পৃথিবী গোল না হয়ে বর্গাকার হলে কী হতো
Published: 6th, May 2025 GMT
পৃথিবী পুরোপুরি গোল না হলেও অনেকটা কমলালেবুর মতো। যদি কোনো মহাজাগতিক কারণে পৃথিবীর আকার বর্গাকার হতো, তাহলে আমাদের আশপাশের পরিচিত জগৎ বেশ বদলে যেত। বর্গাকার পৃথিবীর অভিকর্ষ ক্ষেত্র বর্তমানের গোলাকার পৃথিবীর মতো সুষম হতো না। তখন বর্গক্ষেত্রের কেন্দ্র ও প্রান্তের অভিকর্ষের তীব্রতা থাকত আলাদা। কেন্দ্রের দিকে অভিকর্ষের তীব্রতা সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়ায় সবকিছুকে ভেতরের দিকে টানত। অন্যদিকে, প্রান্তের অভিকর্ষ দুর্বল হওয়ায় ভূপৃষ্ঠের আকারে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যেত। তখন কেন্দ্রের দিকে ভূমি স্ফীত এবং প্রান্তের দিকে চাপা হতো। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর শরীর এই অসম অভিকর্ষের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারায় মেরুদণ্ড ও পেশির ওপর অস্বাভাবিক চাপ পড়ত।
পৃথিবী বর্গাকার হলে বায়ুমণ্ডল ও সমুদ্রের ভিন্ন আচরণ দেখা যেত। অভিকর্ষের ভিন্নতার কারণে কেন্দ্রে ঘন বায়ুমণ্ডল দেখা গেলেও কোনার দিকে থাকত পাতলা বায়ুমণ্ডল। এর ফলে বায়ুপ্রবাহের ধরন সম্পূর্ণ বদলে যেত। শুধু বায়ুমণ্ডলই নয়, অভিকর্ষের টানে কেন্দ্রের দিকে বেশি জমা হতো পানি, ফলে পৃথিবীর কেন্দ্রে বিশাল অভ্যন্তরীণ মহাসাগর তৈরি হতো। আর বিভিন্ন প্রান্ত সম্ভবত শুষ্ক ও অনুর্বর থাকত।
আরও পড়ুনপৃথিবী যদি সমতল হতো.. .০৬ মার্চ ২০২৪
বর্গাকার পৃথিবীর ভূগঠন ও ভূ-আলোড়নের বেশ নাটকীয় পরিবর্তন হয়ে যেত। তখন টেকটোনিক প্লেটের ওপর ভিন্ন ভিন্ন চাপের কারণে নতুন ধরনের পর্বতমালা ও আগ্নেয়গিরির দেখা মিলত। ভূমিকম্পের ধরন ও তীব্রতায়ও পরিবর্তন আসত। এমনকি প্রাণীর আকার, আকৃতি ও শারীরবৃত্তীয় গঠনে ভিন্ন অভিকর্ষের প্রভাব দেখা যাওয়ায় লম্বা ও দুর্বল প্রাণীদের পৃথিবীতে টিকে থাকা কঠিন হতো।
আরও পড়ুনপৃথিবীর গভীরে কী রয়েছে০২ নভেম্বর ২০২৩বর্গাকার পৃথিবীতে আলো ও তাপ বিতরণের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসত। সূর্যের আলো সরাসরি কেন্দ্রে পড়ার কারণে সেখানে তীব্র তাপ অনুভূত হতো। অপর দিকে বিভিন্ন প্রান্তে সূর্যের আলো তির্যকভাবে পড়ায় তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকত। ঋতু পরিবর্তনের ধরনও বদলে যেত পৃথিবীর।
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট, দ্য গার্ডিয়ান
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর গ ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউরোপ ছেড়ে এবার আমেরিকার মাঠে ঝলক দেখাতে প্রস্তুত সন
দীর্ঘ এক দশক টটেনহ্যাম হটস্পারে কাটিয়ে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সন হিউং-মিন। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সুপারস্টারের পরবর্তী গন্তব্য যে আমেরিকার মেজর লিগ সকার (এমএলএস)। সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ফুটবল মহলে।
সিউলে আয়োজিত এক আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ বছর বয়সী সন আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, টটেনহ্যামের সঙ্গে তার পথচলার অবসান ঘটছে। পরদিনই নিউক্যাসলের বিপক্ষে মাঠে নেমে স্পার্সের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলার ইঙ্গিত দেন তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ছাড়ার সময় সতীর্থ ও প্রতিপক্ষের গার্ড অব অনারে আবেগে ভেসে যান দর্শকরাও।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, সনের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি। ২০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে এই চুক্তি। এখন কেবল অপেক্ষা মেডিকেল পরীক্ষা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আর এ চুক্তি চূড়ান্ত হলে প্রথমবারের মতো লিওনেল মেসির সঙ্গে একই লিগে খেলবেন সন। যদিও দুজন খেলবেন দুই কনফারেন্সে।
আরো পড়ুন:
নেইমারের জোড়া গোলে সান্তোসের জয়
টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন
২০১৫ সালে জার্মানির বায়ার লেভারকুসেন থেকে টটেনহ্যামে যোগ দেন সন। এরপর টানা ১০ বছরে ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন ৪৫৪টি ম্যাচ, করেছেন ১৭৩টি গোল এবং নিজের ঝুলিতে তুলেছেন প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট। চলতি বছরেই ক্লাব অধিনায়ক হিসেবে ইউরোপা লিগে ম্যানইউকে হারিয়ে টটেনহ্যামকে ১৭ বছরের ট্রফিশূন্যতা থেকে মুক্ত করেন।
সনের বিদায় মানে এক যুগের অবসান হলেও, নতুন এই অধ্যায় তাকে ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে মাঠ কাঁপাতে পারেন কিনা, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। ফুটবলপ্রেমীদের চোখ এখন তাই মেজর লিগ সকারের দিকেই।
ঢাকা/আমিনুল