্কেটে প্রসাধনীর ব্যবসা করতেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, দেড় বছর ধরে প্রতিবেশী নূরুল ইসলাম, আবু হোসেন ও ফজলুল হক আল-আমিনের এক একর কৃষিজমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে দুই দফা হামলার শিকার হন তিনি এবং তার পরিবার। প্রতিবারই থানায় মামলা করেন আল-আমিন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা সম্প্রতি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আল-আমিনের ওপর হামলা চালানো হয়। হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এ সময় তার বাবা আফসার আলীও আহত হন। এবং তার কাছ থেকে সোয়া এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পর নিহতের পরিবার ৩০ জুলাই শাজাহানপুর থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
 

ঢাকা/এনাম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ