চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চেইনম্যান আহম্মদ করিমের চার তলা বাড়ি ও জমি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্রোক করা বাড়িটির বর্তমান মূল্য ৮৪ লাখ ২২ হাজার টাকা। বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়ায় এ বাড়ি তৈরি করেছেন তিনি। 

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামি আহম্মদ করিম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৮১ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন কওে ভোগ দখল করছেন। তার নিজ নামে ৬ শতক জমির উপর একটি চার তলায় বাড়ি রয়েছে। অবৈধ আয়ে গড়ে তোলা সম্পদ অন্যত্র বিক্রি যেন না করতে পারে; তাই এটি আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা হয়েছে। আদালত একজনকে রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন।

২০২৪ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলাটি তদন্ত করছেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন। তিনি তার ৬ শতক জমি ও তার ওপর তৈরি করা বাড়ি ক্রোক করার জন্য আদালতে আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত এ সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেন। করিম চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ শেরশাহ কলোনীতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র ক কর

এছাড়াও পড়ুন:

কংগ্রেসে ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ দেশটির কংগ্রেসে চূড়ান্ত বাধা পেরিয়েছে। কংগ্রেসের রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অল্প ব্যবধানে কর হ্রাস ও সরকারি ব্যয়ের বিশাল এই প্যাকেজ পাস হয়।

প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাস হয়েছে। পরে এতে সই করেন স্পিকার মাইক জনসন। আলোচিত এই বিলটি কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিলটি নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দলেও প্রবল বিরোধিতা ছিল। শেষ পর্যন্ত বিলটি পাস হওয়ায় রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এখন তিনি সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।

এর আগে মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি বিলটি কোনোরকম উতরে যায়। সিনেটে বিলটি ৫১-৫০ ভোটে পাস হয়। বিলের পক্ষে-বিপক্ষে সমান ভোট পড়ায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ‘টাই’ ভেঙে বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিলটির বিপক্ষে ভোট দেওয়া ডেমোক্র্যাটদের ৪৭ সদস্যের সঙ্গে ৩ জন রিপাবলিকানও যোগ দেন।

এই বিলে কর কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমানো, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

বিলটি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দেওয়া কর ছাড়েরই সম্প্রসারিত রূপ। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচও বাড়ানো হবে।

এই বিলে কম আয়ের মার্কিন নাগরিকদের জন্য মেডিকেইড নামের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ও খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির খরচ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি ডলার কাটাছাঁটের কথা বলা হয়েছে। এতে লাখ লাখ আমেরিকান স্বাস্থ্য বিমার বাইরে চলে যাবেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে পাস হলো ট্রাম্পের আলোচিত ব্যয় বিল ০২ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ