নেইমার ফাউন্ডেশন থেকে বিশেষ উপহার পেলেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ কাবিলা
Published: 3rd, May 2025 GMT
বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা নেইমারের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি রয়েছে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার রবিন মিয়ার। ৩৪ বছর বয়সী এই রবিন মিয়া নেইমারের কাছ থেকে পাওয়া একটি বিশেষ উপহার তুলে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ভক্ত বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী জিয়াউল হক পলাশকে।
নেইমার ও তাঁর ইনস্টিটিউট থেকে বিশেষ উপহার পেলেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক দিয়ে পরিচিতি পাওয়া ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা পলাশ। উপহারটি পলাশের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন নেইমারের বন্ধু হিসেবে পরিচিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও সংগঠক রবিন মিয়া। নেইমারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে রবিন মিয়াকে সবাই চেনেন। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী ভক্তরা রবিন মিয়ারও ভক্ত। নেইমারের সঙ্গে নানা আয়োজনে নানা সময়ে দেখা যায় তাঁকে। সেই রবিন মিয়া এখন সেলিব্রিটি ক্রিকেট খেলতে ঢাকায়।
রবিন মিয়ার (বামে) কাছ থেকে উপহার নিচ্ছেন জিয়াউল হক পলাশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন
জনপ্রিয় বাউল গান ‘লাগাইয়া পিরিতের ডুরি, আলগা থাকি টানেরে, আমার বন্ধু মহা জাদু জানে’-এর রচয়িতা বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন খোয়াজ। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৩ বছর।
তিনি ‘জ্ঞানের সাগর’ ফকির দুর্বিন শাহর শিষ্য ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন সংগীতশিল্পী আকাশ গায়েন।
বাউল খোয়াজ মিয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১২ মার্চ। তার বাবা মৌলভি আজিজুর রহমান ও মা আছতুরা বিবি। তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন সংগীতপ্রেমী। পড়াশোনার চেয়ে বাঁশি বাজানো ও গান গাওয়ার প্রতি তার অনুরাগ ছিল প্রবল। পরিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি গ্রামগঞ্জে গান গেয়ে বেড়াতেন।
তিনি মরমি সাধক দুর্বিন শাহের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ১৯৬২ সালে। গানের মধ্যে আধ্যাত্মিক দর্শন ও মানবতাবাদী বার্তা তুলে ধরতে শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
শাবনূরের সঙ্গে কোন নায়ককে বেশি মানায়? জানালেন রিয়াজ
এবার একসঙ্গে প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা
খোয়াজ মিয়ার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— ‘লাগাইয়া পিরিতের ডুরি আলগা থাকি টানেরে, আমার বন্ধু মহা জাদু জানে’, ‘আমার ভয় লাগিল মনেরে, ভয় লাগিল মনে, আমায় কোনদিন ধরিয়া নিবো যমে’, ‘যাইও না যাইও না কন্যাগো, কইন্যা যাইও না নাইওর, তুমি বিনে কেমনে থাকি একেলা বাসর কন্যাগো’, ‘ভুবন-মোহন রূপ তোমারই, দেখলে প্রাণ জুড়ায়, আমার বাড়ি আয়রে বন্ধু, আমার বাড়ি আয়’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের পদকর্তা তিনি।
শুক্রবার সকাল ১০টায় দৌলতপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এবং কলেজ মাঠে প্রয়াত বাউল খোয়াজ মিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ঢাকা/লিপি