টানা ১৫ ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
Published: 4th, May 2025 GMT
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রায় ১৫ ঘন্টা ধরে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। তার অফিস দাবি করেছে, এটি ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। রবিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সী মুইজ্জু স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টায় ম্যারাথন সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন এবং এটি ১৪ ঘন্টা ৫৪ মিনিট ধরে চলে। প্রার্থনার জন্য কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সম্মেলনটি মধ্যরাত পেরিয়েও চলেছিল- একজন প্রেসিডেন্টের এটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড- যেখানে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছেন।”
২০১৯ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের জাতীয় রেকর্ড সংস্থা দাবি করে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ১৪ ঘন্টার সংবাদ সম্মেলন বেলারুশিয়ান শক্তিশালী আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাত ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
মুইজ্জু যেদিন সংবাদ সম্মেলন করেন সেদিন ছিল বিশ্ব সংবাদমাধ্যম মুক্ত দিবস। একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তিনি সমাজে সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করেছেন এবং তথ্যভিত্তিক, সুষম ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।”
দীর্ঘ অধিবেশন চলাকালে মুইজ্জু সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনসাধারণের প্রশ্নের উত্তরও দেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড ম ইজ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: ইরান-ইসরায়েল ছেড়ে পালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত তীব্র হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র্রের শত শত নাগরিক দেশ দুটি ছেড়ে গেছেন।
আলজাজিরা লিখেছে, ইরান থেকে মার্কিনিরা প্রধানত স্থলপথে দেশ ছেড়েছেন। সংবাদ সংস্থার রয়টার্সের হাতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি অভ্যন্তরীণ নথিতে এমনটি বলা হয়েছে।
যদিও অনেকেই কোনো সমস্যা ছাড়াই ইরান ত্যাগ করতে পেরেছেন, তবু ‘অনেক’ মার্কিন নাগরিক ইরান ছাড়ার সময় ‘বিলম্ব ও হয়রানির’ মুখে পড়েছেন বলে ওই নথিতে তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘে গ্রোসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল ইরান
ইসরায়েলের ওপর নতুন হামলার বিস্তারিত জানাল ইরান
ইরান ছেড়ে গেছে এমন একটি পরিবার আলজাজিরাকে জানিয়েছে, ইরান ছাড়ার চেষ্টার সময় দুজন মার্কিনিকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ফলে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা আরো জটিল হয়ে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে আসা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি স্মারকের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ইসরায়েলে অবস্থিত তাদের দূতাবাস থেকে ৭৯ জন কর্মী ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ক্রমেই আরো রক্তাক্ত হয়ে ওঠায় যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশের নাগরিক ইরান ও ইসরায়েল ছেড়ে গেছেন, অনেকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। অথচ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। অথচ এই অভিযোগে ইরানের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অথচ তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ইরাক মডেলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।
ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।
ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ঢাকা/রাসেল