নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সভা ডেকেছে কলেজের শিক্ষক পরিষদ।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম আনোয়ার হোছাইন। তিনি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে তিনি ক্যাম্পাস মসজিদ থেকে জোহরের নামাজ পড়ে কলা ভবনে নিজ বিভাগের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম তাঁর পথ আটকে দুই ছাত্রকে কলেজের হোস্টেলে আসন বরাদ্দ দিতে অনুরোধ করেন। তখন তিনি রাশেদুলকে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করার পরামর্শ দিলে রাশেদুল তর্ক করতে থাকেন।

শিক্ষক আনোয়ার হোছাইনের অভিযোগ, এরপর তিনি বিভাগে চলে যান। রাশেদুলও তাঁর পিছু নিয়ে বিভাগে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে বিভাগের একটি টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন রাশেদুল। এরপর নানা হুমকি দিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন।

কলেজশিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোছাইনকে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি লাঞ্ছিত করার বিষয়ে আজ প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়েছে। শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রদল নেতার এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি হলে সিটের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে ওই শিক্ষক আমাকে বলেন, ১৬ বছর কোথায় ছিলাম। নানা কথা বলে আমাকে অপমান করেন। এ সময় টেবিলে হালকা থাপ্পড় দিয়েছি। টেবিলের কাচটি আগেই ভাঙা ছিল। আমি কোনো দুর্ব্যবহার করিনি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে বসে মামলার বাদীকে হুমকি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত আনিসুর রহমান আশিকের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন গ্রেপ্তার আসামি দিলীপ কুমার আগারওয়াল। তিনি আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক। তিনি গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই অসুস্থতা দেখিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আশিক হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার পরিবার সদস্যরা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এই মামলার আইনজীবী শাহরিয়ার হাসান জয়।

নিহত আশিকের বড় বোন তাহমিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বার থেকে ফোন করে দিলীপের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে মামলার এজাহারনামীয় ১৬ নম্বর আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নাম বাদ দিতে বলেন। 

তিনি বলেন, পরে আসামি দিলীপ তার ম্যানেজারের কাছ থেকে ফোন নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি (দিলীপ) জানান, আমি ইতিমধ্যে হাসপাতালে আছি। অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান আমার বন্ধু। রাষ্ট্রপক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে নাই। আসাদুজ্জামান আমাকে হাসপাতাল প্রেরণের আদেশ দিয়েছে, শীঘ্রিই মুক্ত হয়ে যাব। 

তাহমিনা বলেন, এরপর মামলা থেকে তার নাম বাদ দিতে আমাকে আর্থিক সহযোগিতার প্রলোভন দেখানো হয়। এ সময় তিনি বলেন, মামলা থেকে নাম বাদ না দিলে ভালো হবে না। হত্যা চুরিসহ পাঁচটা মামলায় গ্রেপ্তার করাবো বলে হুমকি দেয়। পরে আমি শেরে-বাংলা নগর থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। 

সংবাদ সম্মেলনে নিহত আশিকের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তার বোন তাহামিনার প্রধান উপদেষ্টার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিরোজার পথে খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা
  • নাটকে অভিনয় চাকরির মতো হয়ে গেছে
  • ব্যর্থ পাঁচ বিয়ে, অভিনেতার করুণ মৃত্যুর গল্প
  • বগুড়া হোমিওপ্যাথিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধর করে পুলিশে দিলেন এনসিপির নেতাকর্মীরা
  • হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা
  • অভিনেতা এজাজ খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
  • ০, ০, ০, ০, ০— এরপর নিউজিল্যান্ডের ১৪৭, বাংলাদেশ জিতল ৭ উইকেটে
  • চাঁদপুরে গরুর খণ্ডিত মাথা দেখে চুরি হওয়া গরু শনাক্ত করলেন মালিক
  • হাসপাতালে বসে মামলার বাদীকে হুমকি