ঘণ্টা নবীন বাবু। কৈশোরে স্বপ্ন দেখতেন অভিনেতা হওয়ার। যার কারণে ওই সময়ে প্রিয় তারকাদের সিনেমা দেখতে ছুটে যেতেন প্রেক্ষাগৃহে। স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে পরিশ্রমকে পুঁজি করে এই মাধ্যমে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। সহকারী পরিচালক হিসেবে রঙিন দুনিয়া পথচলা শুরু হয় তার। এরপর নাম লেখান অভিনয়ে। রুপালি জগতে নানি নামে খ্যাতি কুড়ান ঘণ্টা নবীন বাবু।

কৈশোরের সেই স্বপ্নবাজ ঘণ্টা নবীন বাবু তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ১৬ বছর পার করছেন। উপহার দিয়েছেন অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা। আর দর্শকের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। এক বছর আগে নানি বাস্তব জীবনে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। সেই ঘটনা তার জীবনের সবকিছু বদলে দিয়েছে। রাজ শামামির পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এই অভিনেতা।

এ আলাপচারিতায় দুর্ঘটনার বিষয়ে নানি বলেন, “আমার প্রথম গাড়ি কেনার আগের ঘটনা এটি। এক বন্ধুর গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আমরা হাইওয়ে ধরে যাচ্ছিলাম। হাইওয়ের মাঝখানে বাঁক নেওয়ার পর.

..। রাস্তাটি মাঠের মাঝ বরাবর চলে গেছে, তারপর গিয়ে হাইওয়েতে উঠেছে। আপনি টার্ন নেওয়ার লাইট দেখতে পারেন। রাস্তার মাঝখানে একটা লরি ভেঙে পড়েছিল। তারা সতর্কীকরণ চিহ্ন লাগিয়েছিল। কিন্তু লরিতে টেল লাইট ছিল না।”

নানিকে বহনকারী গাড়িটি ট্রাকের ভেতরে ঢুকে যায়। তা বর্ণনা করে নানি বলেন, “আমি যখন গাড়ি ঘুরালাম, তখনই ট্রাকের আলো দেখতে পেলাম। যখন আমি ঘুরলাম, তখন ট্রাকটি আমার সামনে, গাড়ির গতি তখন ১০০। আমাদের গাড়িটি ট্রাকের পিছনের অংশের নিচে ঢুকে গেল। লরিটির শিল্ড গ্লাস ভেঙে গেল। সমস্ত গ্লাস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তখন আমি ড্রাইভিং সিটে ছিলাম। আমার পাশে বসা বন্ধুকে বললাম, তুমি রক্তের স্রোত অনুভব করতে পারছো! রক্তের স্রোতের ওপর সবকিছু ঘটেছে। আমি দরজা ধাক্কা দিলাম, দরজা খুলতে পারছিলাম না। দেখতে পাচ্ছিলাম, হাইওয়েতে দূরে গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে, কী হয়েছে তা তারা দেখার চেষ্টা করছে।”

গাড়ি থেকে নামার ঘটনা বর্ণনা করে নানি বলেন, “আমাদের গাড়ির পেছনের সিটে একজন বন্ধু ছিল, সে ঠিক ছিল। দরজা ধাক্কা দিয়ে নেমে পড়লাম। আমি পড়ে যাওয়ার উপক্রম। হঠাৎ পিছনের সিটের বন্ধুটির ডাক শুনতে পেলাম। সে ‘প্রশান্ত, প্রশান্ত’ বলে ডাকছে। সামনের সিটে বসা বন্ধুটির নাম প্রশান্ত। সে আমার সঙ্গে আছে, সে আমাকে সাহার্য করছে।”

দুর্ঘটনার পর পেছনের সিটে বসা নানির বন্ধু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে উদ্ধারের ঘটনা জানিয়ে নানি বলেন, “যখন সে চিৎকার করতে শুরু করল, তখন আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম আর আমার বন্ধু ওখানে বসে ছিল। কিছু একটা হয়েছিল। আমি গাড়ির চারপাশে ঘুরে বেড়ালাম, জানি না কী হচ্ছিল! গাড়ির চারপাশে হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম, গাড়ি টানছিলাম। কিন্তু সে বাম পাশের সিটে ছিল, কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিল না। এরপর আমরা তাকে টেনে বের করে আনলাম আর ‘প্রশান্ত, প্রশান্ত, প্রশান্ত, প্রশান্ত’ বলে চিৎকার করছিলাম। সর্বশেষ তার জ্ঞান ফিরল।”

আহত নানি ও তার বন্ধুদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “তারপর আমাদের কাছের একটি কোম্পানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা আমাদের একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়। পথে আরো একটি দুর্ঘটনা ঘটে, একটি ভ্যান ধাক্কা খায়। অ্যাম্বুলেন্সের লোকেরা জিজ্ঞাসা করে, ‘আমরা কি তাদের (ভ্যানের আহত যাত্রী) হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি?’ আমরা বললাম, ‘অবশ্যই।’ আর ওটা একটা বড় পরিবার ছিল। সবাই সুন্দর করে সাজগোজ করেছিল, যেন কোনো বিয়ে বা অন্যকোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল, সবাই রক্তাক্ত হয়েছিল। তাদের সঙ্গে একটা বাচ্চাও ছিল। এটা একটা খারাপ দুর্ঘটনা ছিল।”

এই দুর্ঘটনা নানির জীবনের সবকিছু বদলে দিয়েছে। পরের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নানি বলেন, “আহত সবাই অ্যাম্বুলেন্সে উঠে এলো। আর সেই বাচ্চাটাকে দেখে আমার সবকিছু অসাড় হয়ে গেল, আমি কিছুই অনুভব করতে পারছিলাম না, আমি কেবল তাদের কথা শুনছিলাম। পরে বাচ্চাটাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। কারণ খুব গুরুতর আঘাত ছিল। আমি হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম, ডাক্তারের কাছে যাইনি এবং সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম। কারণ আমি জানতে চাইছিলাম কী হয়েছে। তারা বলল, ‘এটা খুবই ক্রিটিক্যাল।’ সেই একটি রাত আমার সবকিছু বদলে দিয়েছে। আমি জীবনকে কীভাবে দেখি, ব্যথা— সবকিছু বদলে দিয়েছে।”

নানি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘হিট: দ্য থার্ড কেস’। শৈলেশ কোলানু পরিচালিত সিনেমাটি গত ১ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এতে নানির বিপরীতে অভিনয় করেছেন শ্রীনিধি শেঠি। ৬৫ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা ৩ দিনে আয় করেছে ৮২ কোটি রুপি।

তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন র র সবক ছ আম দ র র বন ধ আম র স

এছাড়াও পড়ুন:

রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে ঢাকার আদালতের আদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনে (আরসিবিসি) থাকা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করে ফেরত আনার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত এ আদেশ দেন।

গতকাল রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, প্রায় ৯ বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ১০ হাজার ডলার) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ। ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক পাচারে জড়িত ছিল বলে সিআইডির আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এ নির্দেশ দেন।

ছিবগাত উল্লাহ বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনার মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। আর আরসিবিসির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬৮ হাজার ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার অন্য উদ্যোগে ফেরত আসে। এখন আরসিবিসির কাছে পুরো ৮১ মিলিয়ন ডলারই ফেরত চাওয়া হচ্ছে, যেটা আদালত বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন।

আরসিবিসির বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের আদালতে করা মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, এর সঙ্গে সিআইডির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সিআইডির কাছে যে মামলা আছে, সে ব্যাপারে কাজ চলছে। সমাপ্তির পথে, খুব দ্রুতই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

আদালতের আদেশে বলা হয়, তদন্তে সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণ এবং ফিলিপাইন সরকারের পাঠানো মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পর্যালোচনা করে প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে হ্যাকাররা অবৈধভাবে ৮১ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী বলেন, আদালতের আদেশ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশের কপি (অনুলিপি) পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে টাকা দেশে ফেরত আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির তথ্য ১ দিন পর জানতে পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা ২৪ দিন গোপন রাখে। ৩৩তম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়।

সিআইডির ভাষ্য, জাতিসংঘের কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইম (ইউএনটিওসি), ফিলিপাইনের আইন এবং ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) নির্দেশনার আলোকে এবং সর্বশেষ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার এখন ফিলিপাইনের সরকারের কাছ থেকে এই অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করবে।

সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা (মেসেজ) পাঠিয়ে ফেডে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে।

অল্প সময়ের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়, ফিলরেম মানি রেমিট্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে সেই অর্থ চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোর কাছে। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না। জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয়ে ওই টাকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গেছে, তারও কোনো হদিস মিলছিল না।

২০২০ সালের ২৭ মে ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা ওই মামলায় অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাতের অভিযোগে রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় আরসিবিসির বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই মামলা চালিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেন নিউইয়র্কের আদালত। তবে ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় চারজন বিবাদীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা পাচার ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ১ কোটি ৯১ লাখ ডলার জরিমানা করে আরসিবিসিকে। ওই সময় করা এক মামলায় ফিলিপাইনের আদালত ২০১৯ সালে আরসিবিসির শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগিতোকে মুদ্রা পাচারের আট দফা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা মামলায়ও তাঁকে আসামি করা হয়।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশেও একটি মামলা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত কমিটির সময় গত ৮ জুলাই আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী চলতি সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ দেওয়ার কথা।

এর আগে গত ১১ মার্চ আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রধান করে ছয় সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি করে সরকার। এ কমিটিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্তকাজের অগ্রগতি, এ-সংক্রান্ত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপের পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ জন্য ওই কমিটিকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় পরে আরও তিন মাস সময় বাড়ানো হয়।

পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা হলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল হুদা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ