বায়ুদূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সচেতনতামূলক ‘বিষবায়ু’ প্রচারাভিযান শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ আরএফএলের বাইসাইকেল ব্র্যান্ড দুরন্ত।

আজ বুধবার রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ সেন্টারে জনসচেতনতামূলক এই প্রচারাভিযানের উদ্বোধন করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। সেখানে মাসব্যাপী এই প্রচারাভিযান সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, এই প্রচারাভিযানে থাকবে গোলটেবিল আলোচনা, অনলাইন প্রচারণা, সচেতনতামূলক র‍্যালি ও বায়ুদূষণ রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আবেদন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, প্রচারাভিযানের মূল লক্ষ্য থাকবে বায়ুদূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দৈনন্দিন জীবনে বাইসাইকেল ব্যবহারে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করা।

প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় পৃথক বাইসাইকেল লেন চালুর জন্য দুরন্ত–এর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরা হবে বলেও জানান বক্তারা। পাশাপাশি নাগরিকদের বাইসাইকেল ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাইসাইকেল লেন মার্কিং করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবে দুরন্ত।

দুরন্ত–এর পক্ষ থেকে বাইসাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য ‘দুরন্ত বাংলাদেশ’ নামের নতুন একটি মোবাইল অ্যাপ চালুর কথা জানান আরএফএল গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল্লামা মুর্শিদ মুনীম। তিনি বলেন, প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তাঁদের বাইসাইকেল রাইড ট্র্যাক করতে পারবেন এবং জানতে পারবেন তিনি কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
এই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা যত বেশি বাইসাইকেল চালাবেন, তত বেশি কার্বন ক্রেডিট পাবেন বলে জানান মুর্শিদ মুনীম। তিনি বলেন, কার্বন ক্রেডিট দিয়ে ব্যবহারকারীরা দুরন্ত বাইসাইকেলের আকর্ষণীয় অফার ও ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন।

বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার উদ্যোগ যত দিন সফল না হবে, তত দিন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে বায়ুদূষণের পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা মনে করি, নাগরিকদের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বড় পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবেশ রক্ষায় আমরা বিষবায়ু ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে দুরন্ত বাইসাইকেলের হেড অব মার্কেটিং শরিফুল ইসলাম ও ব্র্যান্ড ম্যানেজার খন্দকার আরিফ হোসেনসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ রন ত ব ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘গুজব রোধে কর্মকর্তাদের বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে’ 

প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর বলেছেন, ‘‘ফ্যাক্ট চেকিং ও গুজব প্রতিরোধে তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তথ্যের চরিত্র নির্ধারণ ও উৎস যাচাইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কেও সক্ষমতা অর্জন আবশ্যক।’’ 

সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আজ বুধবার (৭ মে) ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও গুজব প্রতিরোধ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রধান তথ্য অফিসার এ সব কথা বলেন।

গুজবকে বর্তমান সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধান তথ্য অফিসার বলেন, ‘‘একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে গুজব ও অপতথ্য প্রচার করছে। গুজবের নেতিবাচক প্রভাব থেকে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে গুজব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।’’ 

আরো পড়ুন:

সাংবাদিকতায় সততা ও দায়িত্ববোধই সবচেয়ে বড় শক্তি: জবি উপাচার্য

‘দ্য হিন্দু’র সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

নিজামূল কবীর বলেন, ‘‘গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজব মনিটরিং ও সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তথ্য অধিদফতরের ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ কমিটি’ কাজ করছে। এ কমিটি গুজব প্রতিরোধে নিয়মিত আইকনোটেক্সট ও ভিডিও তৈরি করছে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এসব আইকনোটেক্সট ও ভিডিও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।’’ 

তথ্য অধিদফতর আয়োজিত ফ্যাক্ট চেকিং ও গুজব প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণে সম্পদ ব্যক্তি হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট কদরুদ্দীন শিশির। প্রশিক্ষণে জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ তথ্য অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। 

ঢাকা/হাসান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘গুজব রোধে কর্মকর্তাদের বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে’ 
  • হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি বসাবে ডিএনসিসি