জন্মদিনে নেই উৎসব, মায়ের শোকে বিষণ্ন ওমর সানী
Published: 6th, May 2025 GMT
নব্বই দশকে রুপালি পর্দায় রাজত্ব করা জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। মঙ্গলবার (৬ মে) ৫৭ বছর পূর্ণ করলেন এই নায়ক। তবে বিশেষ দিনটি ঘিরে কোনো আয়োজন রাখেন না। কারণ এই মাসেই চিরবিদায় নিয়েছেন তার প্রিয় মা। তাই এই নায়কের জন্য দিনটি যেমন আনন্দের, তেমনি বেদনার!
ওমর সানী বলেন, “আজ আমার জন্মদিন। এই দিনে আমাকে আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এই দিনেই আমি পৃথিবীতে এসেছি। দিনটি আমার জন্য অনেক আনন্দের আবার অনেক কষ্টের। কারণ এই মাসেই আমার মা মারা গেছেন। তাই এই মাসটা আমার কষ্টের, এ কারণেই আমি কোনো আয়োজন রাখি না।”
তবে জন্মদিনে নিজের রেস্তোরাঁয় স্টাফদের সৌজন্যে কেক কাটবেন বলে জানিয়েছেন এই নায়ক। পাশাপাশি সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন, সেখানেও উপস্থিত হবেন।
আরো পড়ুন:
মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী
‘আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির নজির দেখলাম’
এদিকে, ওমর সানীর স্ত্রী ও অভিনেত্রী মৌসুমী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে মা ও মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে বসবাস করছেন। মায়ের অসুস্থতা এবং মেয়ের বেড়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পরিবারের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। খুব শিগগির মৌসুমীর দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান ওমর সানী। বরং তিনি নিজেই সব কাজ গুছিয়ে পরিবারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
১৯৯২ সালে নুর হোসেন বলাই পরিচালিত ‘এই নিয়ে সংসার’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন ওমর সানী। এরপর উপহার দেন একের পর এক সুপারহিট সিনেমা। রোমান্টিক হিরো থেকে শুরু করে অ্যাকশন ও খলনায়কের ভূমিকায়ও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ওমর সানী। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন ওমর স ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল উৎসব ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে টক-মিষ্টি ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করতে ‘মৌসুমি ফল উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে এসব কর্মসূচি পালন করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)।
গবিসাস কার্যালয়ে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, লটকন, আমলকী, ড্রাগনফল সহ বাহারি রঙ এবং নানা স্বাদের ফলের সমারোহে আয়োজিত হয় মৌসুমি ফল উৎসব।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
জবিতে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং গবিসাসের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মৌসুমে ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করে নেয়।
এছাড়া মৌসুমি ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করতে গবিসাসের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী, নৈশপ্রহরী এবং মাঠ কর্মীদের মাঝে ফল বিতরণ করেন।
এ সময় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিলুফার সুলতানা বলেন, “নিঃসন্দেহে গবিসাস একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও সৃজনশীল সংগঠন, যা সবসময়ই নতুনত্বের ধারায় পথ চলেছে। প্রতি বছরের মতো এবারো গবিসাস মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন করেছে, যা সংগঠনের একটি গর্বিত ঐতিহ্য।”
তিনি বলেন, “আমাদের ইচ্ছা ছিল ফল নিয়ে এসে আপনাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার, ভবিষ্যতে অবশ্যই সেটা বাস্তবায়ন করবো। আমরা বিশ্বাস করি, গবিসাস তার এ উৎসবমুখর ধারাবাহিকতা আগামীতেও সুন্দরভাবে ধরে রাখবে।”
ফল উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন ফুল ও ফল গাছ রোপণ করা হয়।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “গবিসাস প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ করে থাকে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহযোগিতা করা এবং পৃথিবীকে সুন্দর সবুজ ভাবে গড়ে তোলা। গবিসাস তাদের এই কাজ ভবিষ্যতে অব্যহত রাখবে বলে আশা করি।”
কর্মসূচির ব্যাপারে গবিসাসের সভাপতি সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, “গবিসাস সবসময়ই শুধু সাংবাদিকতার চর্চা নয়, বরং সমাজ, পরিবেশ ও মূল্যবোধের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা প্রতি বছরের মতো এবারো আয়োজন করেছি ‘মৌসুমি ফল উৎসব’ ও ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’। এই আয়োজনের মাধ্যমে যেমন আমরা দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ এবং সচেতনতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, তেমনি বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী