নতুন সিরিজের তিনটি মডেলের স্মার্টফোন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। সিরিজের তিনটি মডেল যথাক্রমে– নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো আর নোট ৫০ প্রো প্লাস। তিনটি মডেলই বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা।
সব মডেলের ডিজাইনে মেটাল ফ্রেম, পারফরম্যান্স আর এআই প্রযুক্তির মিশেল রয়েছে বলে নির্মাতারা জানান। ডিসপ্লে অংশে রয়েছে ৬.
জানা গেছে, সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ফাস্টচার্জ ৩.০ প্রযুক্তি, যা দ্রুত চার্জিং পরিষেবা দেবে। ৫০ প্রো+ মডেলে ১০০ ওয়াট চার্জিং এবং ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ সুবিধা রয়েছে। ব্র্যান্ডটি প্রথমবার সেন্সরকেন্দ্রিক স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং ফিচার যুক্ত করেছে, যার মাধ্যমে হৃদস্পন্দন ও রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মনিটর করা যাবে।
সিরিজের ৫০ আর ৫০ প্রো মডেলে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ আলটিমেট চিপসেট। অন্যদিকে নোট ৫০ প্রো+ মডেলে থাকছে নেক্সট-জেন ৪ ন্যানোমিটার ডাইমেনসিটি, ৮ হাজার ৩৫০ আলটিমেট, ৫.৫ জি চিপসেট, যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং আর গেমিং অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে।
সব মডেলে থাকবে ডিপসিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা ও স্ক্রিন এবং এআই নয়েজ মিউট– যার মাধ্যমে ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপ্লিকেশন, কাজের ধরন বা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুযায়ী কার্যক্ষমতা সামঞ্জস্য করতে পারে। নতুন থাকছে বায়ো-অ্যাকটিভ এআই লাইট, যা নোটিফিকেশন ও লাইভ লাইটিং ইফেক্ট প্রদর্শন করে।
কার্লকেয়ার পরিষেবায় থাকবে ১০০ দিন স্ক্রিন ড্যামেজ সুরক্ষা, ফ্রি ফার্ম ক্লিনিং, ফাস্ট রিপেয়ার আর সার্ভিস ডে অফার, যা এস-ভিআইপি কার্ডে নিশ্চিত করা হবে।
আগ্রহীর সুবিধার্থে পাম পের সঙ্গে অংশীজন চুক্তিতে শূন্য ইএমআই পাওয়া যাবে। ফলে ২০ ভাগ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফোনটি কেনা যাবে।
চার মাসে কিস্তিতে দাম পরিশোধ করা যাবে। শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীর জন্য ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা উপভোগের
সুযোগ দেবে মডেল তিনটি। রঙের বৈচিত্র্যে সিরিজের স্মার্টফোনে থাকছে টাইটেনিয়াম গ্রে আর পার্পল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ট ৫০ প র
এছাড়াও পড়ুন:
এক ম্যাচে ১৭ লাল কার্ড!
বলিভিয়ার ঘরোয়া ফুটবলে যেন বাস্তবের চেয়ে সিনেমার দৃশ্যই দেখা গেল। কোপা বলিভিয়ার কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ শেষে ফুটবল মাঠ মুহূর্তেই রূপ নিল সংঘর্ষের ময়দানে। রেফারির ৯০ মিনিটের বাঁশি শেষ হতেই মাঠজুড়ে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ঘুষাঘুষি আর বিশৃঙ্খলা। শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নামতে হলো টিয়ারগ্যাস নিয়ে। ফুটবল ইতিহাসে নিশ্চয়ই ব্যতিক্রমী ঘটনা!
ব্লুমিং ও রিয়াল ওরুরোর লড়াই আগে থেকেই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল। প্রথম লেগে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ব্লুমিং। দ্বিতীয় লেগে ২–২ গোলে ড্র করেই তারা জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। কিন্তু মাঠের লড়াই শেষ হলেও আসল ড্রামা শুরু হয় শেষ বাঁশির পর।
আরো পড়ুন:
মেসি জানালেন, ‘খুব শিগগিরই দেখা হবে ভারত’
ছোটদের বিশ্বকাপে পর্তুগাল চ্যাম্পিয়ন, রোনালদোর অভিনন্দন
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওরুরোর সেবাস্তিয়ান জেবায়োসকে প্রথমে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি বারবার প্রতিপক্ষের দিকে ফিরে গিয়ে মারমুখী আচরণ করেন। এরপর যোগ দেন হুলিও ভিয়াও। তিনিও হাত চালাতে কসুর করেননি। মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বিপদে পড়েন ওরুরো কোচ মার্সেলো রবলেদো। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের এক সদস্যের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডার মাঝে ধাক্কা খেয়ে তিনি পড়ে যান। মাথা ও কাঁধে আঘাত লাগায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হয়।
সহিংসতা যখন আরও বাড়ছে, তখন মাঠে প্রবেশ করে প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়েই টিয়ারগ্যাস ছুড়ে দাঙা থামায় তারা। এরই মধ্যে সতর্ক ব্যবস্থা হিসেবে ব্লুমিং কোচ মৌরিসিও সোরিয়া নিজের দলকে দ্রুত ড্রেসিং রুমে পাঠিয়ে দেন।
অতঃপর রেফারি রেকর্ড সংখ্যক ১৭টি লাল কার্ড দেখান। টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনায় জড়িত কমপক্ষে ছয়জন খেলোয়াড়কে তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। সহিংস আচরণের দায়ে গ্যাব্রিয়েল ভালভার্দে, রিচেট গোমেজ, ফ্রাঙ্কো পসে, রবার্তো মেলগার, সিজার রোমেরো ও লুইস সুয়ারেজকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়।
শুধু ফুটবল নয়, বলিভিয়ার এই ম্যাচ যেন আচমকা এক সামাজিক বিশৃঙ্খলার প্রতিচ্ছবি। যেখানে জয়-পরাজয়ের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারানো আবেগ।
ঢাকা/আমিনুল