মাহতিম সাকিব। তারকা কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি তাঁর গাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার ‘মায়া পাখি’ গানটি প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। 

‘মায়া পাখি’ গান নিয়ে কেমন আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে?
আলোচনা-সমালোচনা যা হওয়ার, তা সোশ্যাল মিডিয়াতেই বেশি হয়। আমি তো সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকি না, তাই ‘মায়া পাখি’ গান নিয়ে সেখানে কে কী লিখছে, তা জানার সুযোগ হয়নি। তবে গানের ভুবনে যারা পরিচিত, তাদের অনেকে গানটি পছন্দ করেছেন; অনেকের ভালো লাগছে বলেও তারা জানিয়েছেন।   

প্রিন্স মাহমুদের সুরে প্রথম প্লেব্যাক করলেন, কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা?
সত্যি বলতে কী, প্রিন্স মাহমুদের ফোন পাওয়াটাই ছিল অবিশ্বাস্য। হঠাৎ ফোন করে তিনি যখন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন, তখন আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। ভেবেছি, কেউ হয়তো তাঁর নাম ভাঙিয়ে মজা করছে। এর কারণও আছে। ছোটবেলায় যেসব গান শুনে মুগ্ধ হয়েছি, তার বেশির ভাগ সিডির কাভারেই দেখতাম প্রিন্স মাহমুদের ছবি। এই মানুষটি যে কত বড় মাপের সুরকার, তখনও সে সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু নামটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। তাই নিজের নাম বদলে স্কুলের বন্ধুদের প্রিন্স বলে ডাকতে বলেছিলাম। এজন্যই ফোন পেয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম, তিনি আসলেই প্রিন্স মাহমুদ কিনা। শেষমেশ অনেক কথা বলার পরই নিশ্চিত হয়েছি, যিনি ফোন করেছেন তিনি প্রিন্স মাহমুদ। এই অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়। 

‘মায়া পাখি’ গানের রেকর্ডিং শেষে অনুভূতি কেমন ছিল?
অনুভূতি বলে বোঝানো কঠিন। আমরা জানি, কথার সঙ্গে সুর মিললেই ভালো গান হয়। আর অনবদ্য কথা ও সুরের মিশ্রণ দশকের পর দশক দারুণভাবে করে আসছেন প্রিন্স মাহমুদ। সে হিসেবে তাঁর সুরে গাইতে পারাই ছিল সবচেয়ে আনন্দের। তার পরও ‘মায়া পাখি’ গানের বেলায় এক ধরনের ভয় কাজ করেছে। ভয়টা ছিল শ্রোতার ভালো লাগা নিয়ে। 

‘মায়া পাখি’ ছাড়াও আপনার গাওয়া একটি একক ও দুটি নাটকের গান প্রকাশিত হয়েছে। কাছাকাছি সময়ে এত গান প্রকাশ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
এই বিষয়টা গানের প্রযোজক, প্রকাশকদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তবে আমার মনে হয় না একসঙ্গে অনেক গান প্রকাশ পেলে তা শিল্পীর ক্যারিয়ারে বড় কোনো প্রভাব ফেলে। যখন অ্যালবাম প্রকাশ পেত, তখন তো শ্রোতা একই শিল্পীর একসঙ্গে ১০-১২টি গান শোনার সুযোগ পেতেন। এখন অ্যালবাম নেই, একক গানই বেশি প্রকাশ করা হয়। সে হিসেবে কাছাকাছি সময়ে ৪-৫টি গান প্রকাশ হওয়া দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করি না। দেখার বিষয় এটাই, গানগুলোয় কতটা ভিন্নতা আছে এবং শ্রোতা সেগুলো কীভাবে গ্রহণ করছেন।

তিন বছর ধরে আপনাকে নাটকের গানই বেশি গাইতে দেখা যাচ্ছে, এর কারণ কী?
কয়েক বছর ধরে আমাদের নাটকের সংখ্যা বেড়েছে। সেখানে গানও থাকছে, যা আগের নাটকগুলোয় দেখা যেত না। এক কারণে অনেক শিল্পীর প্লেব্যাকের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই মাধ্যমে আমারও ব্যস্ততা বেড়েছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্র আর ঘটনা নিয়ে নানা ধরনের গান তৈরি হচ্ছে।  সেসব চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্লেব্যাক বেশ চ্যালেঞ্জিং। তার পরও কেন জানি না, সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই আমার বেশি ভালো লাগে।  

জনপ্রিয় গায়কদের অনেকে মডেল ও অভিনেতা হিসেবেও কাজ করেছেন। আপনার তেমন কোনো ইচ্ছা আছে?
অনেক কিছুই করার ইচ্ছা হয়, হয়তো করব। তবে মডেলিং বা অভিনয় ওসব আমাকে দিয়ে হবে না। তবে যা কিছুই করি, তা গানের সঙ্গে যুক্ত থেকেই করতে চাই। কারণ এখন গানই আমার নেশা ও পেশা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হত ম স ক ব ন টক র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় পার্টিতে নেতাদের বিরোধ, ডিগবাজি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনে ৫ আগস্টের পর জাতীয় পার্টি (জাপা) চাপে পড়ায় পূর্ববর্তী ভূমিকার দায় এড়াতে বিরোধে জড়িয়েছেন দলটির নেতারা। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ আমলের তিন বিতর্কিত নির্বাচনে এমপি হলেও পরিবর্তিত রাজনীতিতে ‘টিকতে’ দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে সরাতে চাচ্ছেন। ফ্যাসিবাদের দোসর তকমামুক্ত হতে জাপায় নতুন নেতৃত্বের চেষ্টা করছেন তারা। এই তৎপরতায় দলের বাইরের ‘ইন্ধন’ও রয়েছে। 

জাপা সূত্র সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছে। দলটির ছয় জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, তারা মনে করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের নেতৃত্বে থাকলে জাপা টিকতে পারবে না। অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের বিরোধিতার কারণে সরকারের বৈঠক এবং সংস্কারে ডাক না পাওয়া জি এম কাদের যেভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে বলছেন, তাতে জাপার বিপদ বাড়ছে। তাই তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে ডিগবাজি খেয়ে তৎপর হয়েছেন জাপার আওয়ামী লীগপন্থি হিসেবে পরিচিত নেতারা। 

জি এম কাদের ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত করলেও জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, ওই দিন সম্মেলন হবেই। কাদের না এলে তাঁর অনুপস্থিতিতেই সম্মেলন হবে। নতুন নেতৃত্বও নির্বাচিত হবে সেদিন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মসূচি থাকায় ২৮ জুন চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সম্মেলন করা সম্ভব নয়– কারণ দেখিয়ে ১৭ জুন জি এম কাদের সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান।

যদিও তাঁর বিরোধীদের ভাষ্য, চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র না পেলে প্রেসিডিয়ামের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সম্মেলন হবে। তবে এখনও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র ভাড়া পাওয়ার চেষ্টা চলছে। সম্মেলনের জন্য আগামীকাল রোববারের মধ্যে পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া যাবে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যানবিরোধীরা।

এখনও জি এম কাদেরের অনুগত প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী সমকালকে বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। তিনি অনুপস্থিতি থাকলে সেই সম্মেলন অবৈধ হবে। 

জাপা নেতারা জানান, জি এম কাদেরকে সরাতে সামনে আনা হয়েছে দলের গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারা। এ ধারার ফলে জাপা চেয়ারম্যান কারণ দর্শানো ছাড়াই দলের যে কাউকে পদ থেকে সরাতে পারেন, বহিষ্কার করতে পারেন। যে কাউকে যে কোনো পদ দিতে পারেন। এ জন্য তাঁর জবাবদিহিতা নেই।

১৯৮৬ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাপা প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই এই ধারা রয়েছে দলের গঠনতন্ত্রে। এর ক্ষমতাবলে এরশাদের পর জি এম কাদেরও অনেক নেতাকে পদ দিয়েছেন, বহিষ্কার করেছেন। সম্মেলনে নির্বাচিত মহাসচিবকে সরিয়েছেন। 

এ ধারা বিলোপে একাট্টা হয়েছেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ সাবেক ও বর্তমান জ্যেষ্ঠ নেতাদের বড় অংশ। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগে বিতর্কিত নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। আনিসুল ইসলাম এবং রুহুল আমিন হাওলাদার ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির এমপি ছিলেন।

জাপার চেয়ারম্যান হতে চাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মহাসচিব হতে চাচ্ছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। ২০১৪ সালের নির্বাচন এরশাদ ও জি এম কাদের বর্জন করলেও রওশন এরশাদ ও আনিসুলের নেতৃত্বে জাপা অংশ নেয়। জাপা বিরোধী দলের আসনে বসলেও হাসিনা সরকারের মন্ত্রী হন আনিসুল ইসলাম। ২০১৮ সালেও তিনি এমপি হন। গত বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিরোধীদলীয় উপনেতা হয়েছিলেন। 

রুহুল আমিন হাওলাদার ২০১৪ এবং ২০২৪ সালে এমপি হয়েছেন। ২০১৩ সালে ছিলেন সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী। মুজিবুল হক চুন্নু তিন নির্বাচনেই এমপি হয়েছেন। ২০১৪ সালে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। জি এম কাদেরের সঙ্গে বিরোধে রওশনের নেতৃত্বে পৃথক জাতীয় পার্টি গড়া কাজী ফিরোজ রশিদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এমপি হন। তারাও জি এম কাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর তৎপরতায় যোগ দিয়েছেন।

বিরোধী দলের আসনে বসেও প্রায় সব ইস্যুতে সরকারের সুরে কথা বলে আওয়ামী লীগের আমলে গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পাওয়া জাপার নেতাদের মধ্যে জি এম কাদের বাদে অন্যরা ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনার সমালোচনা করছেন।

কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন জি এম কাদের। তবে তিনি একাধিকবার বলেছেন, যারা শেখ হাসিনার সময়ে সরকারের ক্ষমতা ব্যবহার করে জাপাকে যন্ত্রণা দিয়েছে, তারাও আবার তৎপর হয়েছে। তাদের লক্ষ্য নতুন ক্ষমতাধরদের খুশি করে আগামী নির্বাচনে কিছু একটা পাওয়া।

যদিও এসব বক্তব্যকে নাকচ করেছেন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চাওয়া ব্যারিস্টার আনিসুল। তিনি বলেছেন, জি এম কাদের নিজে শেখ হাসিনার মন্ত্রী হয়েছেন। সরকারকে ব্যবহার করে বিরোধীদলীয় উপনেতা, নেতা হয়েছেন। তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না।

চেয়ারম্যানকে ভারতের দোসর আখ্যা দিয়ে আনিসুল ইসলাম বলেছেন, জি এম কাদের একসময় বলেছেন, ভারত অনুমতি না দেওয়ায় তিনি সব কথা বলবেন না। এখন তিনি যেসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থনে, সেগুলো কি ভারতের অনুমোদনে বলছেন? তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় চেয়ারম্যানের ক্ষমতার অব্যবহার হয়, আর্থিক কেলেঙ্কারিরও অভিযোগ রয়েছে।

এখনও জি এম কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন বলে জানালেও মুজিবুল হক চুন্নু সমকালকে বলেন, সম্মেলন ২৮ জুন হবে কিনা জানি না। তবে প্রেসিডিয়ামের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ওইদিন চীন মৈত্রীতে বা কাকরাইলে সম্মেলন হবে। চীন মৈত্রী না পাওয়ায় কাকরাইলে সম্মেলন করা যেত। কিংবা প্রেসিডিয়ামের অনুমোদন নিয়ে সম্মেলন স্থগিত করা যেত। চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে সম্মেলন স্থগিত করায় কাজটি সুন্দর হয়নি। সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম এবং রুহুল আমিন হাওলাদার একটি প্যানেল দিচ্ছেন। জি এম কাদেরের প্যানেল থেকে আমি মহাসচিব প্রার্থী হতে চাই। জি এম কাদের যদি সম্মেলন না করেন, তখন কোথায় যাব?

২০(ক) ধারা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে চুন্নু বলেন, জি এম কাদের গণতন্ত্রের কথা সবচেয়ে বেশি বলেন। তিনি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু ২০(ক) ধারাও রাখছেন। এ ধারা বলে তিনি যে কোনো সময়ে মহাসচিবকেও সরাতে পারেন। এত অনিশ্চয়তা নিয়ে রাজনীতি হয় না। তাই ধারাটি শিথিল করে প্রেসিডিয়ামের অনুমোদনে বহিষ্কার এবং পদ দেওয়ার নিয়ম করতে বলেছি।

জি এম কাদেরবিরোধীদের সূত্রের খবর, আনিসুল চেয়ারম্যান ও রুহুল আমিন মহাসচিব হবেন। চুন্নুকে নির্বাহী চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হবেন কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি এককালে এরশাদকে ছেড়ে জাপা ভেঙে বিএনপির জোটে গিয়েছিলেন। জাপা ভেঙে একই নামে দল করা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দলে ফিরিয়ে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনিও শেখ হাসিনার মন্ত্রী ছিলেন। 

আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিষয়ে আনিসুল ইসলাম বলেছেন, তাঁকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছি। যারা অতীতে জাতীয় পার্টি থেকে চলে গেছেন, পৃথক দল করেছেন– তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা রয়েছে। সৌজন্যতার অংশ হিসেবে বিএনপি এবং অন্য দলকে আমন্ত্রণ করা হবে।
সম্মেলনের সঙ্গে সরকার বা সরকারি সংস্থার যোগসূত্র নেই বলেও দাবি করেন আনিসুল ইসলাম। তবে জি এম কাদেরের অনুসারী এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, যারা সম্মেলন চান তাদের সবাই ‘ডিপ স্টেটের’ নিয়ন্ত্রিত ছিলেন। তারা নতুন করে কিছু করছেন মানেই, রাষ্ট্রযন্ত্রের সমর্থনে করছেন। কিংবা ৫ আগস্ট-পরবর্তী মামলা থেকে বাঁচতে করছেন। আবার সবাই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়ায় ব্যবসা রক্ষার স্বার্থেও তৎপর হতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ