চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চেইনম্যান করিমের বাড়ি ক্রোক দুদকের
Published: 3rd, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চেইনম্যান আহম্মদ করিমের চার তলা বাড়ি ও জমি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্রোক করা বাড়িটির বর্তমান মূল্য ৮৪ লাখ ২২ হাজার টাকা। বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়ায় এ বাড়ি তৈরি করেছেন তিনি।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামি আহম্মদ করিম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৮১ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন কওে ভোগ দখল করছেন। তার নিজ নামে ৬ শতক জমির উপর একটি চার তলায় বাড়ি রয়েছে। অবৈধ আয়ে গড়ে তোলা সম্পদ অন্যত্র বিক্রি যেন না করতে পারে; তাই এটি আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা হয়েছে। আদালত একজনকে রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন।
২০২৪ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলাটি তদন্ত করছেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন। তিনি তার ৬ শতক জমি ও তার ওপর তৈরি করা বাড়ি ক্রোক করার জন্য আদালতে আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত এ সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেন। করিম চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ শেরশাহ কলোনীতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক র ক কর
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’