চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের মামলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, রুয়েটের অর্থ ও হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান মানিক।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের মালোপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ মামলার আরেক আসামি ও মানিকুজ্জামানের বড় ভাই রাজশাহীর হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মুনরুজ্জামান মুন। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তামান্না ইয়াসমিন নামে এক ভুক্তভোগীর মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে নগরীর রাণীনগর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা তামান্না ইয়াসমিন ২০২২ সালের ৯ মার্চ মানিক ও তার ভাই মুনরুজ্জামান মুনকে ৪ লাখ এবং ১৬ মার্চ ১ লাখ টাকা দেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুত চাকরি না হওয়া এবং অর্থ ফেরত না পাওয়ায় তামান্না ইয়াসমিন গত ২৮ মার্চ বোয়ালিয়া থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন।

আরেক ভুক্তভোগী জেসমিন আরা জানান, তার স্বামী সুইটকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন মানিক ও তার ভাই মুন।

এ দুই ভুক্তভোগী বোয়ালিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এছাড়া রানীনগর পানির ট্যাংক এলাকার সালমা কবির অভিযোগ করেন, তার মেয়ে ফাহমিদা আক্তার রিমিকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ৪ বছর আগে মানিক ও মুন ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। 

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, “মানিককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আএরা যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়িপেটা, আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মামলা তুলে না নেওয়ায় এবং দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে আল-আমিন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করা হলে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা গেছেন। শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে গত ২৮ জুলাই তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। 

নিহত আল-আমিন শাজাহানপুর উপজেলার ভাদাইকান্দি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া সদরে নিউ মার্কেটে প্রসাধনীর ব্যবসা করতেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, দেড় বছর ধরে প্রতিবেশী নূরুল ইসলাম, আবু হোসেন ও ফজলুল হক আল-আমিনের এক একর কৃষিজমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে দুই দফা হামলার শিকার হন তিনি এবং তার পরিবার। প্রতিবারই থানায় মামলা করেন আল-আমিন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা সম্প্রতি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আল-আমিনের ওপর হামলা চালানো হয়। হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এ সময় তার বাবা আফসার আলীও আহত হন। এবং তার কাছ থেকে সোয়া এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পর নিহতের পরিবার ৩০ জুলাই শাজাহানপুর থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
 

ঢাকা/এনাম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ