নিজের নাম বদলে বন্ধুদের ‘প্রিন্স’ বলে ডাকতে বলতাম: মাহতিম সাকিব
Published: 5th, May 2025 GMT
মাহতিম সাকিব। তারকা কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি তাঁর গাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার ‘মায়া পাখি’ গানটি প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
‘মায়া পাখি’ গান নিয়ে কেমন আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে?
আলোচনা-সমালোচনা যা হওয়ার, তা সোশ্যাল মিডিয়াতেই বেশি হয়। আমি তো সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকি না, তাই ‘মায়া পাখি’ গান নিয়ে সেখানে কে কী লিখছে, তা জানার সুযোগ হয়নি। তবে গানের ভুবনে যারা পরিচিত, তাদের অনেকে গানটি পছন্দ করেছেন; অনেকের ভালো লাগছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
প্রিন্স মাহমুদের সুরে প্রথম প্লেব্যাক করলেন, কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা?
সত্যি বলতে কী, প্রিন্স মাহমুদের ফোন পাওয়াটাই ছিল অবিশ্বাস্য। হঠাৎ ফোন করে তিনি যখন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন, তখন আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। ভেবেছি, কেউ হয়তো তাঁর নাম ভাঙিয়ে মজা করছে। এর কারণও আছে। ছোটবেলায় যেসব গান শুনে মুগ্ধ হয়েছি, তার বেশির ভাগ সিডির কাভারেই দেখতাম প্রিন্স মাহমুদের ছবি। এই মানুষটি যে কত বড় মাপের সুরকার, তখনও সে সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু নামটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। তাই নিজের নাম বদলে স্কুলের বন্ধুদের প্রিন্স বলে ডাকতে বলেছিলাম। এজন্যই ফোন পেয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম, তিনি আসলেই প্রিন্স মাহমুদ কিনা। শেষমেশ অনেক কথা বলার পরই নিশ্চিত হয়েছি, যিনি ফোন করেছেন তিনি প্রিন্স মাহমুদ। এই অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়।
‘মায়া পাখি’ গানের রেকর্ডিং শেষে অনুভূতি কেমন ছিল?
অনুভূতি বলে বোঝানো কঠিন। আমরা জানি, কথার সঙ্গে সুর মিললেই ভালো গান হয়। আর অনবদ্য কথা ও সুরের মিশ্রণ দশকের পর দশক দারুণভাবে করে আসছেন প্রিন্স মাহমুদ। সে হিসেবে তাঁর সুরে গাইতে পারাই ছিল সবচেয়ে আনন্দের। তার পরও ‘মায়া পাখি’ গানের বেলায় এক ধরনের ভয় কাজ করেছে। ভয়টা ছিল শ্রোতার ভালো লাগা নিয়ে।
‘মায়া পাখি’ ছাড়াও আপনার গাওয়া একটি একক ও দুটি নাটকের গান প্রকাশিত হয়েছে। কাছাকাছি সময়ে এত গান প্রকাশ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
এই বিষয়টা গানের প্রযোজক, প্রকাশকদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তবে আমার মনে হয় না একসঙ্গে অনেক গান প্রকাশ পেলে তা শিল্পীর ক্যারিয়ারে বড় কোনো প্রভাব ফেলে। যখন অ্যালবাম প্রকাশ পেত, তখন তো শ্রোতা একই শিল্পীর একসঙ্গে ১০-১২টি গান শোনার সুযোগ পেতেন। এখন অ্যালবাম নেই, একক গানই বেশি প্রকাশ করা হয়। সে হিসেবে কাছাকাছি সময়ে ৪-৫টি গান প্রকাশ হওয়া দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করি না। দেখার বিষয় এটাই, গানগুলোয় কতটা ভিন্নতা আছে এবং শ্রোতা সেগুলো কীভাবে গ্রহণ করছেন।
তিন বছর ধরে আপনাকে নাটকের গানই বেশি গাইতে দেখা যাচ্ছে, এর কারণ কী?
কয়েক বছর ধরে আমাদের নাটকের সংখ্যা বেড়েছে। সেখানে গানও থাকছে, যা আগের নাটকগুলোয় দেখা যেত না। এক কারণে অনেক শিল্পীর প্লেব্যাকের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই মাধ্যমে আমারও ব্যস্ততা বেড়েছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্র আর ঘটনা নিয়ে নানা ধরনের গান তৈরি হচ্ছে। সেসব চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্লেব্যাক বেশ চ্যালেঞ্জিং। তার পরও কেন জানি না, সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই আমার বেশি ভালো লাগে।
জনপ্রিয় গায়কদের অনেকে মডেল ও অভিনেতা হিসেবেও কাজ করেছেন। আপনার তেমন কোনো ইচ্ছা আছে?
অনেক কিছুই করার ইচ্ছা হয়, হয়তো করব। তবে মডেলিং বা অভিনয় ওসব আমাকে দিয়ে হবে না। তবে যা কিছুই করি, তা গানের সঙ্গে যুক্ত থেকেই করতে চাই। কারণ এখন গানই আমার নেশা ও পেশা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হত ম স ক ব ন টক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউরোপ ছেড়ে এবার আমেরিকার মাঠে ঝলক দেখাতে প্রস্তুত সন
দীর্ঘ এক দশক টটেনহ্যাম হটস্পারে কাটিয়ে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সন হিউং-মিন। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সুপারস্টারের পরবর্তী গন্তব্য যে আমেরিকার মেজর লিগ সকার (এমএলএস)। সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ফুটবল মহলে।
সিউলে আয়োজিত এক আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ বছর বয়সী সন আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, টটেনহ্যামের সঙ্গে তার পথচলার অবসান ঘটছে। পরদিনই নিউক্যাসলের বিপক্ষে মাঠে নেমে স্পার্সের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলার ইঙ্গিত দেন তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ছাড়ার সময় সতীর্থ ও প্রতিপক্ষের গার্ড অব অনারে আবেগে ভেসে যান দর্শকরাও।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, সনের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি। ২০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে এই চুক্তি। এখন কেবল অপেক্ষা মেডিকেল পরীক্ষা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আর এ চুক্তি চূড়ান্ত হলে প্রথমবারের মতো লিওনেল মেসির সঙ্গে একই লিগে খেলবেন সন। যদিও দুজন খেলবেন দুই কনফারেন্সে।
আরো পড়ুন:
নেইমারের জোড়া গোলে সান্তোসের জয়
টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন
২০১৫ সালে জার্মানির বায়ার লেভারকুসেন থেকে টটেনহ্যামে যোগ দেন সন। এরপর টানা ১০ বছরে ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন ৪৫৪টি ম্যাচ, করেছেন ১৭৩টি গোল এবং নিজের ঝুলিতে তুলেছেন প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট। চলতি বছরেই ক্লাব অধিনায়ক হিসেবে ইউরোপা লিগে ম্যানইউকে হারিয়ে টটেনহ্যামকে ১৭ বছরের ট্রফিশূন্যতা থেকে মুক্ত করেন।
সনের বিদায় মানে এক যুগের অবসান হলেও, নতুন এই অধ্যায় তাকে ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে মাঠ কাঁপাতে পারেন কিনা, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। ফুটবলপ্রেমীদের চোখ এখন তাই মেজর লিগ সকারের দিকেই।
ঢাকা/আমিনুল