ক্যাডেট কলেজে আপনার সন্তানকে ভর্তি করতে চান?
Published: 7th, May 2025 GMT
আপনার সন্তান কি এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে? আপনার সন্তান কি ২০২৬ সালে ক্যাডেট কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে? এখন থেকেই পরীক্ষার সঠিক পরিকল্পনা আর সঠিক প্রস্তুতি নিলে আপনার সন্তানের ক্যাডেট কলেজে ভর্তির সুযোগ হতে পারে। সেই প্রস্তুতি সঠিকভাবে শুরু হোক এখন থেকেই। ভর্তি পরীক্ষা কোন কোন বিষয়ে হবে বা কোন বিষয়ে কত নম্বরের পরীক্ষা হবে আর কী কী বিষয়ে আপনার সন্তানকে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, তার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে এখানে।
২.
ক্যাডেট কলেজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্যাডেটদের সুনাগরিক ও চৌকস ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২০২৫ সালের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে বা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনচীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, মিলবে বই কেনারও অর্থ, আইইএলটিসে ৭ হলে আবেদন৪ ঘণ্টা আগে৩.
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি ও মেয়েদের জন্য ৩টি ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। ভর্তিপ্রক্রিয়াটি হবে লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার মাধ্যমে।
৪.
ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত-
ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষার বিষয়: মোট নম্বর ৩০০। প্রশ্ন থাকে গণিতে ১০০, ইংরেজিতে ১০০, বাংলায় ৬০ ও সাধারণ জ্ঞানে ৪০ নম্বর।
আবেদন ফি : ২ হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা০৩ মে ২০২৫৫.
ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষার জন্য যে যোগ্যতা লাগে-
ক. জাতীয়তা: ছাত্রছাত্রীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
খ. শিক্ষাগত যোগ্যতা: ছাত্রছাত্রীকে ষষ্ঠ শ্রেণি অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
গ. বয়স: ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সর্বোচ্চ ১৩ বছর ৬ মাস হতে হবে।
ঘ. শারীরিক যোগ্যতা: প্রার্থীকে নিচের শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
ঙ. উচ্চতা: ন্যূনতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি (বালক ও বালিকা উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
চ. সুস্থতা: প্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
৬.
আবেদনের সময় যেসব কাগজপত্র লাগবে-
ক. পঞ্চম শ্রেণির বাষি৴ক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজিমাধ্যমের প্রার্থীদের জন্য আবশ্যিক নয়)।
খ. জন্মনিবন্ধন/জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
গ. অধ্যয়নরত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ষষ্ঠ অথবা সমমানের বাংলা/ইংরেজিমাধ্যম/মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ।
ঘ. পিতা/অভিভাবক ও মাতার মাসিক আয়ের সপক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র।
ঙ. প্রার্থীর পিতা ও মাতা উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার দুই মাস বাকি, পরীক্ষার্থীদের করণীয় ১০ পরামর্শ০১ মে ২০২৫৭.
জেনে রাখুন-
ক. আবেদন করার সম্ভাব্য সময়: নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর ২০২৫।
খ. লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ: ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় শুক্রবার।
গ. বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট:
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য ড ট কল জ পর ক ষ র স য গ যত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের নজর এবার নিউইয়র্ক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ, লড়বেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এলিস স্টেফানিক
নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির কাছে তাঁর সমর্থিত প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর পরাজয়কে যেন মেনে নিতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তিনি এবার নিউইয়র্ক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। এ কারণেই কিনা তাঁর ঘনিষ্ঠ রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান (প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য) এলিস স্টেফানিক নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর পদে লড়াইয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন।
২০২৬ সালের নভেম্বরে এই রাজ্যে গভর্নর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ডেমোক্রেটিক দলীয় গভর্নর ক্যাথি হচুল।
নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়ে স্টেফানিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ (সাবেক টুইটার) ক্যাথি হচুলকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বাজে গভর্নর’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, হচুলের ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে নিউইয়র্ক বর্তমানে ‘দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রাজ্যে’ পরিণত হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র৪১ বছর বয়সী এলিস স্টেফানিক ২০১৪ সাল থেকে নিউইয়র্কের ২১তম কংগ্রেসনাল আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম অভিশংসনের সময় স্টেফানিক তাঁর অন্যতম প্রধান সমর্থক হিসেবে আবির্ভূত হন।
স্টেফানিক তাঁর সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হচুলকে নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি দেরিতে সমর্থন জানানোরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, হচুল ‘নিউইয়র্ক পুলিশের তহবিল বন্ধ এবং কর বৃদ্ধির উদ্যোগী কমিউনিস্ট’ জোহরান মামদানির কাছে মাথা নত করেছেন। জোহরানের এসব উদ্যোগ নিউইয়র্কে বসবাসরত পরিবারগুলোর জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
হচুলের পাল্টা জবাবস্টেফানিকের ঘোষণার পরপরই গভর্নর ক্যাথি হচুলও কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান প্রতিনিধিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কংগ্রেসে এক নম্বর চিয়ারলিডার এবং নিউইয়র্কের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের যুদ্ধে ডান হাতের নারী’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন দূত পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তবে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার কথা বিবেচনা করে পরে সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
জরিপ ও চ্যালেঞ্জগত সেপ্টেম্বরে সিয়েনা কলেজের এক জরিপে দেখা যায়, হচুলের প্রতি জনসমর্থন রয়েছে ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে স্টেফানিকের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন নিউইয়র্কের ২৭ শতাংশ ভোটার। সেই দিক বিবেচনায় নিলে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হচুল অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
তবে সিয়েনার ওই জরিপে হচুলের নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষের চিত্রও উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা ২০২৬ সালে অন্য কাউকে গভর্নর হিসেবে দেখতে চান।
স্টেফানিককে গভর্নর পদে রিপাবলিকান দলের প্রাইমারিতে (দলীয় প্রাথমিক বাছাই) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হতে পারেন। আবার হচুলও তাঁর লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্টনি ডেলগাডোর কাছ থেকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন।
নিউইয়র্কে রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত সর্বশেষ গভর্নর ছিলেন জর্জ পাটাকি। তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।